মূল লেখটি পাওয়া যাবে এখানে ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আপনি চাইলেই সুখী হতে পারেন। আপনি যে ধরণের জীবন চান সেটাই চাইলে পেতে পারেন। আপনি যে ধরণের মানুষ হতে চান সেটাও আপনি হতে পারেন।
আজ পর্যন্ত আমি আমার জীবনে যা যা শিখেছিঃ
১।
অপরকে দোষ দেওয়া বন্ধ করুণ। এটাই হবে প্রথম পদক্ষেপ। অপরকে দোষ দেওয়া বন্ধ করুণ এবং অতীতকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যান।
আপনি জানেন কাদের জন্যে আপনার জীবনে এতো সমস্যা। আপনার বস। আপনার স্বামী বা স্ত্রী। প্রেমিক বা প্রেমিকা। আপনার পরিবার। রাজনীতিবিদরা। যারা আপনাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে, ঝামেলায় ফেলেছে। কিংবা হয়তো আপনি নিজেই।
সারা জীবন নিজেকে বলে এসেছেন "অমুকের" কারণে আজ আপনার জীবনে এতো সমস্যা। অন্যের উপর নিজের জীবনের যাবতীয় দুঃখ-কষ্টের দায় চাপিয়ে দিয়ে নিজের জীবনের দায়িত্ব নিজে নেওয়া থেকে চমৎকারভাবে ফাঁকি দেওয়া যায়!
আমার কথা শুনুন - ভুলে যান সব। অতীত অতীতই, এই মুহুর্তে সেটার কোনো অস্তিত্ত্ব নেই। আপনার অতীত হারিয়ে গেছে সময়ের অতল গহবরে। যেটার অস্তিত্ত্বই নাই, সেটা আপনার বর্তমান জীবনে খুব বেশি ম্যাটার করে না। অতীত নিয়ে আপনার কিছুই করার নেই। আর যেটা নিয়ে আপনার কিছুই করার নেই সেটা নিয়ে সময় ও শক্তি নষ্ট করার কোনো মানে হয়না - আপনার আরো গুরুত্মপূর্ণ কাজ পড়ে আছে!
আমার কথা হয়তো নিষ্টুর শোনাতে পারে, বেশি সরলীকরণ মনে হতে পারে। আমি দুঃখিত সেজন্যে, কিন্তু আপনি অতীত নিয়ে পড়ে থাকলেও আপনার জীবন কিন্তু থেমে থাকবেনা। জীবন ছুটে চলছে মিনিটে ষাট সেকেন্ড গতিতে। হাত-পা ঝেড়ে উঠে দাঁড়ান। গতোকাল কী ঘটে গেছে সেটা নিয়ে আপনি কিছু করতে পারবেননা।
২।
"আমার লেখালেখির সময় নাই।" "আমি গাইতে পারিনা।" "মানুষের সাথে কথা বলতে আমার সমস্যা হয়।" "আমি দেখতে সুন্দর না।"
এগুলো আমি সবসময় শুনি। আমার চারদিকে আমি মানুষজনকে নিজের চারদিকে না পারার দেয়াল তৈরি করে বসে থাকতে দেখি, নিজেকে পিছিয়ে দিতে দেখি।
আমি তাদের জন্যে বলতে চাই - লেখালেখির জন্যে সময় তৈরি করো। কোনোকিছু না ভেবে গান গাও, মানুষের সাথে যেয়ে কথা বলো। নিজেকে সুন্দর বানাও!
হ্যাঁ, আমার কথাগুলো অতি সরলীকরণ মনে হতে পারে, কিন্তু আপনি "পারি না" বলেও কিন্তু অতি সরলীকরণ করছেন!
