একসময় রাস্তার পাশে পকেট ডাষ্টবিন বসানোর জন্য অনেক লেখালেখি করেছি ফেসবুক ও ব্লগে। আমার লেখা আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে কি না জানি না তবে যেদিন রাস্তার দু পাশে সারি সারি পকেট ডাষ্টবিন নজরে পড়ছে সেদিন আমার মতো খুশী হয়তো আর কেউ হয় নাই। এখন প্রয়োজন জনসচেতনতা গড়ে তোলা। আমরা যখন কোন সভ্য দেশে যাই তখন সভ্য হয়ে যাই, হাতে একটা কাগজের টুকরা নিয়ে অনেক দুর হেঁটে ডাষ্টবিনে টুকরাটা ফেলে আসি। চকচকা ঝকঝকা রাস্তায় কিছু ফেলতেই মন চায় না। আর যখন দেশে আসি তখন রাস্তাঘাটের বেহাল দশা দেখে মন চায় না ময়লার টুকরাটা ডাষ্টবিনে ফেলে আসি। রাস্তার আশে পাশে যা-ই নজরে আসে সব ডাষ্টবিন মনে হয়। তাই আমরা অসভ্যদের মতোই আচরণ করি। এখন সময় এসেছে আমাদের স্বভাব চরিত্রকে বদলানোর। টিভিতে এ্যাড দিয়ে আমরা সাধারণ মানুষকে পকেট ডাষ্টবিন ব্যবহারের প্রতি উৎসাহিত করতে পারি। আপনার একান্ত প্রচেষ্টাকে আমরা সবাই সাধুবাদ জানাই। জনাব সাঈদ খোকন ভাই এবং আপনিই পারবেন এই নগরীকে পাল্টে দিতে। আমাদের প্রত্যাশা আপনাদের কাছে একটু বেশীই বটে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা এবং আধুনিক চিন্তা ভাবনা আমাদের ঢাকা শহরকে বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তুলেতে পারে অনায়াসে।
শুরু হয়ে গেছে রাস্তা খোড়া খুড়ির কাজ, যদিও এগুলো উন্নয়নের অংশ। অতিরিক্ত ধুলায় নিঃশ্বাস বন্ধ হবার জোগাড় হয় যখন রাস্তায় বের হই। আমাদের দেশের সকল রাস্তাঘাট পিচ ঢালাইয়ের পর বালু ছিটিয়ে পিচটাকে ঢেকে দেওয়া হয়। কেন এমন হয় তা আমার বোধগম্য নয়। উন্নত দেশের রাস্তাঘাটে এক দানা বালু খুঁজে না পাওয়া গেলেও আমাদের দেশের রাস্তায় রয়ছে বালুর ভান্ডার। রাস্তা পরিষ্কার করার দায়িত্বে নিয়োজিত সিটি কর্পোরেশনের পরিবেশ পরিচ্ছন্নকর্মীরা ভোর বেলায় ঝাড়ু হাতে রাস্তা পরিষ্কার করলেও তারা ধুলাবালি সরাতে স্বক্ষম নন। তাদের ফাঁকিবাজীর কথা আর নাই বা লিখলাম। এহেন অবস্থায় আমরা বিদেশ থেকে এমন কিছু স্বংক্রিয় ধুলাবুলু সাকশন গাড়ি আমদানী করতে পারি যা রাস্তার ধুলা বালু নিমিষেই পরিষ্কার করতে স্বক্ষম। রাস্তার দুই পাশের অবৈধ উপস্থাপনা উচ্ছেদ করে আপনি এক অভাবনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন যদিও আবার জায়গায় জায়গায় নতুন করে গড়ে উঠতেছে এসব অবৈধ উপস্থাপনা। নগরবাসীর দাবীকে বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব আপনাদের, আপনারা যদি ব্যর্থ হন তাহলে আমাদের যাওয়ার জায়গা কোথায়? সরকারী উদ্যোগ, কার্যকারীতা, সততা, সাধারণ মানুষের সহযোগীতা সর্বপরি দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধতাই কেবল পারে আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকে পাল্টে দিতে। আমরা ঢাকাবাসি দুষন মুক্ত নগরী চাই। আমরা চাই রাস্তায় বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে। কোমলমতি ছেলে মেয়েরা যেন স্কুলে যেতে ও আসতে নাকে রুমাল দিতে না হয় তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে। আপনার সততা, একনিষ্ঠতা, যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার সাহসিকতা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার। আমরা আপনার সংগে ছিলাম, আছি এবং থাকব।
-- একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