
অনির্বাণ , তুমি তো জানতে কি ভীষণ বসন্ত ছিলো আমার
ঘোর বর্ষায় আমার হাতে খেলে বেড়াতো প্রজাপতি
শরতে তুমি কবিতা লিখতে কাশ ফুলের মুগ্ধতায়
আর আমি , কোকিলের সুর ছুঁইয়ে দিতাম তোমায়
অনির্বাণ , মনে আছে তোমার ?
সবার গ্রীষ্ম দিনে আমার শাড়ির হরেক বসন্ত ফুল
তুমি খুব অবাক হতে
বলতে , অরু ! কেমন করে এমন হাসো
তুমি কি বসন্ত রানী !
হেসে গড়াতাম আমি
বলতাম , আমার ঘরে বসন্ত এসে ঘুমিয়ে গেছে
ওকে আর জাগাবো না ।
তুমি কি ভালোবাসায় আমায় ছুঁয়ে বলতে ,
তুমি এমনি থেকো । অরুন্ধতী , বদলে যেও না গো ।
অনির্বাণ ! কেন এমন হয় !
তুমি চলে যেতেই বসন্ত পালালো
শীত বা গ্রীষ্ম কিছুই দিলো না সে
রেখে গেলো কেবল বর্ষা
চোখে মেঘের কালো আনাগোনা তো
বুকে ঝমঝম বৃষ্টি
মনটা সারাক্ষণ ভিজে থাকে সেই বরষায়
কদম হাতে আমি অপেক্ষায় তোমার
আসবে ফিরে অনির্বাণ !
বসন্ত না এলো । তুমিই এসো
এই বৃষ্টি বুকে নিয়ে একবার তোমায় ছোঁবো
অনির্বাণ ! তোমার অরু একবার বসন্ত চায়
একবার আসবে অনু ?
কোকিল গুলো আমায় গান শোনাতে না পেরে কি ক্লান্ত ?
প্রজাপতি কি টিপ হয়েছে কারো !
অনির্বাণ ! অবহেলার দুচোখে একবার দেখো
এই বর্ষা তোমার
আমি ফিরে পেতে চাই আমার বসন্ত দিন
ফিরে পেতে চাই আমার অনির্বাণ !
১৭/০২/২০১২