আগামীকাল ১০ তারিখ তেল-গ্যাস-বিদু্ৎ-বন্দর ও জাতীয় সম্পদ রক্ষা জাতীয় কমিটির আরেকটি বড়ো কেন্দ্রীয় প্রোগ্রাম, সকাল ১১টায় ঢাকার পল্টনের মুক্তাঙ্গন থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা।
আমার ধারণা, এটি শুধু একটা রুটিন প্রোগ্রাম নয়, আমাদের এই দেশের জনগণের নতুন রাজনৈতিক পরিচয় নির্মাণের একটা গুরুত্বপূর্ণ ধাপও বটে। আপনারা দেখুন, বর্তমান সরকার আর তার আগের বিএনপি সরকার - এরা মার্কিন-ভারত সাম্রাজ্যবাদের এতই পদলেহী যে, যে সাম্রাজ্যবাদের হাতে ২ বছর আগেই এদের চরম হেনস্থা হয়েছিল, যে সাম্রাজ্যবাদ এদেরকে রাজনীতি থেকে বাদ দেয়ার সব রকম চেষ্টাই করেছিল, সেই সাম্রাজ্যবাদেরই নিয়ন্ত্রণে আবার দেশের সম্পদ পাচারের উদ্যোগ নিতে বর্তমান সরকারের কোন সমস্যাই হচ্ছে না। এরা দেশের শিল্পের বিরোধী (গ্যাস-কয়লা ছাড়া যেহেতু দেশের শিল্পের বিকাশ সম্ভব নয়), দেশের সার্বভৌমত্বের বিরোধী (সম্পদের উপর নিয়ন্ত্রণহীন দেশ সার্বভৌমত্বের দাবিদার-এটা নেহাত ভাঁওতাবাজি), আত্মমর্যাদাশূন্য এক সরকার। হামিদ কারজাই সরকারের সাথে এদের খুব বেশি পার্থক্য আছে বলে আমার আসলেই মনে হয় না। এদের বদলে জাতীয় সার্বভৌমত্ব অর্জনের নতুন রাজনৈতিক শক্তির আবির্ভাব তাই আজ অনেক জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই সরকারের পক্ষে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করাও সম্ভব নয়। কারণ যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ১৯৭১এর যুদ্ধাপরাধের মূল পরিকল্পনাকারী, তার আজ্ঞাবহ থেকে এই গণহত্যার বিচার করা তাদের পক্ষে শ্রেণীগতভাবেই অসম্ভব বটে।
জনগণের আগামীকাল এক আক্রমণাত্মক সমাবেশ যে সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী শক্তির আবির্ভাবকে অনেক দ্রুততর করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই অাসুন, কাল ১১টায় মু্ক্তাঙ্গনে জড়ো হই, নতুন মুক্তিযুদ্ধের ভিত রচনা করি, তৌফিক এলাহী-আইনুন নিশাত-ম.তানিম সহ আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যস্থ সাম্রাজ্যবাদের দালাল তথা নয়া রাজাকার-আলবদরদের কবর তৈরির কাজ শুরু করি। ঈদের আগে কালকের দিনটা সকাল ১১টায় সব জরুরি কাজ বাদ রাখি, মুক্তাঙ্গনে জড়ো হই। আওয়ামী 'দিনবদল' নয়, সত্যিকার দিনবদলের সূচনা করি।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৩৬