সমাজের বাস্তবতা নিয়ে এই লেখাটি ।তাই মডারেটর ভাইদের কাছে অনুরুধ এই লেখাটিতে হাত দেওয়ার আগে একটু ভেবে দেখবেন।
বিভিন্ন ব্লগে পরকীয়া সম্পর্কে ব্লগারদের বেশ অনুভূতি লক্ষ্য করেছি।অনেকেই অনেক ভাবে নিজেদের মতামত তুলে ধরেছেন।পরকীয়াকে অনেকে একবাক্যে স্বীকার করেছেন এটা অন্যয় এটা বিশ্বাস ঘাতকতা।আবার অনেকে সরাসরি না বললেও আধুনিক(?) কিছু যুক্তি দিয়ে পরকীয়া হতেই পারে এমন সমর্থন দিয়েছেন। ঘরে বউ রেখে অন্যের শরীরে মাতাল হওয়া কিংবা স্বামীর কাছে লুকিয়ে অন্যর সাথে সম্পর্ক রাখাটা প্রতারণা এটা যেমন অস্বীকার করার উপায় নেই তেমনি আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটের বাস্তবতায় এ অন্যায়টা করার পেছনে বেশ কিছু কারণ আছে যা আমরা দেখেও না দেখার ভান করি।শুধু ছিঃ ছিঃ করাটা যেমন ঠিক নয় তেমনি এটাকে স্বীকার করাও ঠিক নয়।ছিঃ ছিঃ করে এসব এড়িয়ে গেলে যেমন পরকীয়া রোধ করা যাবেনা আবার পরকীয়াকে বাহবা দিয়ে একে স্বীকৃতি দেওয়ারও কোন মানে হয়না।কারণ,একটি পরকীয়ার কারণে যখন একটি সংসার ভেঙে যায় তখন সবচাইতে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয় সন্তানেরা;সামাজিক ভাবে অন্যেদের কাছ থেকে একরকম বিচ্চিন্ন হয়ে যেতে হয়।বেশ কয়েকবছর আগে পরকীয়া নিয়ে আমার নানা ভাবে কিছু কাজ করার সুযোগ হয়েছিল।কেন একজন মানুষ নিজের স্বামী/বউ রেখে অন্যের সাথে সম্পক করে?কেন কয়েক সন্তান রেখে অন্যের হাত ধরে রাতের আধারে অজানার পথে পা বাড়ায় একজন নারী?ঘর ছাড়ার সময় কি নারীটি একবারও ভাবেনা প্রিয় সন্তানগুলোর মুখ?কেন পুরুষ সুন্দরী বউ রেখে খারাপ পাড়ায় যায়?কোন নারীর বুকে মাথা রাখার সময় কি ঘরের বউ ,সমাজের বাস্তবতার কথা একবারও ভাবেনা?শুধুই কি শারিরীক চাহিদার কারণে?শুধুই কি ভালবাসার কারণে?
আগেই বলেছি পরকীয়া নিয়ে বেশ কিছুদিন কাজ করার সুযোগ আমার হয়েছে।যেসব কারণগুলো আমার কাছে সবচেয়ে প্রবল যুক্তি সংগত মনে হয়েছে সেগুলোর হালকা ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করব।
কারণঃ
১.বিয়ে পূর্ববর্তী প্রেম
২. একে অন্যের প্রতি উদাসীনতা।
৩.শারীরিক অক্ষমতা।
৪.৩০ বছরে ১৬বছরের মেয়েকে বিয়ে করা।
৫.স্বামী প্রবাসী হওয়া।
৬.শারীরিক সম্পকের সময় একজন অন্যজনের সুখের কথা না ভাবা(
বিশেষ করে অধিকাংশ পুরুষ শারীরীক সম্পকের সময় নিজের সুখটাই দেখে।)
৭.ধর্মীয় অসেচতনার কারণে লুলু-লুলী টাইপের স্বভাব হওয়া।
৮.তথাকথিত আধুনিকতায় ঘা ভাসিয়ে দেওয়া।
১. বিয়ে পূববর্তী প্রেম
৯৫ভাগ সময় দেখা যাচ্চে বিয়ের আগে যার সাথে প্রেম থাকে তার সাথে বিয়ে হচ্চেনা।যার সাথে বিয়ে হয়েছে তার সাথে পূর্বের প্রেমিক/প্রেমিকার চাইতে যতই ভাল হউক না কেন তাকে সহজে মেনে নিতে পারেনা অনেকেই।গ্রাম দেশে একটা প্রবাদ আছে মাছ যেটা ধরা না যায় সেটা সব সময় বড় হয়। ।ধরেন আপনার বিয়ের আগে প্রেম না থাকলেও যাকে বিয়ে করেছেন তার সাথে বিয়ের আগে অন্যকারো সাথে সম্পর্ক ছিল।এবং সে আপনাকে মেনে নিতে পারেনি।অনেক চেষ্টার পরও আপনি যদি ব্যর্থ হয়ে স্বামী/বউয়ের গুষ্টি কিলিয়ে অন্য কারো সাথে কোন রকম সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাহলে ব্যর্থতা কি তার নয় যার কারণে আপনি জড়িয়ে পড়েছেন?
