কত দিন নিজেকে ভুলে থাকব বলতে পার
শুধাংশু দা? কতদিন বাসনা বিলাসহীন হয়ে বসন্ত বিনাশ করব বলতে পার আমায়?
বরষার ঝিরিঝিরি বারিধারায় আর কত একা একা
ভেজা যায় তুমিই বল দাদা। গ্রীষ্মের দাবদাহে
তুমি তো দেখেছ আমি কতটা ব্যাকুল নয়নে তার
আসার আশায় পথপানে চেয়ে থেকে চোখ
দুটোকে দহন জ্বালায় জ্বালিয়েছি। শরতের
শুভ্রতায় মেতে সবাই যখন প্রেম অভিসারে
ছুটেছে কাশবনে আমি তখন নির্জন দুপুরে প্রহর
গুনেছি, সে আসবে বলে। কিন্তু শুধা দা সে তো
আসার নামটিও নিলো না একটিবারও।
উত্তরের হাওয়া যখন শরীরে কাপন ধরিয়েছে
তখনো তো গৃহাগত হয়ে উষ্ণতা খুঁজিনি আমি,
বরং উদাসী মন, তিয়াসী নয়ন তারেই খুঁজে
ফিরেছে সারাক্ষণ। শুধা দা, নবান্নের ঘ্রাণে
মাতাল আমি কাকে খুঁজেছি সে তোমার অজানা
নয় বলো। কিন্তু সে তো এলো না দাদা,
একটিবারও বলল না, "হিমাংশু তোমায় ভালবাসি।"
কি হলো শুধা দা? মুখ ফিরিয়ে নিলে যে!
বুঝেছি ভাবছ বুঝি পাগল হয়েছি না?
না দাদা ভয় পেয়ো না, পাগল আমি সেই কবেই হয়েছি,
নতুন করে আর পাগল হব কেন বলো ?
সে তো এলোই না তবে কিসের আনন্দে পাগল
হব বলতে পার? একি শুধাংশু দা চলে যাচ্ছ যে বড়!
থাক তুমি বরং চলেই যাও, আমার সেজুঁতি যে
বড্ড লাজুক, যদি তোমায় দেখে পালিয়ে যায়!!
কিন্তু সুধা দা তোমার চোখে জল কেন!
কি বললে? সে আর কখনোই আসবে না!
দূর বোকা তুমি বুঝি ভাবছ সে..... কিন্তু আমি যে
তন্নতন্ন করে খুঁজেও কোথাও পাইনি তাকে,
হিমঘরের কোন কোণটা খোঁজা বাদ দিয়েছি বল?
তাই তো বসে আছি তারই আশায়, তুমি দেখ,
তুমি দেখ সুধা দা, একদিন ঠিক সে চলে আসবে আমার কাছে; সব ফেলে। আর যদি না'ই আসে তাতে কি?
আমিই না হয়.....
--সবুজ আবু ফাত্তাহ--