




প্রজাপতি প্রেমের প্রতিক ভালবাসার প্রতিক । জোড় বাধার প্রতিক। খাঁটি বাংলার সংস্কৃতিতে বিয়ের লগ্নকে প্রজাপতির লগ্ন বলা হয়।
এই শরতে অসংখ্য প্রজাপতি ফুলে ফুলে উড়ে বেড়ায়। হয়ত বর্ষার শেষে এদের জন্ম । নতুন জন্মের আনন্দেই বিভোর এরা । ফুলে ফুলে উড়ে উড়ে নেচে নেচে মধু খায় । ঘুরে বেরায়।
সারা বছরই চলে তাদের নাচানাচি, তবে শরতেই ওদের আনাগোনা বেশি চোখে পরে। আমার বাগানের রঙ্গন ফুল গাছকে ঘিরে চলে প্রজাপতিদের সবচেয়ে বেশি উৎসব । ওদের নাচানাচি দেখতে দেখতে কখন যে বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে ।
স্কুল থেকে ফিরে আমার বাচ্চাদের অনেক কাজের অন্যতম একটি কাজ প্রজাপতি ধরে কাঁচের জারে রাখা এবং রাতের বেলা ছেড়ে দেয়া।
এক নাম পরিচয় না জানা ব্লগার বন্ধু লিখেছিলেন প্রজাপতি নিয়ে একটি অসাধারন ছোট গল্প। গল্প শেষে বেদনা নিয়ে তিনি বলেছিলেন -- আমি অনেক রঙের অনেক প্রজাপতি দেখেছি। লাল, হলুদ, নীল, সাদা, কাল, কমলা -- কিন্তু কখন ও সবুজ প্রজাপতি দেখিনি।
আমি এই বন্ধুকে বলেছিলাম আমি সবুজ প্রজাপতি দেখেছি। যদি সম্ভব হয় আমি ছবি তুলে আপনাকে দেখাব।
এর পর দিন চলে গেছে মাসের পর মাস। আমি তাকে ভুলেই গিয়েছি। হঠাৎ দেখি কাল রাতে আমার বাথরুমের দেয়ালে সবুজ প্রজাপতি। মনে পরে গেল সেই বন্ধুর কথা।
মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে তুলে ফেললাম কয়েকটি ছবি।
সেই নাম না জানা ব্লগার বন্ধু এখন ও ব্লগে আসেন কিনা জানি না? তার নাম ধাম কিছুই মনে নেই। তবুও সবার জন্য আমার ভাললাগাটুকু ছড়িয়ে দিলাম।