somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শেখ হাসিনার অপসারণ কি সমাধান ছিল, নাকি আরও বিপর্যয়ের শুরু?

১৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শেখ হাসিনার অপসারণ কি সমাধান ছিল, নাকি আরও বিপর্যয়ের শুরু?
দেশজুড়ে যখন রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল, তখন অনেকেই বিশ্বাস করেছিলেন শেখ হাসিনার সরকারই সমস্ত সমস্যার মূল। বলা হয়েছিল, তিনি জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ, সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। সেইসব অভিযোগের ভিত্তিতে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ নেতৃত্বকে সরিয়ে ক্ষমতায় আনা হলো ইউনূস সরকারকে। কিন্তু আজ আট মাস পেরিয়ে গেছে প্রশ্ন জাগে, এই সরকার কি একটি খাতেও কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পেরেছে?
সিন্ডিকেটের দায় এখন কার?
যে সরকার শেখ হাসিনাকে সিন্ডিকেটের রাঘববোয়াল বলে দোষারোপ করেছিল, তারাই আজ নিজে সেই একই সিন্ডিকেটের সামনে নীরব দর্শক। শেখ হাসিনার সময় অন্তত কিছুদ্রব্যের দাম ভর্তুকি দিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা ছিল, আর আজ বাজার যেন এক ভয়াল আগুন! চাল, ডাল, তেল, চিনি সব কিছুর দাম দিন দিন চড়ছে, কিন্তু এখন তো শেখ হাসিনা নেই! তাহলে কারা এই সিন্ডিকেট চালাচ্ছে?
উত্তর স্পষ্ট অদক্ষতা, দায়িত্বহীনতা আর ভেতরের অসাধু চক্রই এখনকার সরকারকে জিম্মি করে রেখেছে।
যাকে মিথ্যা অভিযোগে তাড়ানো হলো, তার চেয়ে কি ভালো কেউ এসেছে?
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি স্বেচ্ছাচারী, গণতন্ত্র হরণ করেছেন, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছেন। অথচ তার সময়েই বিদ্যুৎ, অবকাঠামো, স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় একধরনের স্থিতিশীলতা ছিল। এখন সেই সব খাতে অরাজকতা, অচলাবস্থা আর দুর্নীতি ফিরে এসেছে আরও ভয়ংকর রূপে।
সরকার পরিবর্তনের নামে মানুষ আজ হারিয়েছে আত্মবিশ্বাস, হারিয়েছে মৌলিক চাহিদা পূরণের সামর্থ্য।
উন্নয়নের বদলে প্রতারণা
আট মাসে ইউনূস সরকার একটিবারের জন্যও প্রমাণ করতে পারেনি যে তারা জনগণের কথা ভাবে। কোন খাতে উন্নতি হয়েছে? কোনো নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে? কোনো পণ্যের দাম কমেছে? বরং দেখা যাচ্ছে, যে কথায় কথায় শেখ হাসিনাকে দোষারোপ করা হতো, আজ তার সবই বাস্তবতায় ফিরে এসেছে, আরও ভয়াবহ রূপে।
জনগণের চোখে ধুলো দেয়া যাবে না
রাজনীতির মাঠে মানুষ আর প্রতিশ্রুতির চাতুর্য খুঁজে না। তারা চায় কাজ, চায় সত্যিকারের পরিবর্তন। মিথ্যা অভিযোগে একটি অভিজ্ঞ নেতৃত্বকে হটিয়ে এনে যদি আরও খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তাহলে সেটি জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়।

সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৫৫
১৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিচারের জায়গা না পেলে মানুষ প্রেত হয়ে ওঠে

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ১২ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৩৯


(সামাজিক অবিচার, রাষ্ট্রীয় অনুপস্থিতি এবং আন্ডারওয়ার্ল্ড কাঠামোর মধ্যে সাধারণ মানুষ কীভাবে হারিয়ে যায়।)

মানুষ যখন বারবার অবিচারের শিকার হয়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

=একদিন এসো সন্ধ্যে ফুরোলেই=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১২ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৫



ভালোবাসা ছড়ানো পাতায় পাতায়, সবুজাভ স্নিগ্ধ প্রহর আমার
এখানে উঁকি দিলেই মুগ্ধতারা চুয়ে পড়ে টুপটাপ;
ধূসর রঙ প্রজাপতিরাও এখানে রঙিন ডানায় উড়ে,
কেবল অনুভূতির দোর দিতে হয় খুলে, চোখগুলো রাখতে হয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

চীনের জে-১০ যুদ্ধবিমান কোনো চকচকে ল্যাব বা বিলাসবহুল ফ্যাক্টরিতে জন্মায়নি

লিখেছেন নাঈম আহমেদ, ১২ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২৬

চীনের জে-১০ এর পেছনেও রয়েছে সেই ত্যাগ আর সংকল্পের গল্প—
১: গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D) দলের অক্লান্ত পরিশ্রম।
২: বাইসাইকেলে চেপে কাজে যাচ্ছেন প্রধান প্রকৌশলী সু চিশৌ।
৩: প্রথম উড্ডয়নের পর কেঁদে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Bangladesh bans ousted PM's Awami League under terrorism law

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ১২ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬





হায়রে এরেই বলে কর্মফল। ১৭ টা বছর গুম , খুনের মাধ্যমে এক ভয়ের রাজ্য তৈরী করে কেড়ে নেয়া হয়েছিল মানুষের বাকশক্তি। চোখ, কান, মুখ থাকতেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিন গেলে আর দিন আসে না ভাটা যদি লয় যৌবন

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১২ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:২৬


এমন কোনো ইস্যু আছে, যা নিয়ে জাতি পুরোপুরি একমত? ৫০%ও একমত এমন কোনো বিষয় চোখে পড়ে না। একপক্ষ রবীন্দ্রনাথের গান জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে মনেপ্রাণে ধারণ করে, আরেক পক্ষ বদলাতে চায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×