গতকাল রাত একটার সময় দায়ের হল ৩৪২/৩২৩/৫০৬/৩৮৫/৩৮৬ ধারায় অপহরণ ও মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্তি দানের মামলা। দুই দিন রামপুরা ধানা ধর্না দিতে হয়েছে মামলাটা দায়ের করার জন্য। থানার ওসিকে প্রথম দিন থানায় গিয়ে উপস্থিত পাওয়া যায়নি তাই ডিউটিরত এসআই কামরুল হাসান জিডি করবেন না মামলা করবেন তার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন নাই। গতকাল সকালে গিয়েও ওসিকে পাওয়া যায়নি। অবশেষে রাত ১২ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি ওসি সাহেবের জন্য। ইনেসপেক্টর তদন্তকে বললাম অপহরণকারীদের হুমকীর কথা। তারা বলেছিল রামপুরা থানায় গেলে তোদের কোন লাভ হবে না। ঐ থানার ওসিকে আমারা প্রতি মাসে মোটা অংকের মাসোহারা দেই। গিয়ে দেখ তোদের মামলা নিবে না। এহেন কথা আমার মুখে শুনে ইনেসপেক্টর তদন্তের ইগোতে মনে হয় একটু লাগল। তিনি বিষয়টা খুব গুরুত্ব সহকারে নিলেন এবং উপরোক্ত ধারা জুড়ে নতুন করে মামলার একটা ড্রাফট করতে বললেন। রাত একটা পর্যন্ত অপেক্ষা করে অবশেষে মামলাটা দায়ের হল। RAB-3 থেকে আমাকে পূর্ব থেকেই বলেছিল আমরা যেন থানায় গিয়ে কোন প্রকার প্রেশার ক্রিয়েট না করি। কেননা মামলাটা তারাই তদন্ত করবে। অলরেডী তারা গাড়ির আতাপাতা বের করে ফেলেছে। আশা করছি কাল তারা আসামী ধরার উদ্দেশ্যে তাদের অপারেশন শুরু করবে। যেহেতু থানায় মামলা দায়ের করাটা জরুরী তাই RAB-3 এর পরামর্শে আমরা শুধু মামলাটাই দায়ের করতে চেয়েছি। আমারা চাই না থানা বিষয়টা তদন্ত করুক। আমরা ভাল ভাবেই জানি যে এসকল অপহরণ কারীগণ থানার সাথে লিয়াজো মেইনটেইন করেই চলে।
বিস্তারিত পড়তে এই লিংকে ক্লিক করুনঃ- অপহরণকারীদের হাত থেকে ৪০,০০০.০০ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে আজ ছাড়া পেল আমার ছোট শ্যালক মোঃ সাইফুল আলম
আপনারা যদি এমন কোন ঘটনার সংগে পূর্বে পরিচিত থাকেন তাহলে আমার সংগে শেয়ার করতে পারেন। অথবা আপনাদের পরিচিত কেউ যদি এহেন কোন ঘটনার স্বীকার হয় তাহলে যে কোন ধরনের ক্লু RAB-3 দিয়ে সহযোগীতা করতে পারেন। RAB-3 এর সৎ ও ঈমানদার অফিসার টিআই মিজানুর রহমান (ফোনঃ ০১৭৭৭৭১০৩১৬) কে সকল প্রকার ইনফরমেশন দিয়ে সহায়তা করার জন্য আপনাদের দরজা সর্বদা খোলা।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