তাড়া ছিল ভীষণ, রসদ জমাতে হবে আরও
ভাড়ারের কাছাকাছি কোথাও দাঁড়িয়ে আছি
আপাদমস্তক প্রথম প্রত্যক্ষের অস্থিরতা
আজ তার আসার কথা,সে আসছে
মুঠোফোনের ভেতর ছটফট করছে প্রতীক্ষা
উপরে বহুতলের ভিতরে উর্ধ্বারোহী পায়তারা
অনুভূমিকে তার অদৃশ্য ইশারা
আমি ইতস্তত হেটে চলে যাই তার কাছে
আমি ফিরে আসি গাড়ির হর্ণে সত্তার জমিনে
আমি উপরের দিকে তাকাই, ক্যারিয়ার ঝুলছে যেখানে
আমি তাকাই আমার কাছে এসে থামা যানগুলোর দিকে
রিক্সা, কার, অটো- একটার পর একটা থামে
নামে বেনামে অগুণিত জন নামে- সে বুঝি ওই এলো!
সোনালী পায়ের ভারে এই বুঝি বুক ভাঙ্গে।
না, কোথাও কেউ নেই সন্ধ্যার বাজারে
নর্দমার থকথকে বুকের মতো নগরীর ব্যাস্ততা
যেন লাথ্থি খাওয়া নেড়ী কুত্তা, কুঁই কুঁই করতে করতে
মিশে যায় নীল নিয়ন আলোর ভিতরে।