আমরা আমাদের জীবনে চমৎকার প্যাটার্ন তৈরি করতে পারি। মানুষ এটা অহরহই করে চলেছে। আমরা আমাদের জীবনের দিকে তাকাই, অতীতের দিকে তাকাই, অতীত কর্মকান্ডের দিকে তাকাই, এবং এগুলোর মধ্যে সরলরেখা টানি। আমরা ধরে নিই যেহেতু অতীতে আমরা কোনো কাজ একভাবে করেছি অতএব আমাদের বাকী জীবনেও একইভাবে কাজটি করে যেতে হবে। আমরা যেহেতু অতীতে ব্যর্থ হয়েছি, আমরা ভবিষ্যতেও ব্যর্থ হবো।
এই চিন্তা থেকে বের হয়ে আসুন।
নিজেকে চমকে দিন। না - নিজেকে মুগ্ধ করুণ।
যে কাজগুলি পছন্দ করেন না সেগুলি প্রতিনিয়ত করে যাওয়ার কোনো মানে হয়? একজনকে আপনার পছন্দ হচ্ছে, অথচ ভয়ে কিংবা লজ্জায় বলতে পারছেন না। প্রতিদিন তার কাছাকাছি যাচ্ছেন, কিন্তু কিছু বলছেন না, করছেন না। এরপর বাসায় ফিরে এসে কষ্ট পাচ্ছেন। কেনো? যে কাজটি আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে, কেনো সে কাজটি প্রতিদিন করে চলেছেন? একবার সাহস করে তাকে মুখ ফুটে বলে ফেললেই তো আপনি এই কষ্ট থেকে বেঁচে যেতেন। সে যদি আপনাকে প্রত্যাখ্যানও করে সেটা কি এই প্রতিদিনের কষ্টের চেয়ে বেশি হতো?
মনে সাহস আনুন, যা করতে চান করে ফেলুন। প্রতিদিন একটা অশান্তি নিয়ে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার কোনো মানে হয়না। নতুন ব্যবসা করতে চান, শুরু করে দিন। কোনো কোর্সে ভর্তি হতে চান, ভর্তি হয়ে যান। কারো কোনো আচরণ আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে, তার সাথে এটা নিয়ে কথা বলে ফেলুন। কিছু লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে, লিখে ফেলুন। গান গাইতে ইচ্ছে হচ্ছে, গেয়ে ফেলুন। নিজেকে সুন্দর দেখতে ইচ্ছে করছে, শরীরের যত্ন নিন।
৩।
নিজের ভেতরের দানবটাকে বের করুণ।
আমি কার কথা বলছি বুঝতে পারছেন? এটা হচ্ছে আপনার ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা কন্ঠটি যেটি আপনি কিছু করতে গেলেই সবসময় পেছন থেকে বলতে থাকে - "তুমি এই কাজটা করতে পারবেনা।" আপনি এই দানবটাকে চেনেন। আপনি মনে করতে পারেন আপনি এই দানবটাকে ঘৃণা করেন, আসলে কিন্তু তা নয়। আপনি একে ভালোবাসেন। এমনকি আপনি এই দানবটাকে আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতেও দিচ্ছেন। এটা যা বলে আপনি তাই করেন। যখনি আপনি কিছু করতে চান, পেতে চান আপনি আগে আপনার ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা দানবটির পরামর্শ নেন, দেখতে চান সে কি এটা বলে কিনা - "তুমি এটা করতে পারবেনা, এটা পেতে পারবেনা!"
