somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আনু মোল্লাহ
আন্‌ওয়ার এম হুসাইন। বাংলাদেশী লেখক। দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক বাংলা ও কিশোর বাংলায় গল্প লিখি। প্রকাশিত গল্পের বইঃ প্রত্যুষের গল্প (পেন্সিল)nউপন্যাসঃ এমনি এসে ভেসে যাই (তাম্রলিপি)।

প্রেম বেশি না বিরিয়ানি বেশি

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কলম্বিয়া সুপার মার্কেটের পাশে বসে তিতুমীর কলেজের এক কপোত-কপোতী ছুটিয়ে প্রেম করতেছে। এটা যে একটা সুপার মার্কেটের পাশের জায়গা, এটা যে জনবহুল বাংলাদেশের অতি জনবহুল একটা এলাকা এইটা ওদের মনে নাই। ওরা ধইরা নিচে দুনিয়াতে ওরা ছাড়া আর কেউই নাই। প্রেম করলে মানুষ এমনই হয়। মানুষজন চোখে লাগে না।
একটু আগে এরা দুজন গলার রগ ফুলিয়ে ঝগড়া করছিল। আমি পাশে দাঁড়িয়ে একটা ঠান্ডা রঙ চা খাইতে খাইতে শুনছিলাম। ছেলেটা মেয়েটাকে একটা ফুল দিয়েছে। গোলাপফুল। ফুলটা চিমসানো। এই নিয়ে ঝগড়া।
এইটা কোত্থেকে কুড়ায়া আনছিস?
কুড়ায়া আনবো ক্যান। নগদ টাকা দিয়ে কিনছি। বিশটাকা।
১৪ দিনের বাসি ফুল এইটা বিশটাকা! আমারে ফুল চিনাস?
সেই ঝগড়া। হাতাহাতিটা হয় নাই খালি। অথবা হইলেও সেইটা আমি দেখি নাই।
পরে তাদের মিলমিশ কিভাবে হইল সেই সিনটাও মিস করেছি।
এখন আবার দুজনে লদকালদকি প্রেম। আশ্বিন মাসের মত এই মেঘ এই রৌদ্র।
চারপাশের মানুষজন তাদের এই প্রেম করা দেইখা খুবই বিরক্ত। প্রেম জিনিসটা এমন নিজে করলে খুব ভালো লাগে, কিন্তু অন্য কাউকে করতে দেখলে আর ভালো লাগে না। তখন চটকনা দিতে ইচ্ছা হয়। সুতরাং কলম্বিয়া মার্কেটের পাশে যারা রেগুলার আড্ডা দেয় তাদেরও সেই ইচ্ছা হইল। তারা সবাই মিলে এই জুটিকে চটকনা দিতে ছুটে আসল। ইচ্ছেমত অকথা-কুকথা বলে বলে টিজ করছে
আমি আবার তাদের কাছে ছুটে গেলাম। ইচ্ছা ছেলে-মেয়ে দুটিকে উৎসাহী জনতার রোষ থেকে আড়াল করা।
ছেলেটা মেয়েটার চেয়ে বয়সে বড় হবে। হাতে একটা পেপসির বোতল। মেয়েটার হাতে একটা বিরিয়ানীর প্যাকেট।
আমি গিয়া নিচু স্বরে বললাম, আমাকে যদি বিরিয়ানীর প্যাকেটা দিয়া দাও তাহলে তোমাদেরকে সাপোর্ট দেব।
কি! কি বললেন?
আমাকে প্যাকেট টা দিয়া দাও, তাহলে তোমাদেরকে সাপোর্ট দিব। তখন ওরা আর ঝামেলা করতে পারবে না। বিরানিটা দিলেই হবে। পেপসিটা তোমরা দুজন ভাগ করে খেয়ে নিও।
ওরা আমার দিকে যে দৃষ্টিতে তাকাইল, মানুষ কেবল পাগল-ছাগলের দিকে ওভাবে তাকায়।
সমবেত উৎসুক জনতাকে যত না ভয় পাইছিল, আমারে তার তিন ডাবল ডর খাইয়া সাথে পালাইয়া গেল।
বুঝলাম না, একটা ফেয়ার ডিলই তো করতে গেলাম, ওরা এমন ভয় পাইল কেন?
প্রেমের চেয়ে কি বিরানীর প্যাকেট বড় হইল!
আসলে মানুষের উপকার করতে নাই কখনো।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৯
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জুলাই অভ্যুত্থানের ফলে গঠিত সরকারের কাছে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সমীকরণ -

লিখেছেন জহিরুল ইসলাম সেতু, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫


জুলাই অভ্যুত্থানের ফলে সরকার পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তীকালীন অরাজনৈতিক সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা ছিল -
১. সকল প্রকার চাঁদাবাজি বন্ধ হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা প্রতিটি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, মহল্লায় কঠোর নজরদারী করে সরকারকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধু কি শোষক ছিলেন?

লিখেছেন রাজীব নুর, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:০২



বঙ্গবন্ধু শোষক ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন অতি সাধারণ মানুষ।
একদম মাটির মানুষ। তার কোনো অহংকার ছিলো না। একটা উদাহরণ দেই। দুপুরে ভাত খাওয়ার সময় বঙ্গবন্ধু তার বাড়িতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতের সাথে বাংলাদেশের যুদ্ধ লাগলে কোন দল কোন পক্ষ নেবে?

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:২৬

প্রথমেই বলি ভারত আর বাংলাদেশের মধ্যে যুদ্ধ হওয়ার সম্ভবনা নাই বললেই চলে। কারণ উভয় দেশের অধিকাংশ জনগণ শান্তি প্রিয়। উভয় দেশের কিছু মানুষ এবং মিডিয়া এই সম্ভবনার কথা রটিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে একাধিকবার কনসার্ট আয়োজন এবং হালকা কিছু বকবক....

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৯


জুলাই অভ্যুত্থান নিসন্দেহে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে বিশেষত যারা তরুণ তাদের মধ্যে এক ধরণের নতুন রাজনৈতিক চেতনার বীজ বপন করেছে। এই অভ্যুথানে অসংখ্য লোকের আহত হয়ে হাসপাতালের বেডে পড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাসুম: সাতকাহনিয়া গ্রামের গল্প

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৫




মাসুম: সাতকাহনিয়া গ্রামের গল্প

সাতকাহনিয়া গ্রামের এক নম্র ও ভদ্র ছেলে মাসুম। ২০০৮ সালে, যখন সে অষ্টম শ্রেণিতে পড়তো, তখন থেকেই তার কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট-সক্ষম মোবাইলের প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×