প্রচন্ড পানি পিপাসা লাগল গাবতলি বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামার পর। একটা পানির বোতল কিনে নিলাম। এক চুমুকে পানি খাওয়া শেষ। রাস্তা ঘাট একদম ফাঁকা, পুলিশের খুব তৎপরতা চোখে পড়ল। জানতে পারলাম এই পথে প্রধানমন্ত্রী যাবেন। রাস্তায় কোন জনগণকে চলাচল করতে দিচ্ছে না পুলিশ বাহিনী। হাতে পানি শূণ্য একটা বোতল। রাস্তার উপর ছুড়ে মারতে গিয়ে ভাবলাম এই আমিই দেশের বাইরে গেলে বোতলটা হাতে করে একটু দুরের কোন পকেট ডাষ্টবিনে ফেলে দেই। তাহলে আমি নিজের দেশে সেই কাজটা করি না কেন? উত্তরটাও পেয়ে গেলাম সংগে সংগে। আমাদের দেশে রাস্তার পাশে পকেট ডাষ্টবিন চোখে পড়ে না। এ ব্যপারে কারো কোন উদ্যোগ নাই। কিছু দিন আগে আমাদের মেয়র সাহেবদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম। জানিনা তাদের চোখে পড়েছে কি না। আজ যদি হাতের নাগালের ভিতর একটা পকেট ডাষ্টবিন থাকত তাহলে বোতলটা খাম্বার গোড়ায় ফেলে রাখতাম না। আজ যদি একটা সার্কুলার জারি হত যে, প্রত্যেক দোকনদার এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে তাদের দোকান বা অফিসের সামনে রাস্তার কিনারে একটি করে পকেট ডাষ্টবিন বাধ্যতা মুলক রাখতে হবে। তাহলে মানুষ রাস্তাঘানে ছেড়া কাগজের টুকরা ফেতল না। থুথু থেকে শুরু করে নিঃশেষ হয়ে যাওয়া সিগারেটের টুকরাটাও মানুষ ডাষ্টবিনে ছুড়ে ফেলে দেবার অভ্যাস করত। আপসোস আমাদের নায়ক নায়িকা থেকে শুরু করে কিছু ক্লিন সিটি অভিজানের ধারক বাহককে দেখা যায় মিডিয়াকে খবর দিয়ে হাতে ঝাড়ু নিয়ে সংসদের সামনে রাস্তা কুড়াতে। আসলে এগুলো কোন সমাধান নয়, সমাধান করতে হবে সিটি কর্পোরেশনকে। তাদের বাস্তব ভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে কিছু সয়ংক্রিয় গাড়ি আমদানী করতে হবে যে গাড়িগুলো রাস্তার সকল ধুলা এবং বালু পরিষ্কার করে ফেলবে চোখের পলকে। দ্বিতীয়ত ডাষ্টবিন এবং তৃতীয়ত টিভিতে প্রচারণা। সামাজিক প্রচার মাধ্যমগুলোকে ব্যবহার করে আমারা জন সচেতনতা বাড়িয়ে তুলতে পারি। সেই সংগে আইন অমান্যকারীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারি।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৫