মূর্তি ভাঙ্গা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে।অনেকে অনেকত কথা বলছেন।আমার জ্ঞানের পরিধি খুবই সীমিত।তারপরও একটু শেয়ার করতে ইচ্ছে করছে।আর তাহল এই মূর্তি কি এখন আদৌ ইসলাম ভাঙ্গতে বলেছে।
আসলে ইসলাম কখন মূর্তি ভাঙ্গতে বলে?
কখন হযরত মুহাম্মদ(সঃ) মূর্তি ভাঙ্গার নির্দেশ দিয়েছিল?
একটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে যে ইসলাম চাপিয়ে দেয়াকে কখনই সমর্থন করেনা।হযরত মুহাম্মদ(সঃ) মক্কা বিজয়ের পূর্বে যখন কাবাভিমুখে নামায পড়তেন তখন কাবা শরীপে কিন্তু মূর্তি ছিল।উনি তখন বলেননি মূর্তি ভেঙ্গে ফেলতে।কারণ তখনও মক্কার মানুষের নিকট মূর্তিগুলোর প্রতি যথেষ্ট সম্মান ও শ্রদ্ধা ছিল।একই সাথে ধর্মীয় মূল্যায়নও ছিল ও মূর্তি নিয়ে।ঐ সময়ে যদি তিনি মূর্তি ভাঙ্গার কথা বলতেন তাহলে কি হত তা আন্দাজ করা যায়।তিনি জানতেন জনসমর্থন ছাড়া কোন কিছুই ইসলাম সমর্থন করেনা।
কিন্তু যখন মক্কা বিজয় করে ফিরে আসলেন । তখন কিছু সংখ্যক লোক ছাড়া সবাই মূর্তি ভাঙ্গার পক্ষে ছিলেন।
কাজেই জনসমর্থন ছাড়া ইসলাস কোন কাজকেই সমর্থন করেনা।
এখন আসি আমাদের দেশীয় প্রেক্ষাপটে।
হাজীদের প্রতি পূর্নশ্রদ্ধা জানিয়েই বলছি সত্যি করে বলুনতো আমাদের দেশের শতকরা কতজন মানুষ মনে করেন ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলা উচিত।সংখ্যাটা নিশ্চয়ই আমাদের টোটাল জনসংখ্যার ৪-৫% -এর বেশি হবেনা।এই ৪-৫ % এর জন্য ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলার জন্য তারা আন্দোলন সংগ্রাম করার মধ্য দিয়ে ইসলামকে বিশ্বের কাছে অমানবিক হিসেবে উপস্থাপন করছেনা ? যদি নাই করে থাকে।তাহলে আপনাদেরকে (যারা ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলেছেন)যা যা অবশ্যই করতে হবে তাহল
১.বিমানে করে হজ্বে যাওয়া যাবেনা কারণ এগুলো(বিমান গুলো) সুদের টাকা দিয়ে কেনা।
২.সরকারী অনুদান দেয়া কোন মসজিদ-মাদ্রাসায় নামায পড়া যাবেনা।কারণ এগুলোর পরিছালনার খরচ আসে সুদের টাকা থেকে।
বললে আরও অনেক বলা যাবে।
জানি আপনারা তা করবেননা।কেন করবেননা তা আমি বলতে যাবনা।আর হে ভাল কথা এই জিনিস গুলোকে হালাল করার মাসাআলাও নিশ্চয়ই রেডি করা আছে।