বাংলায় সাইন্স ফিকশন কথাটা শুনলেই মনে হয়ে যায় জাফর ইকবাল স্যারের কথা (যিনি আমার স্যার ছিলেন না, তবে আমার স্যারের স্যার ছিলেন)। কি প্রচন্ড আগ্রহেই না সেই সব সাইন্স ফিকশন বইগুলো পড়েছি। কোন একটি বইয়ে স্যার লিখেছিলেন যে, তিনি কখনও বিজ্ঞানকে অবমাননা করে কল্প বিজ্ঞান লিখবেন না। ফলে স্যারের বইয়ে কল্প বিজ্ঞানের মধ্যেও অনেক সূত্র ও অর্থবহ তথ্য থাকে।
তাঁরই লেখা - সায়রা সাইন্টিস্ট বইয়ের গল্প নিয়ে প্রাক্তন চলচিত্র নায়িকা রোজিনা নির্মান করেন - মোল্লা গজনফর আলী টেলিছবি (গত রোজার ইদে প্রচারিত হয়)।
বিগত যৌবনা বাতিল চলচিত্র নায়িকা রোজিনাকে আসলে আমার কিছুই বলার নেই। বাংলাদেশের চলচিত্র নায়িকাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বিজ্ঞান বোঝার ক্ষমতা কতটুকু তা নিয়ে প্রশ্ন করার অবকাশ নেই। কিন্তু তাকে যদি সায়েন্স ফিকশন নাটক বানানোর দ্বায় দেওয়া হয় তবে কি হতে পারে?
নায়ক মাহফুজের ন্যাকামী ও নায়িকা রোজীনার সাথে কল্প নৃত্য (সাইন্স ফিকশন!) নিয়েও আমার কিছু বলার নেই। অতি হাস্যকর যন্তুরপাতি (বালতিতে ভাত রান্নার অদৃশ্য যন্ত্র, সাইকেল চালানোর হেলমেট- যা মাথায় বিশেষ নিওরণ সিমুলেশন দিতে পারে, বৃটিশ আমলের মনিটরের স্ক্রিন সেভারকে নিউরণ সিমুলেটর সফটওয়্যার হিসেবে দেখানো) হলো তাতেও কিছু ধরলাম না।
কিন্তু জাফর ইকবাল স্যার কি করে এই ধরনের বিজ্ঞান অবমাননাকর একটি নাটক নির্মানের পর (ধরলাম স্যারকে না জানিয়েই নির্মান করা হয়েছে) প্রচারিত হতে দিলেন তাও বুঝলাম না।
স্যারকে প্রশ্ন করার ক্ষমতা আমার নেই। তাই প্রিয় আমার ব্লগারদেরই দুঃখের কথাটি বল্লাম। অন্তত ভবিষ্যতে যদি কেউ কল্প বিজ্ঞানের নাটক বানায় তবে যাতে বিজ্ঞান কি জিনিষ তা জেনেই কাজে হাত দেয়।
ছোট একটু বিজ্ঞপন বিরতি- এসো প্রোগ্রামিং শিখি
ও একটি মামুর বাড়ীর আবদার-
এট্টু খরচ করে নাটক বানান না রে ভাই..
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৩১