আমার ভেতরের শব্দগুলো যখন ধেয়ে আসে
তখন তাদের অবলীলায় টুটি চেপে ধরি।
তারপরেও অসভ্য দ্রোহেরা শ্বাসনালি দিয়ে ছুটে আসে,
মগজের মধ্যে ঘুনপোকাদের বিশেষ আনাগোনা।
এটা স্বর্গ বা না নরক, যে কোনটাই হতে পারে।
চশমার কাঁচে আর কাঁচ নেই, আছে প্লাস্টিক,
স্ক্র্যাচের ভার নিতে নিতে বেচারা ক্লান্ত।
একদিকে অভ্যুত্থানের ভারি হাওয়ার গন্ধ,
ধুলো ওড়া গরমে বসন্তরা চালে যায়।
পারফিউমের ভেজালে কলিং বেল সম্প্রদায়,
হোক না সে যত বড় সুগভীর প্রেতাত্মা।
জন্মান্তরের ব্যাপক আনাগোনা,
শুকনো শহরে পড়ে আছে অর্ধমৃত চেতনা।
ব্যাপক অসাবধানতায় গুলিস্তানের ঘড়ি অসহায়,
নিষ্পাপ চেহারার প্রতিটি চোখে ক্ষুধা।
অস্থির পকেটে অস্থিরতা শিরায় উপশিরায়,
যোজন যোজন দূরের কাব্যরা অনাহুত পাখির মতো।
আমি বলতে পারি না মধ্যবিত্ত জীবন,
আমি লিখতে পারি না সংখ্যালঘু সময়।
এ কেমন বন্দিশালা, এ কেমন ব্যস্ততা?
হাতিরঝিলে মিলিটারির বাঁশির শব্দ রাত তিনটায়ও।একসময় এই সময়ে কোনো এক প্রহরী প্রতি রাতে বাঁশের বাঁশি বাজাতো।
এখনও বাঁশি বাজে, তবে... বেসুরো। তাই আজকাল শব্দরা পদ্যহীন।
বৃহঃস্পতিবার ৬ই চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, হাতিরঝিল, ঢাকা.