তোমার অনেক সত্য আমি বিশ্বাস করতে চাই না। কিন্তু সত্য সত্যই। আমার অবিশ্বাসে তা বদলে যাবে না। তোমার সত্যকে মিথ্যায় ধারণ করি বলেই আমি ভালবাসতে পারি। কি বিস্ময় দেখো- সত্যও কখনও কখনও নিকৃষ্ট ও ঘিন কাঠামোয় অবয়ব নেয় আর মিথ্যার স্তম্ভে আশ্রয় দিতে হয় বিশ্বাস,ভালবাসার। সত্যটা এই তুমি পথবধু নও তুমি বহুগামী। পথবুধুরাতো সারভাইভার আর বহুগামীরা সিনার। তাইতো গোপনীয়তা ও শর্ত দিয়ে তোমার বসবাসের দেয়াল।সত্যটা এই তোমরা বদলাও না,আর বদলাওনা বলেই সময় ও বয়স তোমাদের বীভৎস পরিনতি নিয়ে অপেক্ষা করে। মিথ্যাটা এর বিপরীত,যে মিথ্যা হৃদয় ভস্ম আর বিলাপ অশ্র“ও প্রলেপ দিয়ে আড়াল করেছে তোমার এইসব সত্যকে- ভালবাসার জন্য,শুধুই তোমাকে ভালবাসার জন্য।
জানো,তোমার স্বার্থপরতার চরিত্র আমার কাছে শিল্প মনে হয়। আক্ষরিক অর্থেই তাই। তোমার চরিত্রের ব্যবহারিক মনস্তত্ত্বের কাঠামো ধরতে গেলে অতিমাত্রিক মানুষ হতে হবে। স্বার্থপরতাকে বৈধ করে নেয়ার এমন দক্ষ চরিত্রের জন্য তোমাকে বাহবা না দিলে সৃষ্টিশীলতার মূল্যায়নে অন্যায় হবে। কী অনায়াসে তুমি বলে ফেল,‘আমার কোন প্রয়োজন ছাড়া তোমার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই,তোমার প্রয়োজনতো প্রশ্নই আসে না’’। কারন তুমি জানো,পেছনে আমার ভালবাসার দেয়াল। যেখানে ধাক্কা খেয়ে আমি বারবার তোমার কাছেই ফিরে আসবো। আমি হেসে উঠি,হাসি আমার বরাবরই উপভোগ্য তবে এ হাসি উগড়ে দেয়া হাসি। যা বের না করে দিলে আমার ভেতরে ঢুকে যাওয়া তোমার দুর্গন্ধ থেকে আমি কোন কালেই পবিত্র হব না।
আমি জানি,আমার কোন পথ খোলা নেই। কারন পেছনে যে ভালবাসার দেয়াল আমি গড়েছি স্রষ্ট্রা হয়েও আমি তা ভাঙ্গার ক্ষমতা রাখিনি,আমি বিশ্বাস করেছিলাম তোমায়। আর আমার সামনে তুমি- এক বীভৎস ভাগাড়। যেখানে অগনিত পাপী বীর্য্যরে স্তুপ আর স্তুপ থেকে ক্রমাগত জন্ম নিচ্ছে তোমার একেকটি নিকৃষ্টতম নষ্ট অবয়ব,ঘিন।
তারপরও এটাও সত্য যে ধ্বংসের পরিনতি নিযেই সৃষ্টির গড়ে ওঠা। ভালবাসার দেয়াল ভাঙ্গার ক্ষমতা যেহেতু রাখিনি তাই তার ধ্বংসের পরিনতিতেই আমার অপেক্ষা। জানো,কত সহস্রকাল ওপার দেয়ালে অপেক্ষায় আছে,- অফুরন্ত নরোম সবুজ,অসীম আকাশ,চোখের পাঁপড়ি চুমুর বৃষ্টি,কত কোমল আলো আর আমার কুসুম ঘুম।
পর্ব ১৪ এর অংশ বিশেষ]