যেটা আপনি বুঝতে পারছেননা তা হলো এই দানব আসলে কিছুই জানেনা। এটা একটা আহাম্মক। এটা একটা তোতা পাখি ছাড়া আর কিছু নয়। অতীতে আপনার ব্যর্থতাগুলোর কথা আপনাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া ছাড়া এর আর কনো কাজ নেই। অতীতে আপনার বাবা-মা, শিক্ষক কিংবা অন্য কেউ আপনাকে যখনি বলেছে আপনি কিছু করতে পারবেন না, তখনি এই দানব সেই কথাগুলো জমা করে ফেলেছে। এবং যখনি আপনি নতুন কিছু করতে যাবেন এই দানবটি সেই নেগেটিভ কথাগুলো আপনার দিকে ছুঁড়ে দিবে। আপনাকে পিছিয়ে দেয়াই এর লক্ষ্য।
দানবটাকে ঝেড়ে ফেলুন।
এরপর যখনি আপনি আপনার ভেতর থেকে কাউকে বলতে শুনবেন যে আপনি কোনো একটি কাজ করতে পারবেন না, কোনো কিছু চেয়ে পাবেন না, তখনি এই দানবটিকে আপনার সামনে কল্পনা করবেন। এরপর কল্পনায় একে মেরে কেটে ধ্বংস করে দিন। আপনার ভেতর থেকে যে কোনো ধরণের নেগেটিভ কন্ঠকে বের করে ছুঁড়ে ফেলে দিন। আপনার উপর আপনি ছাড়াআর কেউ যাতে কোনো নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে সেটা নিশ্চিত করুণ।
আপনি অবশ্যই যা চান তাই করতে পারবেন। আপনার ভেতরের দানবটি আপনাকে বলবে আপনি পারবেন না। আমাকে বিশ্বাস করুণ, আপনি পারবেন!
৪।
আপনার অস্তিত্ত্বই নেই।
আপনি ভাবছেন আপনার অস্তিত্ত্ব আছে। আপনার অস্তিত্ত্ব আসলে আপনার মনের ভেতর!
আসলে নিজেদেরকে নিজের সম্পর্কে যা বলি আমরা তাই। আমরা মনে মনে জানি আমরা কেমন মানুষ, আমরা কী করতে পারি, আমরা কী করতে পারিনা। যেহেতু আমরা মনে মনে সবসময় বলে এসছি আমরা কী পারি আর কী পারিনা, আমরা আসলে শক্তি এবং দূর্বলতার একটা লিস্ট। উদাহরণস্বরুপ, আত্মবিশ্বাস এর মতো বায়বীয় জিনিস আপনি শুধুমাত্র ভেবে ভেবেই নিজের মধ্যে নিয়ে আসতে পারবেন!
আপনার নিজের সম্পর্কে নিজের যেসব ধারণা আপনাকে কষ্ট দেয়, আপনার ক্ষতি করে, সেসব ধারণা যে আপনাকে ধরে রাখতে হবেই তার কোনো মানে নেই। যদি নিজের সম্পর্কে কোনো ধারণা আপনার পছন্দ না হয়, তাহলে সেটা বাদ দিয়ে আরেকটা ভালো ধারণা পছন্দ করে নিন নিজের জন্যে!
ব্যাপারটা ছেলেমানুষী মনে হতে পারে, কিন্তু এটা খুবই কার্যকর একটা জিনিস! আপনি যে ধরণের মানুষ হতে চান সেরকম অভিনয় করুণ। নিজেকে সেই কল্পনার মানুষ ভাবুন। তার মতো চিন্তা করুণ। তার মতো কাজ করুণ, না পারলে বানিয়ে বানিয়ে অভিনয় করুণ।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, আপনি যখন আপনার কল্পনার মানুষটির মতো অভিনয় করা শুরু করবেন, তখন চারপাশের সবাই ধীরে ধীরে আপনার সাথে সেই মানুষটির মতোই ব্যবহার করবে।
এবং আপনিও ধীরে ধীরে সেটা বিশ্বাস করা শুরু করবেন। এবং এক সময় আপনি সেই মানুষে পরিণত হবেন।
আপনার নতুন "আমি"তে স্বাগতম!
৫।
আপনি আসলে আপনার পরিবেশের একটা প্রডাক্ট।
প্রায় সবাই এটা জানে, তবে সাধারণত নিজের ভাগ্যের জন্যে পরিবেশকে দায়ী করেন। কিন্তু তারা একটা গুরুত্মপূর্ণ কথা ভুলে যানঃ
মানুষ তার পরিবেশ নিজের মতো করে ভেঙ্গে গড়তে পারে!
