বাংলাদেশ টেলিভিশনের খবরে দেখলাম নিজ দল জাসদ (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল) এর এক অনুষ্ঠানে দলের সভাপতি ও তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ইসলামী সমমনা ১২ দলের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। তাদের যৌক্তিক দাবির প্রতি সরকারের সমর্থন আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ধর্মীয় বিদ্বেষ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি তিনি হরতাল প্রত্যাহার করে নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
বিষয়টা বুঝলাম না। তবে কী সরকার স্বীকার করে নিল যে ব্লগ-এ ধর্মীয় বিদ্বেষ সৃষ্টিকারী লেখা প্রকাশ করা হয়? অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী বিষয়গুলো জানবার।
তবে একটা বিষয় হচ্ছে যদি ধরেও নেই গতকালের ম্যাসকারে জামাতের ইন্ধন ছিল। তবে এক্ষেত্রেও বলব জামাত-শিবির সফলই। জামাত তো চায়ই দেশ অস্থিতিশীল হোক, কিন্তু জামাতের কোর্টে বল চালান দিয়ে তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে যারা সহায়ক ভূমিকা রাখছে তাদের বিরুদ্ধে আসলেই ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও আওয়ামীলীগ এর বিগত সরকারগুলো জামাতকে সঙ্গে নিয়ে জামাতের শক্তি বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করেছিল। যে কারণে আজ জামাত-শিবির লাগামছাড়া। জামাতের লাগাম টেনে ধরতে যে শক্ত আদর্শ দরকার, সেটা এখনও দেখা যাচ্ছে না। সুবিধাবাদী রাজনীতি করে বিএনপি ও আওয়ামীলীগ। জাতিয় পার্টি তথৈবচ। বামদলগুলো দ্বিধাবিভক্ত। তবু কমিউনিস্ট পার্টির আদর্শই এদের মধ্যে সবচাইতে ভাল। কিন্তু সুবিধাবাদী রাজনীতি ও তাদের পৃষ্ঠপোষকরা কখনোই কমিউনিস্ট আদর্শ প্রতিষ্ঠা হতে দিবে না। তারা জামাতের মতই কমিউনিস্ট আদর্শকেও শত্রুস্থানীয় মনে করে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