“আজ আমি তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করলাম, আমার নিয়ামত তোমাদের উপর
সম্পন্ন করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম।”
[সূরা মায়েদা]
সাথে সাথে মহানবীর কল্যাণমূলক কর্মসূচীর প্রতি নির্দেশ করে কুরআনে আরো ঘোষণা করা হয়েছেঃ
“রাসূলের জীবনের মধ্যেই রয়েছে তোমাদের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ।”
রাসূলের [সা] কর্মসূচী
১• সামাজিক
১। দুর্নীতি প্রতিরোধঃ দুর্নীতি অধিক পরিচিত শব্দ। এ সম্পর্কে আমরা সকলেই কমবেশী কিছু জানি। নীতি বহির্ভূত কোন কাজই হচ্ছে দুর্নীতি। তিন অক্ষরের শব্দ এ দুর্নীতির কালো থাবায় আজ গ্রাস করছে সারা বিশ্বকে। পৃথিবীর মানুষ নানা দুর্নীতির শিকারে পর্যদুস্ত। কোন মহান নেতাই যেন এ দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিতে পারছেন না। এর কারণও দুর্নীতি। ধ্বংসের বেলাভূমিতে দাঁড়িয়ে আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় সর্বকালে কালজয়ী দুর্নীতি প্রতিরোধক হযরত মুহাম্মাদ [সা]-এর কথা। সমাজ থেকে নানা দুর্নীতি উচ্ছেদে হযরত মুহাম্মাদ [সা]-এর গ্রহণীয় পদক্ষেপগুলো ছিল অবিস্মরণীয়। তিনি মানুষকে শাশ্বত বাণীর নীতিমালা দ্বারা লোকদিগকে সতর্ক করেছেন। কালামে পাকে ঘোষিত হয়েছেঃ
“তোমরা মাপার সময় পুরোপুরি মেপে দিবে এবং সঠিক পাল্লা দ্বারা ওজন করবে।” [সূরা বানী ইসরাইল]
হাদীসে আরো বলা হয়েছেঃ
“যে ব্যক্তি [বেচা-কেনায়] ধোকা দিবে সে আমাদের দলভুক্ত নয়।”
দুর্নীতির সর্বোচ্চ ঘাঁটি সুদের বিরুদ্ধে হযরত মুহাম্মাদ [সা] ছিলেন অত্যন্ত কঠোর। তিনি মদীনা সনদের শর্তে সুদ নিষিদ্ধ ও হারাম ঘোষণা করেন। সাথে সাথে আল্লাহর বাণী ঘোষিত হয়ঃ অর্থাৎ “আল্লাহ সুদকে হারাম করেছেন এবং ব্যবসাকে হালাল করেছেন।” এছাড়া তিনি নিজেই উচ্চারণ করেছেনঃ
“সুদ যে খায়, যে দেয়, যে লিখে এবং যে সাক্ষ্য দেয়, সকলের প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত।” রাসূল [সা] আরো বলেছেনঃ “ঘুষ দাতা এবং ঘুষ গ্রহীতা উভয়ই জাহান্নামের অধিবাসী।” (চলবে)
শুরু পর্ব