শেয়ার ব্যবসা এখন অনেক গরম একটা ব্যপার। আমি নিজেও এটা নিয়ে যথেস্ট লাফালাফি করেছি। কিন্তু হালাল না হারাম এটা নিয়ে সন্দেহ ছিলো তাই একটু পড়াশোনা করলাম। কিন্তু ফলাফল ভয়াবহ। শরিয়া মতে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির কোন বৈধতা-ই নাই। হজম করতে আমারও কস্ট হয়েছে। তবে কথাগুলায় লজিক আছে। আমি যা পেয়েছি তা অনুবাদ করে দিচ্ছি, আপনাদের মতামত শুনতে চাই।
পয়েন্ট ১) পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি মালিকদের দায় সীমিত করে দিয়েছে। কোন পাওনাদার যদি তার পাওনা টাকা ফেরত চায় তবে তা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির সম্পদ থেকে দেয়া হবে। যদি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির সম্পদ পুরো টাকা দিতে ব্যার্থ হয় তবে বাকি টাকা মালিকদের কাছে চাওয়া যাবে না (মালিকদের যতো টাকাই থাকুক না কেন)। পাওনাদার তার পাওনা টাকা ফিরে পাবে কি পাবে না এটা মালিকদের চিন্তার বিষয় নয় এবং এটা সাভাবিকভাবেই শরিয়া পরিপন্থী কারন ইসলাম পাওনাদারের হক নিয়ে যথেস্ট কঠোর।
পয়েন্ট ২) ইসলামিক শরিয়া মোতাবেক কোম্পানি গঠনের জন্য দুই বা আধিক ব্যক্তির মধ্যে চুক্তি হতে হবে। একপক্ষ পার্টনার হওয়ার প্রস্তাব দিবে এবং অপরপক্ষ তা গ্রহন করবে। এখানে যদি দুটি পক্ষের উপস্থিতি না থাকে এবং প্রস্তাব দেয়া এবং গ্রহনের ঘটনা না ঘটে তবে তা বৈধ চুক্তি হবে না। কিন্তু এখন দুনিয়ায় কি হচ্ছে? আমরা কোন পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির শেয়ার ঐ কোম্পানি থেকে অথবা ঐ কোম্পানির কোন মালিকের কাছ থেকে কিনে নিতে পারি কিন্তু একটা ব্যাপার লক্ষনিয় যে এখানে মালিক পক্ষ কোন প্রস্তাব দিচ্ছে না এমনকি সব মালিক তাদের পার্টনারদের চিনেও না। এখানে কোম্পানি একটি আলাদা সত্তা হিসেবে কাজ করছে।
পয়েন্ট ৩) পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির বিলুপ্তির প্রয়োজন পড়লে এই দায়িত্ত কোন দায়িত্তশীল ব্যক্তিকে দিতে হবে। কিন্তু পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিগুলো নিজেই এক একটা আলাদা সত্তা এবং বিলুপ্তির কাজ কোম্পানি নিজেই করে যা শরিয়া পরিপন্থী।
উপরের পয়েন্টগুলো দেখে বুঝাযায় প্রচলিত পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিগুলো ইসলামি শরিয়া মোতাবেক বৈধ নয়। যেখানে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি-ই অবৈধ সেখানে শেয়ার কেনা বেচা অনেক পরের কথা। এখন আপনারা কি ভাবেন এই ব্যাপারে একটু শুনি। ধন্যবাদ।