ইরান এখন মুসলমানদের নেতা হিসেবে স্বীকৃত কিন্তু একটু ভালো করে দেখলে খটকা লাগবেই। কিছু ফ্যক্টস্ লিখছি এবং যদি ভুল কিছু লিখি সব দায়িত্ব আমার।
১) সিয়া এবং সুন্নি মুসলমান হলেও এক নয়। যদিও আমাদের এদিকে সবাই মিলেমিশে আছে এবং কোন ধরনের গন্ডগোলও হচ্ছে না। এর কারন এদিকের সিয়ারা এক্সট্রিমিস্ট নয়। কিন্তু ইরানের অর্ধেকেরও বেশি এক্সট্রিমিস্ট সিয়া। এরা সুন্নিদের সহ্য করতে পারে না। খোমেনির বই পড়লেই ব্যপারটা বুঝা যায়। সুন্নিদের উনি হারামজাদা বলে উল্লেখ করেছেন অহরহ। এটা পরিষ্কার যে সুন্নিরা নেতৃত্বে থাকলে মুসলমানরা কখনও এক হতে পারবে না এবং আমেরিকা এই কারনেই তাদের লিডার হিসেবে উপস্থাপন করে থাকতে পারে।
২) আমেরিকা যখন ইরাক আক্রমন করলো, ইরান তার আকাশ আমেরিকাকে ব্যবহার করতে দিয়েছে। ইরানের আকাশ ব্যবহার করে ইরাকে মুসলমানদের হত্যা করা হয়েছে এবং ইরান এর অনুমতিও দিয়েছে। কেন? ইরানের ভাষ্য ছিলো, ইরাকে যা কিছুই হোক না কেন, নাজাফ এবং করবালায় যেন এক ফোটা রক্ত না ঝরে। মুসলমানদের জীবনের চেয়ে কারবালার সম্মান তাদের কাছে বেশি যেখানে আমাদের নবী (সঃ) বলেছেন, একজন মুসলিমকে হত্যা করার চেয়ে কাবা'র আপমান আল্লাহর কাছে কম গুরুত্বপূর্ণ। অথচ ইরানের কাছে মুসলমানদের রক্তের চেয়ে কারবালা আর নাজাফের কিছু পাথার বেশি মুল্যবান।
৩) ইরান এত বড় বড় কথা বলছে আমেরিকার বিরুদ্ধে কিন্তু আমেরিকা কিছুই করছেনা। কেন? আমেরিকা ভয় পায়? মোটেও না। আমেরিকা চায় তো যেকোন মুহুর্তে ইরান আক্রমন করতে পারে কিন্তু করছে না। এর কারন সম্ভবত মুসলমানদের একটা মেকি লিডার দেখিয়ে চুপ করে রাখা। সম্ভবত তাদের ধারনা মুসলমানরা ভাববে যা করার ইরান-ই করবে, তারাই আমাদের লিড দিবে এবং দেখুন এমন-ই কিন্তু হচ্ছে।
আপনাদের যদি ভিন্ন মত থাকে তাহলে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।