জনাব,
রেজাউল করিম, আপনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির এর বিভিন্ন র্পযায়ে দায়িত্ব পালন করার পর সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি র্নিবাচিত হয়েছেন, তাতে আমার কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু র্বতমানে আপনি পরপর যে সব কাজ করে যাচ্ছেন তাতে আপনার উপর সারা দেশের যে সব সদস্যরা আপনাকে সভাপতি বানিয়েছিল তারা সম্ভবত সকলেই আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। আমার মনে হয় এখন যদি আবার র্নিবাচন দেয়া হয়, তবে আপনি এক ভোট পাবেন কিনা সন্দেহ আছে। আপনি শিবিরের ডাইনামিক লিডার শিশির মনির কে তার পদ থেকে সর্ম্পুন একক ইচ্ছায় সরিয়ে দিয়েছেন। র্বতমান সময়ের আলোকে যিনি শিবিরের অন্যতম জনপ্রিয় নেতা হিসেবে গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছে এবং যার কাছে শিবির নেতা-কর্মীরা আশা করছিল শিবিরকে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা থেকে সুচিন্তিত বুদ্ধিমত্তার সাথে মোকাবেলা করে এগিয়ে নিয়ে যাবে। যার বুদ্ধিমত্তা, প্রজ্ঞা বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনশক্তির মাঝে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। যা শিবিরের গতানুগতিক নেতৃত্বে খুজে পাওয়া যায় না। আমার মনে হয় আপনি তার জনপ্রিয়তার কাছে নিজেকে হারিয়ে যেতে দেখে অত্যন্ত সুকৌশলে তাকে পথ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। সেক্রেটারী পদে ছাত্রত্ব রেখে সভাপতি র্নিবাচনের পর উক্ত সেক্রেটারীকে পুনরায় সেক্রেটারী মনোনীত না করা আমার মনে হয় শিবিরের ইতিহাসের প্রথম কোন ঘটনা। তবে হ্যা, আপনি তা করতে পারেন যদি তার পেছনে আপনার এবং র্কাযকরী পরিষদ সদস্যদের কাছে যৌক্তিক কোন কারন স্পষ্ট হয়। সেক্ষেত্রে আপনার এ সিদ্ধান্তটিকে সবাই বাহবা জানাতো। সেক্রেটারীর নাম ঘোষনা করার পর সবাই তা-ই মনে করছিল। কিন্তু সবার ভুল ভাঙ্গলো তখন যখন দেখলো র্কাযকরী পরিষদের সদস্যরা একে একে পদত্যাগ করছে এবং একই সাথে আপনার বিভিন্ন অনুচিত র্কমকান্ড প্রকাশ হচ্ছে। একটি খবরে পাওয়া গেছে যে আপনি জামায়াতের কোন নেতার পরামর্শে একাজটি সম্পাদন করেছেন এবং শিশির মনিরকে ‘র’ এর এজেন্ট হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। র্বতমান পেক্ষাপটে র্কাযকরী পরিষদ সদস্যদের পুন: পুন: পদত্যাগে আপনি এবং জামায়াতের ঐ নেতাকেই ‘র’ এর এজেন্ট মনে হচ্ছে। যারা শিবিরের গতিশীলতাকে ক্ষুন্ন করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।
আপনি শিবিরের ইমেজ অনুযায়ী যদি সভাপতির পদ ধারন করতেন তবে একজন পরিষদ সদস্য আপনার উপর অনাস্থ্ প্রকাশ করছে অনুভব করার সাথে সাথে পদত্যাগ করা জরুরী মনে করতেন। কিন্তু আপনি এখনো স্বপদে বহাল রয়েছেন যা আমাদের অবাক করছে। আপনাকে ইম্পিচমেন্টের মাধ্যমে বাধ্য করা না হলে আপনি সরবেন বলে মনে হচ্ছে না। যেখানে ভারতের মতো দেশে কোন মন্ত্রীর কোন ব্যর্থতার সাথে সাথে তারা পদত্যাগ করে। সেখানে আপনার দ্বারা জাতি কিভাবে আশান্বিত হবে যে শিবির একটি দায়িত্বসচেতন সংগঠন। আসলে শিবিরের সভাপতি হিসেবে আপনার আর এক মুর্হুতের জন্য দায়িত্বপালন করার কোন যোগ্যতা আছে বলে আমার মনে হয় না, যতটুকু আমি শিবির কে জানি। শিবিরের র্কাযকরী পরিষদের সিদ্ধান্তই শিবিরের জন্য এক মাত্র সিদ্ধান্ত বলে সকল সাধারন নেতা-র্কমী মনে করে। সারা দেশের নেতা-র্কমীদের কেউ আর আপনাকে সভাপতি দেখতে চায় না এটা আমি নিশ্চিত বলতে পারি। আপনার পদত্যাগের মাধ্যমেই এ পবিত্র সংগঠনটি আগের চাইতে অনেক বেশী শক্তি নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে বলে আমি মনে করি।
ইতি,
শুভা
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মার্চ, ২০১০ রাত ১২:৫৮