
বারিক্কা টিলাটিতে রয়েছে ৪০ ঘর মত আদিবাসীদের বসবাস। ঘন সবুজে পূর্ণ টিলাটির মাঝখান দিয়ে নির্মিত হয়েছে একটি পাকা রাস্তা যেটি দিয়ে মোটর সাইকেল যোগে যাওয়া যায় টেকেরঘাট।


টেকের ঘাট পরিতাক্ত চুনাপাথর খনি প্রকল্প, যা আপনাকে পুরান দিনের পরিবেশে কিছু ক্ষণের জন্য নিয়ে যাবে।



সবার অনুরোধে সেইরাম একটা পোশ দিলাম



দুপুরে খাবারের জন্য এর চাইতে ভালো কোন হোটেল পাবেন না, তবে খাবার টা খারাপ ছিল না...পেট পুরে খাইসি...


সারা টা পথ এই রকম অপূর্ব নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরপুর...

বারিক্কা টিলায় উঠবার একমাত্র রাস্তা...আক্টু রিস্কি।


বারিক্কা টিলার উপর থেকে ওপাশে ভারতের মেঘালয়, খাসিয়া পাহাড়ের অভূতপূর্ব দৃশ্য অবলোকন, যা কোন দিনও ভুলবো না !!!

বারিক্কা টিলার উপরে আমরা কয়জন...


মোটর সাইকেলে বারিক্কা টিলার উপর ঘোরাঘুরি...

ভারতের সীমানা তে গিয়ে বাংলাদেশ সীমানা পিলারের ছবি তোলা !

এইবার বাংলাদেশ সীমানা তে গিয়ে ভারতের সীমানা পিলারের ছবি তোলা !
উফ !!! কি মজাটাই না করছি...ভোলবার মতো না !

বারিক্কা টিলার পাশে রয়েছে যাদুকাটা নদী যা ভারতের খাসিয়া পাহাড় হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।



নদীর অপর পাড়ে রয়েছে লাউয়ের গড় বি.ডি.আর ক্যাম্প। বর্ষার ঢলে ভারতের পাহাড় হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করে বালু আর পাথর আর গাছের ডালপালা যা উত্তোলন করা হয় এই মৌসুমে।


বালু-পাথর ও গাছের শাখা-প্রশাখা (স্থানীয় লোকেরা জ্বালানীর জন্য সংগ্রহ করে) তোলার জন্য শত শত নৌকা জড় হয় এখানে।




দূরে পাহাড়, এক পাশে টিলা, তার পাশ দিয়ে নদী, সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য।

এছাড়া ভারতের পাহাড়ে রয়েছে একটি তীর্থস্থান ও একটি মাজার যেখানে বছরের নির্দিষ্ট ভিন্ন ভিন্ন দিনে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের হাজার হাজার লোক জড় হয় পূণ্য স্নান ও উরসে, তখন বিডিআর ও বিএসএফের সমঝোতায় ২-১ দিনের জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত করা হয় (সেই সময় উভয় দেশের লোক উৎসবে জড় হয়)।

বারিক্কা টিলার উপর থেকে ভারতের মেঘালয়ের পাহাড় গুলোকে ধরবার চেষ্টা !!! হাহাহাহহা


অবশেষে সন্ধায় জাদু কাটা নদী পার হয়ে সুনামগঞ্জের উদ্দেশে...

সুনামগঞ্জ থেকে নৌকা(নাব্যতা যতদিন থাকে) কিংবা মোটর সাইকেলযোগে যাওয়া যায় এখানে। সময় লাগে ৩-৪ ঘন্টা মত। আমরা অবশ্য সেখানে গিয়েসিলাম ২টা সাইকেলযোগে।
যারা আগের পর্ব মিস করছেন তাদের জন্যঃ
** টাঙ্গুয়ার হাওরঃ এক অপূর্ব নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি ** (ছবি ব্লগ, পর্ব - ০১)