somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ইসরাইলে দূতাবাসে হামলা, ভারতে সাংবাদিক গ্রেফতারের নেপথ্যে.....

০৮ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১১:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভারতের নয়াদিল্লিতে ইসরাইলের দূতাবাসে হামলার সাথে জড়িত করে গতকাল (সম্ভবত) একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব গণমাধ্যমে এই খবর খুব ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে। আর করবেই না কেন ? ইসরাইলের দূতাবাসে হামলার সাথে জড়িত সন্দেহে একজন মুসলমান সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে, পশ্চিমা গণমাধ্যমের কাছে খবরটি লুফে নেয়ার মত। আমরাও পশ্চিমা মিডিয়াকে অনুসরন করে খবরটি বেশ কভারেজ দিয়েছি। কিন্তু আমরা এর ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা কেউ করিনি। সাধারণত আমরা যারা বাংলাদেশে সাংবাদিকতা করি সবাই কখনো সংবাদের ভিতরে যাই না বা যাওয়ার চেষ্টা করিনা। পশ্চিমা মিডিয়াতে বলেছে । বাস হয়ে গেছে, লাগাও ....।
যাই হোক আজ ঘটনাটা আমার কাছে কিছুটা পরিষ্কার হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া এই সাংবাদিক একজন মুসলমান। তিনি ইসরাইলের বিরুদ্ধে কলাম লিখতেন। এজন্যেই তাকে ফাঁসিয়ে দেয়া হলো। তা না হলে ঐ হামলার পর সাড়া দুনিয়াতেই ধারণা তৈরী হয়েছিল যে ইসরাইলের গোয়েন্দারাই ঐ ঘটনা ঘটিয়েছে ইরানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খারাপ করার জন্য।কারণ ভারত বলেছে তারা ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা মানবে না। ভারতের এই অবস্থান বন্ধু ইসরাইলের ভালো লাগে নি। তাই তারা তাদের অভ্যাস অনুযায়ী ওই হামলার ব্যবস্থা করেছিল। আর যে কায়দায় ওই হামলা হয়েছিল ঠিক একই ভাবে তেহরানে ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানিদেরকে হত্যা করা হয়েছে। কাজেই সবার ধারণা এটাই ছিল যে ইসরাইলের গোয়েন্দাদের ছাড়া এমন কাজ কেউ করতে পারে না।
যাই হোক ভারতের সাংবাদিকের ভাগ্যে কি আছে তা দেখার জন্য আমরা অপেক্ষায় থাকলাম। তিনি ন্যায়বিচার পাবেন এটাই প্রত্যাশা করছি। (খবরটির সূত্র এখানে পাওয়া যাবে)
২৩৫ বার পঠিত
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

১. ০৮ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১১:৩৭

চঞ্চল বালী বলেছেন: সৈয়দ কাজমিকে ইসরাইল বিরোধী কলাম লেখার কারণে জেলে যেতে হয়েছে। ইহুদিবাদীদের বহুদিনের টার্গেটে ছিলেন তিনি। এবার মোক্ষম সুযোগ পেয়েছে তারা। হয়তো ভারতের কারাগারে ইসরাইলি গোয়েন্দারাও হয়তো তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসরায়েলকে ধ্বংস করা সম্ভব নয়। তাই মিলেমিশে শান্তিপূর্ণ প্রতিবেশীর মত থাকাই দরকার।

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:১৮



একটি জনগণ কিভাবে নিজেদের জন্য নরক ডেকে আনতে পারে-
গাজার জনগণ তার জ্বলন্ত প্রমান। এরা হামাসকে নিরংকুশ ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছে কারণ হামাস ইসরায়েলের ভৌগলিক এবং রাজনৈতিক অস্ত্বিত্বে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্প: শেষ রাতের সুর

লিখেছেন আমিই সাইফুল, ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:০১

রাফি সাহেবের বয়স এখন সত্তরের কাছাকাছি। ঢাকার অদূরে, গাজীপুরের একটি ছোট্ট গ্রামে তাঁর বাড়ি। শেষ রাতে তিনি আজও কান খাড়া করে শুয়ে থাকেন। কে গায়? কোথা থেকে যেন একটা অদ্ভুত... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রসঙ্গ: মৃতদেহ সৎকার এবং সঙ্গীতসৎকার....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:৪৯

প্রসঙ্গ: মৃতদেহ সৎকার এবং সঙ্গীতসৎকার....

কথা সাহিত্যিক শরতচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বহু বছর আগে তার “শ্রীকান্ত” উপন্যাসে ইন্দ্রকে দিয়ে সর্বকালীন এবং সর্বজন গৃহীত একটি উক্তি করিয়েছিলেন, সেটি হলো,- ”মরার আবার জাত কি”!

মৃতদেহ সৎকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্প: শেষ রাতের সুর (পর্ব ২)

লিখেছেন আমিই সাইফুল, ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:৫০

রাফি সাহেবের পড়ে যাওয়ার খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়ল দ্রুত। সকালের মিষ্টি রোদ গাজীপুরের এই ছোট্ট গ্রামে যখন পড়ছে, তখনই কাজের লোক রহিমা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকল। সিঁড়ির নিচে রাফি সাহেব... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপসকামী বিরোধী রাজনীতিবিদদের জন্য পাঁচ আগস্ট দ্বিতীয় স্বাধীনতা নয়.....

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:০১


..... বলেছেন নাগরিক জাতীয় পার্টির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম। নাহিদ মিয়া বিএনপির নেতা মির্জা আব্বাস ও ফখরুল সাহেব কে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করেছেন। নাগরিক জাতীয় পার্টির নেতারা নিজেদের পচানোর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×