মহিলা কবি বেগম সুফিয়া কামালকে ডাকতাম ধানমন্ডি দীদা বলে। আত্মীয় বন্ধনে আবদ্ধ থাকার কারনে ধানমন্ডি দীদা আমার প্রতিটি জন্মদিনে আমাদের বাড়ী আসতেন প্রতিবার উপহার দিতেন নতুন কোন কবিতার বই। এই ধানমন্ডি দীদা প্রথম আমার ভিতর লেখালেখির বীজটা বপন করে দিয়ে গিয়েছিলেন। উনি আমার টুকটাক ডায়রীর লেখাগুলো পড়ে খুব খুশী হয়েছিলেন। উনি আমাকে প্রতিদিন এক লাইন করে হলেও লিখতে অভ্যাস করতে বলেছিলেন। অনেক দিন পর সেই কথাগুলো মনে পড়েছিল।
গতবছর রোজ কিছু লেখব বলে অ আ লেখালেখি নাম দিয়ে একটা ৩৬৫ প্রজেক্ট নিয়েছিলাম কিন্তু কেন যেন সফল হতে পারি নি। ২৮৭ দিনে এসে সব কিছু থুবড়ে পড়ে গিয়েছিল।
আজ থেকে আবার শুরু করলাম নতুন করে অ আ লেখালেখি ২০১৪। রোজ কিছু না কিছু লিখে রাখব। যা হবে আগামী দিনের আমাদের গল্প।
বছরের প্রথম দিনটা যেমনটা যাওয়া তেমনি গেছে। থার্টি ফাষ্ট নাইট বলতে যা বোঝায় সেরকম আনন্দ আজকাল করা হয় না। তবুও জোড়া তালি দিয়ে স্বাগত জানাই নতুন বছর।
নতুন বছরের প্রথম দিনটা ছিল চরম ব্যস্ততায়। সকালে ছুটে গেলাম ছোট চাচাকে আনতে বিমানবন্দরে। চাচা কানাডা থেকে আসলেন। অবরোধের ভিতর গাড়ী নিয়ে গিয়ে বাড়ী ফিরলাম। রাস্তায় কোথাও কোন জ্যাম পাই নি। তাই দ্রুত এসে পড়লাম। ছোট চাচা বলছিলেন, বাংলাদেশতো ভালোই আছে আমিতো ভাবলাম যে ভাবে পত্রিকাগুলো ঢালাওভাবে আগুনের ছবি ছাপাচ্ছে আমিতো ভাবছিলাম পথে যেতে যেতে আগুন দেখবো। আমি হাসলাম। চাচাতো আমাদের আত্মীয় মানুষ তাই সব খবর পান, সত্যতা যাচাই করার সুযোগ পান। কিন্তু যারা বিদেশী তারা এই নেগেটিভ খবরগুলোকে কিভাবে যাচাই করবেন। যাই হোক, আজ গল্পের এতটুকু থাকল কাল কোন একটু কিছু নিয়ে গল্প করব। সবাইকে আবার শুভ নববর্ষ।
১লা জানুয়ারী, ২০১৪
--------------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ১/৩৬৫
ayonahmed@gmail.com
http://www.ayonahmed.com