এর মানে হচ্ছে, যদি পরিবেশ আমাদের প্রভাবিত করতে পারে এবং আমরা পরিবেশকে প্রভাবিত করতে পারি তাহলে আমরা আমাদের নিজেকে প্রভাবিত করতে পারি।
- আপনার পরিবেশে মানুষ আছে। ভেবে দেখুন কাদেরকে আপনি পছন্দ করেন এবং কাদেরকে আপনি অপছন্দ করেন। যারা আপনার জীবনে নেগেটিভ প্রভাব তৈরি করেন তাদের থেকে দূরে সরে যান। হতে পারে তাদের কেউ কেউ আপনার কলিগ, বস, আপনার বন্ধু, কিংবা আপনার আত্মীয়, কিন্তু তাতে কিছু যায় আসেনা। আপনার জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে যদি কেউ দাঁড়ায় তাহলে তাদের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকাই আপনার জন্যে ভালো। হয় আপনি তাদের সাথে আপনার সম্পর্ক আগাগোড়া বদলে ফেলবেন না হয় তাদেরকে পুরোপুরি এড়িয়ে যাবেন।
- আপনার পরিবেশে আছে লক্ষ্য! জীবনের লক্ষ্যগুলি খুব বেশি যাতে অসম্ভব না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। এমন সব লক্ষ্য ঠিক করবেন যেগুলো আপনি অর্জন করতে পারবেন। লক্ষ্য ঠিক করুণ এবং সেগুলো অর্জন করুণ। একবারের জন্যেও নিজেকে বলবেন না যে আপনি আপনার লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন না। সেটা হচ্ছে পুরনো আপনি। নতুন আপনি যেকোনো যৌক্তিক লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন। পুরনো আপনি ছিলেন আপনার দানবের নিয়ন্ত্রণে, যে সবসময় আপনাকে পেছনে টেনে ধরে রাখতো, সবসময় আপনাকে বলতো আপনি কিছু করতে পারবেন না। আপনার ভেতরের দানবটিকে আপনি মেরে ফেলেছেন, আপনার নতুন ব্যক্তিত্বে "পারবো না" কথাটি আর নেই!
বাসা কিংবা রুম গোছানো দরকার? কাপড় চোপড় অনেক দিন ধরে ধোয়া হচ্ছে না? যান কাজটি আজই করে ফেলুন। একটা পরিষ্কার ঘর এবং পরিষ্কার কাপড় চোপড় আপনার মনকে অনেক প্রফুল্ল রাখে। কিন্তু তাই বলে একসাথে পুরো বাসা ধুয়ে মুছে ফেলা, কিংবা সব কাপড় চোপড় ধুয়ে ফেলার চিন্তা করবেন না। যতোটুকু কাজ করতে পারবেন একেবারে সেটারই দায়িত্ব নিবেন, বেশি কিছু করতে গেলে আবার কিছুই করা হয়ে উঠবেনা। কোনোভাবেই আপনার ভেতরের দানবটিকে সুযোগ দিবেন না।
একেবারে পুরো একটী বই লিখে ফেলার প্ল্যান করবেন না। বরং ঠিক করুণ আজকে আমি প্রথম পাঁচ পৃষ্ঠা লিখবো। এবং সেটা করে ফেলুন, প্রথম পাঁচ পৃষ্ঠা লিখে ফেলুন। আপনার স্বপ্ন ঠিক করুণ এবং একে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করুণ। এরপর ছোট ছোট অংশগুলোকে অর্জনের জন্যে কাজ শুরু করে দিন।
এবং যখন আপনি আপনার ছোট ছোট লক্ষ্যগুলো অর্জন করা শুরু করবেন, দেখবেন আপনি এটা পছন্দ করছেন। ছোট অর্জগুলো আপনাকে সুখী করছে, আপনার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাচ্ছে। এবং স্বপ্ন পুরণের জন্যে কাজ করার প্রতি আপনার এক ধরণের আকর্ষন তৈরি হবে।
