জজকোর্ট এলাকা। হঠাৎ একটা ছেলেকে কোপাতে শুরু করল কয়েকজন।
পাশ দিয়ে যাওয়া ব্যাংকের ক্যাশিয়ার রিকশা থেকে নেমে হাত চেপে ধরলেন চাপাতি হাতের ছেলেটির।
চায়ের দোকানের উৎসুক লোকগুলো চেপে ধরল অন্য আরেকজনের হাত।
ছবি তুলতে থাকা সাংবাদিকেরা হাতের ক্যামেরা ফেলে ছেলেটি কে আড়াল করলেন তিন-চারটা রডের সামনে থেকে।
দুজন পুলিশ দৌড়ে এসে কলার চেপে ধরল চাপাতি হাতের ছেলেগুলোর, লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করল লাঠি ধরা হাতের ওপর।
ফুটপাতের চাওয়ালা তাঁর ছেলেকে নিয়ে ছেলেটির দিকে এগোতে থাকলেন, তাঁর ক্ষতগুলো হাত দিয়ে চেপে ধরলেন।
জগন্নাথের সমাজবিজ্ঞান পড়া ছেলেটি শক্ত করে ধরে রাখলেন ছেলেটির হাত, ছেলেটাকে বাঁচাতে হবে।
পুলিশ গ্রেপ্তার করল চাপাতি হাতের ছেলেগুলোকে।
রিকশাওয়ালা প্রচণ্ড গতিতে ছুটলেন মেডিকেলের দিকে।
ফেসবুকে স্ট্যাটাস নয়, সবাই গেল বিশ্বজিৎকে দেখতে। বেঁচে গেল বিশ্বজিৎ। কেম্পাস থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হলো ছাত্র নামের পশু গুলোকে।
রসালো তে লেখা জনৈক বেক্তির এই কল্পনা যদি সত্যি হত! সত্যি ই যদি আমরা সাধারন জনগন এইরকম প্রতিবাদি হয়ে উঠতে পারতাম। অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে দল ও মত ভুলে গিয়ে এই রকম করে রুখে দাড়াতে পারতাম একসাথে!
শেখ জলিলের লেখা কবিতার সবকটি লাইন যেন আজ বাস্তবে পরিনত হয়েছে।
অরণ্যে কমছে শ্বাপদ, বাড়ছে জনপদে
রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে খুন, চলে হিংসা প্রতিপদে।
নিজেদের কেউ কখনও পড়লে বিপদে
তেড়ে আসে পশুরাও তার প্রতিরোধে
আসে না মানুষ শুধু বাঁচাতে স্বজাতে!
কাক কোনোদিন খায় না কাকের মাংশ
মানুষেরা মানুষের খায়
গ্রেনেড গুলি, বুকেতে ছুরি, শিরশ্ছেদে
কতো আদমের প্রাণ যায়!
দ্যাখো বিশ্ব চরাচরে মানুষে বিদ্বেষ
বাড়ছে নিষ্ঠুর নৃশংসতা
কাঁদছে নীরবে মানবতা একা ঘরে
নামছে মৃত্যুর শীতলতা।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৮:১২