খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘সূরা আহযাব’-এর ৩০ নম্বর আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ করেন, ‘হে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম! আপনারা অন্য নারীদের মতো নন।’ বেমেছাল সুমহান ফযীলতযুক্ত ২১শে শাওওয়াল শরীফ।
উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র আক্বদ বা নিকাহ মুবারক দিবস। ছয় বৎসর বয়স মুবারকে উনার আক্বদ বা নিকাহ সম্পন্ন হয়। যা বাল্যবিবাহ হিসেবে সাব্যস্ত। আর একারণেই বাল্যবিবাহ খাছ সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত।
তাই সকল মুসলমান মহিলাদের জন্য ফরয ওয়াজিব হচ্ছে- প্রতি ক্ষেত্রে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনাকে অনুসরণ-অনুকরণ করা।
অনুরূপভাবে বর্তমানে যে মহিলা উনাকে উত্তমভাবে অনুসরণ-অনুকরণ করেন উনাকে অনুসরণ-অনুকরণ করা।
যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি একদিকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছাহাবী। আরেকদিকে তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহাল তথা হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সর্বোপরি তিনি হচ্ছেন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রা আহলিয়া। এ প্রসঙ্গে খালিক্ব, মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মু’মিনদের নিকট তাঁদের জানের চেয়ে প্রিয়। আর উনার পবিত্রা আযওয়াজ বা আহলিয়া আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হলেন তাঁদের (মু’মিনগণ উনাদের) মাতা।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম পাক-এ ইরশাদ করেন- “হে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম! আপনারা অন্য নারীদের মতো নন।” (সূরা আহ্যাব : আয়াত শরীফ ৩২) .... হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি (আয়াত শরীফ-এর ব্যাখ্যায়) বলেন, আপনাদের মর্যাদা, মর্তবা, ফাযায়িল, ফযীলত অন্যান্য সতী-সাধ্বী মহিলাগণ উনাদের মতো নয়। বরং আপনাদের সম্মান-মর্যাদা, ফাযায়িল-ফযীলত, আমার নিকটে অধিক ও অনেক ঊর্ধ্বে। এ আয়াত শরীফ-এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সমস্ত মহিলাগণ উনাদের উপরে আপনাদের অধিক মর্যাদা, মর্তবা, ফাযায়িল, ফযীলত রয়েছে।” (অনুরূপভাবে তাফসীরে খাযিন ৫ম খণ্ডের ২৫৭ পৃষ্ঠা, তাফসীরে বাগবী ৫ম খণ্ডের ২৫৭ পৃষ্ঠা, তাফসীরে মাদারিকুত তানযীল ৩য় খণ্ডের ৪৬৫ পৃষ্ঠা এবং অন্যান্য সকল নির্ভরযোগ্য তাফসীর গ্রন্থে আলোচনা রয়েছে।)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার ব্যাপারে ইরশাদ করেন, “তোমরা দ্বীনি ইলম হুমায়রা অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার কাছ থেকে গ্রহণ করবে।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অন্য হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত হয়েছে- হযরত আবু মুসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার ফযীলত অন্যান্য মহিলাদের উপর এত বেশি যেমন খাদ্য বা তরকারির মধ্যে লবণের ফযীলত বা শ্রেষ্ঠত্ব।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ, কানযুল উম্মাল, মিশকাত)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ আরো বর্ণিত হয়েছে, “হযরত মুসলিম আল বাত্বীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি জান্নাতে আমার আহলিয়া হিসেবে থাকবেন।” সুবহানাল্লাহ! (ইবনে সা’দ, কান্যুল উম্মাল)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় ফক্বীহ, সবচেয়ে বেশি জানা ব্যক্তি এবং আম জনতার মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর মতামতের অধিকারিণী।” সুবহানাল্লাহ! (আল মুসতাদরিক-৪/১১)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার শাদী মুবারক হয় স্বয়ং খালিক্ব, মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশে। