লোক মুখে শুনলাম এখানে একটি মসজিদ আছে । নাম চিনি মসজিদ। ছোট ছোট সাদা চিনামাটির পাত্রের টুকরো দিয়ে তৈরী এই মসজিদ তাই এর নাম চিনি মসজিদ। চিনি মসজিদের ইতিহাস আমি কিছুই জানি না। বাংলাপিডিয়া তেও কিছুই পেলাম না। এর নামই নেই কোথাও।
নিলফামারী জেলার একটি উপজেলা সৈয়দপুর। এই সৈয়দপুর একসময় কামরুপ রাজ্যের অধীনে ছিল। গৌড়াধিপতি আলাউদ্দিন সৈয়দ হোসেন শাহ কামরুপ অভি্যান করার প্রাক্কালে সৈয়দপুরের অদূরে কেল্লাবাড়ির হাটে একটি দূর্গ নির্মান করেন। পরবর্তিতে তারা এই স্থানটির জায়গীর প্রাপ্ত হন। তারা ১৮৬৩সালে এই মসজিদ নির্মান করেন। এর স্থাপত্য নিদর্শন মুঘলশাসনামলের মধ্যযুগের সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
বেশ উৎসাহ নিয়ে মসজিদ দেখতে গেলাম। গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথে তিন/ চার জন মুসল্লি চিৎকার করে নিষেধ করলেন মসজিদের গেটে যেন আমি পা না দেই। হাতে ক্যামেরা দেখে হয়তো আগেই বললো। বাইরে থেকে তাই যতটা সম্ভব ছবি তুললাম।
এখানে আমার কিছুই বলার নেই করার ও নেই। একজন মুসলিম নারী হিসাবে আমার হয়ত মসজিদে যাওয়া নিষেধ। তবে এই নিষেধটা আমাকে মানুষ হিসাবে অপমান করেছে, আমি কষ্ট পেয়েছি। অনেকে অনেক যুক্তি দেখাবেন যে যুক্তি তাদের নিজস্ব বিবেককে সন্তুষ্ট হয়তো করবে, তারা অন্য কোন যুক্তির কথা শুনতেও চাইবে না বুঝতেও চাইবে না কিন্তু মানুষ হিসাবে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসাবে আমি অপমানিত।
ব্লগে দেবার উদ্দেশ্যেই চিনি মসজিদের ছবি তুলতে গিয়েছিলাম। যতটা উৎসাহের সাথে গিয়েছিলাম ততটাই বেদনার সাথে পোস্ট করলাম।