[কিছুদিন আগে একটি প্রকাশিত সংবাদে দেখা গিয়েছে শফিক রাহমান নামে একজন টাক মাথা বুড়ো বেগম কালদাজিয়ার ভাষন লিখে দেন। আমার বড়ই মনস্কামনা, আমি আমদের রাজনৈতিক নেতাদের ভাষন নিজ মস্তিষ্ক হইতে প্রসব করি। শেষ পযর্ন্ত আমার ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। গতকাল নেতারা সামুর জন্ম বার্ষিকীতে যে বক্তৃতা দিয়েছেন তা এই আভাজনের লেখা। উনারা কি বলেছিলেন বা আমি কি লিখেছিলাম তা আপনাদের জানাইতে মুঞ্চায়। তাই এ পুষ্ট।এ লেখাটি ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হবে। আজকে সাহারাপ্পুর বক্তব্য।]
সারাকাতুন গতকইল্ল সামুর জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আনুষ্ঠানে ছিলেন প্রধান অতিথি। উক্ত আনুষ্ঠানে তিনি যা বলেছিলেন তা এইরকম।
‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আজকের এই মহতী পয়দা দিবস অনুষ্ঠানে উপস্থিত মডু এবং আমার প্রাণপ্রিয় ব্লগার ভাই ও বোনেরা, আসসালামু আলাইকুম।’
‘আজকের এই পয়দা দিবসে আমি স্মরণ করছি আমাদের জাতীর জনককে। তিনি আমাদের জাতীকে পয়দা না করলে, আপনারাই বলেন সামু কি কখনও পয়দা হতে পারত। পারত না। তিনি ছিলেন বলেই আজ আমরা আছি, সামু আছে। আমি স্মরণ করছি আমাদের নেত্রী, আমাদের রত্ন, রত্ন গর্ভা, জাতীর জনকের কণ্যা বেগম শেকাসিনাকে। আপনারা জানেন খ্রিস্টপূর্ব ৩২০ সালে তিনি সামুর প্রতিষ্ঠার জন্য কি আপোষহীন আন্দোলন করেছিলেন। আমি আজ স্মরণ করছি আমার সেই সকল সহকর্মীকে, যারা সামুর পয়দার জন্য রাজপথে রক্ত ঝরিয়েছিলেন।’
‘বাংলাদেশকে ডিজি-টাল করার জন্য আমরা যে সকল পদক্ষেপ নিয়েছিলাম তার মধ্যে অন্যতম ছিল ব্লগ সবার জন্য উন্মুক্ত করা। হ্যাঁ। আমরা তা করেছি। আমরা সকল মুক্তিযোদ্ধা ও দেশপ্রেমিকদের সাথে সাথে রাজাকার, ছাগু ও লুলদের জন্য ব্লগ উন্মুক্ত করে দিয়েছি। সবাই একসাথে কাজ না করলে দেশ ডিজি-টাল হবে কিভাবে আপনারাই বলেন।’
‘সামুতে অতি সম্প্রতি আমাদের ডিজি-টাল সরকার যে সকল একশন নিতে যাচ্ছি তা সম্পর্কে আপনাদের অবহিত করে সামু সম্পর্কে আমাদের সদিচ্ছার কথা আপনাদের জানাতে চাই।’
‘প্রথম, আপনারা জানেন, আমরা যখন ক্ষমতায় আসি তখন সেনানিবাসের একটি বিশেষ বাড়ির বিশেষ মহলের উষ্কানিতে দেশে ইভটিজারদের দৌরাত্ম আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ইভটিজিং এর বিরুদ্ধে আমাদের সরকার ছিল সবসময়-ই সোচ্ছার। তাই ইভটিজিং রোধে আমরা সেনানিবাসের ঐ বিশেষ বাড়ি থেকে ঐ বিশেষ মহলকে উচ্ছেদ করেছি। আমাদের সংগ্রামি, সরকারের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ পুলিশ বাহিনী ইভটিজারদের বিরিদ্ধে তাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তারই অংশ হিসেবে আমরা সামু থেকে কতিপয় ইভটিজার ও লুলদের ব্যান করতে চাই।সামুতে কয়েকদিন আগে আলিম আল রাজি নামে একজন ব্লগার ‘মেয়ে পটানোর সহজ উপায়’ নামে একটি ব্লগ লিখেছেন। আপনারা চিন্তা করে দেখেন কতবড় ইভটিজার হলে এরকম একটা পোস্ট লিখতে পারে। তাই আজকে আলিম আল রাজি এবং তার ঐ পোস্টে যারা যারা প্লাস দিয়েছিলেন তাদের সবাইকে ব্যান ঘোষণা করা হল। আমি জানি দেশে এখনও সাকাচৌ ও এরশাদের মত দুঃশ্চরিত্রের লোক রয়েছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছি। ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আমরা তাদের জেলে ঢুকাতে পারব বলে আমাদের ওয়াদা রইল। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা বিডিআর বিদ্রোহের খবর দিতে না পারলেও সামুতে যে কিছু সংখ্যক লুল চরিত্রের ব্লগার আছে তা নিশ্চিত করেছে। তাদের লিস্ট আমাদের হাতে পৌঁচেছে। অতি শীঘ্রই তাদেরও ব্যান ঘোষণা করা হবে।’
‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্থ করার জন্য একটি বিশেষ মহল সামুতে চালিয়ে আসছে প্রচারণা। আমি পরিষ্কার অক্ষরে বলে দিতে চাই, কেউ যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্থ করার কোন অপচেষ্টা চালায় তবে তাকে সাথে সাথে ব্যান করা হবে। সামুতে এখন জামায়াতে ইসলামীর চর ঢুকেছে। তারা সরকারের বিরুদ্ধে শুরু করেছে প্রচারণা। এইসকল তিনকোণা চারকোণাদের বিরুদ্ধে আমাদের সরকার সবসময়-ই সজাগ। আমাদের নেত্রী শেকাসিনা এই সকল ডিজিটাল সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।’
‘সামুতে এখন আমাদের প্রাণপ্রিয় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে মিথ্যা প্রচারণা। ছাত্রলীগ নাকি দেশে হত্যা, রাহাজানি, টেন্ডারবাজি ইত্যাদি শুরু করেছে। কিছুদিন আগে একজন জনপ্রতিনিধিকে রাস্তায় পিঠিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কিছুই নয়। সামুতে অপবাদ জুটেছে এ কাজ নাকি করেছে ছাত্রলীগ। কিন্তু, আমি আপনি সকলেই জানি এটা মিথ্যা অপবাদ ছাড়া কিছুই নয়। আমাদের ডিজিটাল সরকারের ডিজিটালতার সুযোগ নিয়ে একটি বিশেষ মহল এ কাজটি করেছে। এ কাজটি তারাই করেছে এবং ভিডিও ফুটেজটিকে ডিজিটালি এডিট করে তাদের নেতা-কর্মীর জায়গায় আমাদের নেতাকর্মীর মুখ লাগিয়ে দিয়েছে। আমরা এই সকল অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার। আর যদি সামুতে এই রকম মিথ্যা প্রচারণা চলে তাহলে আমরা কিন্তু চুপ করে থাকব না।’
‘গতকাল মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে আমরা একটি সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছি। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, আমাদের সরকার সামু-র নাম পরিবর্তন করে আমু বা আম্বালীগ ইন ব্লগ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপনারা নিশ্চয় জানেন খ্রিস্টপূর্ব ৩২৬ সালে যখন আমরা ক্ষমতায় ছিলাম তখন সামু-র নাম আমু-ই ছিল। কিন্তু খ্রিস্টপূর্ব ৩৩১ সালে কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে যখন একটি বিশেষ মহল ক্ষমতায় এলো তখন তারা এর নাম পরিবর্ত্ন করে রাখে সামু। তাদেরকে শিক্ষা দেয়ার জন্যই আমরা আবার পূর্ব নামে ফিরে যাচ্ছি। হিসাব করে দেখা গেছে, এ নাম পরিবর্ত্নের জন্য খরচ হবে মাত্র ১২০০ কোটি ডলার, যার পুরোটাই ভারত সরকার আমাদের ঋণ হিসেবে দিচ্ছে।’
‘আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার আগে ঘোষণা দিয়েছিলাম আমরা চালের দাম কমাব। চালের দাম কমাতে না পারলেও আমরা কমাব নেটের স্পিড। মানুষ দুধের স্বাদ ঘোলে মেটায়, আমরা চালের দাম মেটাব নেটের স্পিডে।’
‘সবার শেষে আমি আবারও জাতির জনক ও আমাদের নেত্রীর কথা স্মরণ করে আমার বক্তব্য শেষ করছি। জয় বাংলা, জয় বংগবন্ধু।’
[আগামীতে আসছে খন্দকার দেলুর বক্তব্য]