২ একে অন্যের প্রতি উদাসীনতা।
বিয়ের প্রথম কয়েক বছর বেশ ইটিস পিটিস করে কাটালেও ২/১টা উইকেট পড়ে গেলে অধিকাংশ সময় দেখা যায় একে অন্যের প্রতি উদাসীন হয়ে যায়।এই উদাসীনতা বেশী দেখায় নারীরা।সংসার ,সন্তানের ভবিষৎ নিয়ে এতই অস্থির হয়ে পড়ে যে স্বামী নিজেকে বেচারা ভাবতে শুরু করে দেয় ।আবার কিছু কিছু পুরুষ আছে বিয়ের কয়েক বছর পর স্ত্রীর ভাললাগা,আব্দারগুলোকে বালিকা সুলভ ঢং ভেবেই এড়িয়ে যায়।অবাক করা হলেও সত্য যে এ টাইপের যারা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে তারা যাদের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়েছে তারাও খুকী /বেচারা ।
৩ শারীরিক অক্ষমতা।
এটার সম্পর্কে ব্যাখার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।
৪.৩৫ বছরে ১৬বছরের মেয়েকে বিয়ে করা।
দেশের অধিকাংশ ৩০ /৩৫বছর বয়সী পুরুষ বিয়ে করে ১৬-২০বছরের মেয়েকে।৩০/৩৫বছরের একটা পুরুষের সাথে ১৬-২০বছরের একটা মেয়ে কখোনোই মানসিক ভাবে একে অন্যের কাছাকাছি আসতে পারেনা। মানসিক দুরত্বের কারণে ১৬-২০ বছরের মেয়েটি এক ধরনের অপূর্নতায় ভুগে।কোন রকম মানিয়ে নিলেও এই অপূর্ণতার পূর্নতা দেওয়ার মত কাউকে যদি পেয়ে যায় তাহলে সেরেছে।বিপরীত দিকে আবার দেখা যায় ১৬-২০বছরের মেয়েটি তাল মানাতে না পারায় সমবয়সী কারু সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে পুরুষটি।
৫.স্বামী প্রবাসী হওয়া।
অপ্রিয় হলেও সত্য যে অধিকাংশ প্রবাসীর বউ পরকীয়ায় জড়িয়ে গেছে শারিরীক চাহিদার কারণেই।প্রায় দেখা যায় প্রবাসীরা ৩/৪/৬মাসের ছুটিতে গিয়ে বিয়ে করে বউয়ের সাথে ২-৩মাস থেকে চলে আসে।একদম সহজ ভাষায় বলছি, শরীরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে চলে আসার পর সে আগুনের দায়েই স্বামী/নিজের রিলেটিভ কারু সাথে জড়িয়ে পড়ে শারিরীক সম্পর্কে ।এবং সে শারিরীক সর্ম্পকের থেকে ফিরে আসার উপায় ৯৫ভাগ সময় থাকেনা।স্বামী বিদেশ থেকে ছুটিতে গেলে কয়েক মাস বন্ধ থাকে তারপর আবার শুরু হয়।অনেকে হয়ত মানতে চাইবেননা কিন্ত এটা প্রমানিত সত্য যে দেশে বর্তমানে যত পরকীয়া সম্পর্ক আছে তার ৬০ভাগই প্রবাসীদের বউ।
৬.শারীরিক সম্পকের সময় একজন অন্যজনের সুখের কথা না ভাবা(
বিশেষ করে অধিকাংশ পুরুষ শারীরীক সম্পকের সময় নিজের সুখটাই দেখে।)
প্রায় দেখা যায় সেক্সুয়াল ব্যাপারে অজ্ঞতার কারণে শারিরীক সম্পকের সময় একে অন্যের কথা ভাবেনা।এবং এই কাজটি সবাচাইতে বেশী করে পুরুষেরা।উঠলাম নিজের মত করে সুখ পেলাম তারপর ঘুমিয়ে গেলাম ।আবার অনেক মহিলা আছে শারিরীক সম্পকটাকে অন্য ১০টা কাজের মতই ভাবে।
[sb৭. লুলু-লুলী টাইপের স্বভাব হওয়া।
পরকীয়ার এ শ্রেনীর জন্য আমার কোন সমবেধনা নেই।এদের কাজ হচ্চে লোল ঝরিয়ে অন্যকে বিভ্রান্ত করা।
৮.তথাকথিত আধুনিকতায় ঘা ভাসিয়ে দেওয়া।
এ শ্রেনীর মানুষগুলোর কাছে পরকীয়াটা হচ্চে এক ধরনের ফ্যাশন যেমন ফ্যাশন ছেলে-মেয়েদের সিগারেট খাওয়া,মদ খেয়ে ব্যাক্তিত্ববান হওয়া।এ শ্রেনীর আধুনিক ছাগলদের পরকীয়া হচ্চে নিজেদের বিশ্বের সাথে তাল মেলানোর প্রতিযোগিতা।
অনেক চেষ্টার পরও লেখা অনেক বড় হয়ে গেছে ।প্যাচ করে না বলে সংক্ষেপে সহজ ভাবে লেখার চেষ্টা করেছি যতটা জেনেছি ।লেখাটি এর আগে অন্য একটি ব্লগে প্রকাশিত।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৮:৫৩