সময়ের সাথে সাথে আমরা দেখেছি জ্ঞান বিজ্ঞানের জয়যাত্রা।সাথে সাথে আমরা প্রত্যক্ষ করেছি মুসলিমদের পতন।যখন ইউরোপ জ্ঞান বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল,তখন মুসলিমরা দিচ্ছিল তার নেতৃত্ব।কিন্তু আজ টেবিল পুরোপুরি উলটে গেছে।আজ মুসলিমরা বাটি হাতে পশ্চিমাদের দরজায় ঠক ঠক করছে।চলছে পশ্চিমাদের থেকে ধার করা চিন্তা চেতনায়।এ চেতনা তাদের জীবনের সর্বক্ষেত্রে উদ্ভাসিত।রাজনীতি থেকে শুরু করে অর্থনীতি।সমাজ ব্যবস্থা থেকে সংস্কৃতি।
মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যেভাবে পশ্চিমা থেকে বস্তুবাদী চিন্তা পাচার হয়েছে তাতে আদর্শ ফেরাউনী ব্যবস্থা স্থাপনের ভিত পুরোপুরি প্রস্তুত।মুসলিমরা আজ সবকিছু বস্তুবাদী মগজ দিয়ে চিন্তা করে,বস্তুবাদী চোখ দিয়ে দেখে,বস্তুবাদী কান দিয়ে শুনে।যতদিন পর্যন্ত এ ভাইরাসগুলোকে স্ক্যান করা না হবে ততদিন পর্যন্ত আল্লাহ প্রদত্ত সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা স্থাপন আকাশ কুসুম চিন্তার ই নামান্তর।এ জন্য আজ প্রয়োজন একটি সত্যিকার ইসলামী বিপ্লব।
ইসলামী বিপ্লব!!!???
এইতো পাওয়া গেছে জামাত শিবির,হিযবুতী,জংগী........................
ইসলামী বিপ্লবের কথা বললেন আপনি এসকল লেবেলের জন্য প্রস্তুত হন।আজকাল d juice generation যখন চে এর গেঞ্জী গায়ে জড়িয়ে ঘুরে তখন সে হয়ে যায় বিপ্লবের প্রতীক,অত্যাচারীর বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর।
আর ইসলামী বিপ্লব ??জংগীবাদ.........।
সশস্র বিপ্লবের কথা আমি জানিনা,তবে intellectual level এ ইসলামের আসলেই সত্যিকার বিপ্লব দরকার।আমাদের দরকার সত্যিকার মুসলিম,ইঞ্জিনিয়ার,ডাক্তার,ইকোনোমিস্ট,বিজ্ঞানী।আর এর জন্য সর্বপ্রথম এগিয়ে আসতে হবে যুব সমাজকে।আজকাল আমরা যুবকরা তো ফেসবুকে চ্যাট,সারারাত মোবাইলে ফাইট,মুভি,গান,গেমস।লাইফটা পুরাই মাস্তি...............
আমাদের থেকে উম্মাহ কিছু আশা করে বলে আমার মনে হয় না।আর যারা নেতৃত্বে আছে তারা তো পশ্চিমাদের পছন্দের পাত্র হওয়ার জন্য ব্যতিব্যস্ত।আজ ওমরের(রাঃ) গর্জন নেই,হামযার (রাঃ)তেজ নেই,খোবাইবের (রাঃ) মত ইমানী শক্তি নেই।তাই শারীরীয়ভাবে মুসলিম হলেও ইসলামের প্রানশক্তি নেই।আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
পরিশেষে নাস্তিক হুমায়ুন আজাদের একটি কথা দিয়ে শেষ করছি-
“আমি এতো শক্তিমান আগে জানা ছিলো না। আজকাল মিত্র নয়, শত্রুদের সংখ্যা দেখে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাই।“
মুসলিমদের শত্রুদের দেখে এত বিচলিত হওয়ার কিছু নেই বরং আত্মবিশ্বাসী হওয়া উচিত।আসলেই আমরা একটি শক্তিশালী উম্মাহ......।