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনাকে ৬ বৎসর বয়স মুবারকে শাদী মুবারক করেন এবং ৯ বৎসর বয়স মুবারকে ঘরে তুলে নেন। উনার নিকাহ মুবারকে ৫০০ দিরহাম দেন মোহর ধার্য করা হয়। উনার সেই পবিত্র নিকাহ মুবারক সম্পন্ন হয়েছিল পবিত্র শাওওয়াল মাসের ২১ তারিখ। তাই এই মুবারক দিনটি কুল কায়িনাতের জন্য বিশেষ রহমত, বরকত, সাকীনা ও নাযাতের কারণ। পাশাপাশি ঈদ বা খুশি প্রকাশের দিন। এ মুবারক দিন উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে মাহফিলের আয়োজন করে উনার বরকতময় সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করে ইবরত নছীহত হাছিল করা সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার মাধমেই বাল্যবিবাহকে সুন্নত হিসেবে সাব্যস্ত করেন। কারণ উনার আক্বদ বা নিকাহ মুবারক সম্পন্ন হয়েছে ৬ বৎসর বয়স মুবারকে। মূলত, পবিত্র ২১শে শাওওয়াল শরীফকে “বাল্যবিবাহ দিবস” হিসেবেও আখ্যায়িত করা যায়। তাই ইসলামী শরীয়তের ফতওয়া মুতাবিক বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে বলা, বাল্যবিবাহকে কটাক্ষ করা এবং বাল্যবিবাহ রোধে আইন করা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা আলাইহিস সালাম বলেন, ব্রিটিশ সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবেই মেয়েদের বিয়ে বসা বা বিয়ে দেয়ার জন্য কমপক্ষে ১৮ বছর বয়স হওয়ার আইন বা শর্ত করে দেয় এবং ১৮ বছর বয়সের নিচে কোন মেয়েকে বিয়ে দেয়া, বিয়ে করা বা কোন মেয়ের জন্য বিয়ে বসা দ-নীয় অপরাধ বলে সাব্যস্ত করে। (নাঊযুবিল্লাহ)। যা সম্পূর্ণরূপে কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর খিলাফ।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহিলারা কিভাবে নিজেদের জীবন অতিবাহিত করবে, তারা কোন বিষয়ে কিভাবে ইলম অর্জন করবে, কি আমল করবে, কেমন পর্দা করে চলবে, কি ধরনের পোশাক পরিধান করবে, তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য কি ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ের আদর্শ রেখে গেছেন উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম। তাই প্রত্যেক মুসলমান মহিলার জন্য ফরয ওয়াজিব হচ্ছে- প্রতি ক্ষেত্রে উম্মুল মুমিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনাকে অনুসরণ-অনুকরণ করা। অনুরূপভাবে বর্তমানে যে মহিলা উনাকে উত্তমভাবে অনুসরণ-অনুকরণ করেন উনাকে অনুসরণ-অনুকরণ করা। কেননা উনারা হচ্ছেন মহিলাদের মধ্যে নায়িবে রসূল এবং উলিল আমর। এ প্রসঙ্গে খালিক্ব, মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “হে ঈমানদার (পুরুষ-মহিলা) তোমরা খালিক্ব, মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল এবং উলিল আমরগণ উনাদেরকে অনুসরণ কর।” তবেই সকলের পক্ষে খালিক্ব, মালিক রব মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাসসাম, ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রেযামন্দী হাছিল করা তথা নাজাত পাওয়া সম্ভব। কেননা হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “যে যাকে মুহব্বত ও অনুসরণ করবে তার সাথেই তার হাশর-নশর হবে।” অর্থাৎ সে তাদেরই দলভুক্ত বলে গণ্য হবে। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূল কথা হলো- প্রত্যেক মুসলমান মহিলার জন্য ফরয ওয়াজিব হচ্ছে- প্রতি ক্ষেত্রে হযরত উম্মুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম ও হযরত আহলে বাইত আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা। অনুরূপভাবে বর্তমানে যে মহিলা উনাদেরকে উত্তমভাবে অনুসরণ-অনুকরণ করেন উনাকে অনুসরণ-অনুকরণ করা। পক্ষান্তরে কোন ফাসিক, ফুজ্জার, বেপর্দা-বেহায়া, বেশরা মহিলা এবং কাফির, মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীন মহিলাদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা হারাম ও জাহান্নামী হওয়ার কারণ। নাউযুবিল্লাহ!