- আপনার পরিবেশের মধ্যে আপনিও আছেন। নিজের যত্ন নিন। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করুণ, ব্যায়াম করুণ।আমি বলছিনা যে মাঝে মধ্যে রাত জাগা যাবেন, চকলেট খাওয়া যাবেনা, আরাম করে বসে টিভি দেখা যাবেনা, আড্ডা দেওয়া যাবেনা। মূল ব্যাপারটি হচ্ছে যে কাজগুলো আপনাকে সুখী করে, আপনার জন্যে একটা নিরাপদ বর্তমান আর ভবিষ্যৎ তৈরি করে দেয় সে কাজগুলো করা শুরু করুণ। শরীরের যত্ন নিন বেশি করে, কারণ একটা সুস্থ সবল শরীর থাকলে আপনার মনও সুস্থ থাকবে। আর মন সুস্থ থাকলে আপনি আপনার চারপাশকে সুস্থ সুন্দর করার জন্যে কাজ করার উদ্দীপনা পাবেন।
- নিজের চেহারার যত্ন নিন। আপনি যদি নিজেকে নিয়ে খুশি না হন, যদি আয়নায় আপনার চেহারা দেখে আপনি বিরক্ত হন, তাহলে আপনার চেহারা নিয়ে কিছু করাটা আপনার জন্যে জরুরী। আপনার চেহারাকে সুন্দর করার চেষ্টা করুণ - চুলের একটা নতুন স্টাইল ট্রাই করুণ, একটা নতুন চশমা পরে দেখুন, নতুন জুয়েলারি, নতুন ফ্যাশনের জামা পরে দেখুন। খুব যে দামী কিছু পরতে হবে তা না, সাধারণ দামে অনেক ভালো চমৎকার পোষাক পাওয়া যায় মার্কেটে। নিজে যে ধরণের মানুষ হতে চান ঠিক করুণ সেই মানুষটি দেখতে কেমন হবে। সেই মানুষটির পোষাক কেমন হবে। সে ধরণের পোষাক পরুণ। এটা সঙ্কীর্ণতা নয়, আত্মম্ভরিতাও নয়। এতা হচ্ছে নিজেকে বদলে দেওয়া, নিজের স্বপ্নের মানুষটিতে রুপ নেওয়া। এমনকি পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন আদিবাসী গোত্রও জানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, নতুন পরিবেশে, নতুন দায়িত্বে মানুষের নতুন ধরণের সাজ-সজ্জা গুরুত্মপূর্ণ।
মানুষ কোনো নির্জীব বস্তু না। মানুষ একটা সিস্টেম। যেকোনো সিস্টেম এর মতোই, যদি ইনপুট পরিবর্তন করে দেন তাহলে আউটপুটও পরিবর্তন হয়ে যাবে!
৬।
শেষ কথাঃ
আত্ম-বিশ্লেষণ অনেক সময় কাজে নাও লাগতে পারে।
আপনাকে নিশ্বাস নিতে হবে - এটা মনে করে নিশ্বাস নেওয়ার দরকার নাই। জাস্ট নিশ্বাস নিন। এটা টাও দর্শন।
সবকিছুর মূলে হচ্ছে এই প্যারাডক্স। "আমি কি আমি যেই মানুষটি হতে চাই সেই মানুষের মতো জীবন যাপন করছি?" - যেদিন আপনার নিজেকে আর এই প্রশ্ন করার প্রয়োজন পড়বেনা, সেদিন বুঝবেন আপনি আপনার স্বপ্নের মানুষে পরিণত হয়েছেন।
সবশেষে, যদি আমি আপনাকে একটা শেষ কথা বলে বিদায় নিতে চাই সেটি হবেঃ
নিজেকে সুখী দেখতে না পেয়ে অশান্তি করা বন্ধ করুণ। জাস্ট সুখী হয়ে যান।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০১০ ভোর ৪:৪৩