‘কিছু কিছু মানুষ আছে যারা মনের দরজায় করাঘাত না করেই অভিসারে মনের বাড়িতে ঢুকে এর ত্রিকোণাকার দোআঁশ মাটির আঙিনায় আধিপত্য শুরু করে দেয় নির্বিঘ্নে। এদের হৃদয়ের অকপট ঔদার্যের স্নিগ্ধ সুবাস মনের সারা বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। আর এদের ঋজু পদের সহজ সুন্দর চারণা হৃদয়কে করে অনুগত। এই মানুষগুলোর মধ্যে এমন একটা মোহনীয় মাধুর্য আছে যে, এদের অকারণ অধিকার ফলানোটা বিরক্তির সৃষ্টি করে না বরং ভালোলাগার পরশ বুলিয়ে দেয়। ছোটচাচি হলেন এই প্রকৃতির মানুষ। ’
ছোটচাচির মোহনীয় মাধুর্যে আমি নিজেও খানিকটা মুগ্ধ। উপন্যাস শেষে তাই ভাবছি—
ভাঙা-গড়ার মোহন খেলায় এ কোন অরূপ কায়া
কোন সে আলোয় মনের ওপর পড়লো তাহার ছায়া ।
মানুষের জীবন ভাঙা-গড়ার খেলাই বটে। ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই’র চরিত্রগুলোর মধ্যেও ভাঙা-গড়ার একটা খেলা দেখা যাবে। আসলে মানুষের মন বড়ই বিচিত্র খেয়ালপূর্ণ। মন নিজেই জানে না সে সত্যিই কি চায়। যা পাওয়ার জন্য সে মরিয়া হয়ে ওঠে; সময়, সম্পদ, সাধনা সবই ব্যয় করে অথচ তা প্রাপ্তির পর একসময় সে তার আর মূল্যায়ন করতে চায় না। কি অদ্ভুত! তাহলে মনের পরম চাওয়াটা আসলে কি?
…মাঝে মাঝে তব দেখা পাই উপন্যাসটি আসছে ‘ঘাসফুল প্রকাশনী’ থেকে। অমর একুশে বইমেলা- ২০১৬ .. প্রচ্ছদটি এঁকেছেন মোস্তাফিজ কারিগর..