৩৬ জুলাই এর বিপ্লব স্মরণকালের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণবিপ্লব ছিল , ১৯৭১ এর বিপ্লবকে ছিনতাই করেছিল ভারতের সহায়তায় মুজিব এবং তার লাল বাহিনী । সেই পাপের ফল ভোগ করতে হয়েছে এই জাতিকে ২০২৪ এর ৩৬ জুলাই পর্যন্ত । এদেশের ৯৮% জনগনের ম্যন্ডেট ছিল এই বিপ্লবের স্ব পক্ষে ।
কার কার সহায়তায় সেই সফল বিপ্লবকে ধারণ করে একটা বিপ্লবী সরকার গঠণ করতে না দিয়ে বাতিল সংবিধান এবং বাতিল মাল একজন প্রমাণিত দুর্ণীতিবাজ, খুনের সহযোগী অপরাধী চুপ্পুর অধীন কর্মচারি পরিষদ বানিয়েছিল ? সেটাও জাতির সামনে প্রকাশিত হয়েছে ।
অতএব ছাত্র-জনতাকে ভুল বুঝিয়ে যা করা হয়েছিল, তার পরিণতিতে ৫-৬ ই ফেব্রুিয়ারী খুনী হাসিনা আর ভারতের উস্কানীতে আবারো বিপ্লবী ছাত্র -জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ৩৬ জুলাইকে এক্সটেনশান করে ৫-৬ই ফেব্রয়ারী পর্যন্ত টেনে আনতে বাধ্য হয়েছে ।
এই বিপ্লবকে কিছু তথাকথিত বাম সুশীল ২৬ জন “অপরাধ” বলার ধৃষ্টতা পেল কোথায় ? কে তাদেরকে শক্তি যোগাচ্ছে ?
যদি বি এনপি দলের নেতারা এই ২৬ জনকে সাপোর্ট করেন, তাহলে জাতীয় বেঈমান হিসেবে চিহ্নিত করবে ৩৬ জুলাইয়ের আপনাদের কোটি কোটি সমর্থক সহ দেশের আপামর জনতা । অতএব আপনাদের স্পষ্ট বিবৃতি দেখতে চায় জনগন ।
আপনাদের বুড়ো নেতাদের ভুলের কারণে বংগভবন এবং ক্যান্টনমেন্ট এর ষড়যন্ত্রে ইউনুস সরকারকে বিপ্লবী সরকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে না দিয়ে চরম ভুল করা হয়েছিল , সেই ভুল সংশোধনের জন্য আপনাদেরকেই দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি । যদি সেটা করা হত, তাহলে এই দেশ থেকে চিহ্নিত অপরাধী আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ধরে ধরে ফাসি দিয়ে চিরতরে নির্মূল করা হলে দেশ সঠিক পথে উঠে যেত । কিন্তু আপনাদের দলের নেতাদের গত ৬ মাসের আচরণকে জনগন আওয়ামীদের কার্বনকপি হিসেবে বিবেচনা করছে । এটা কোন অবস্থাতেই কাম্য নয় ।
বি এনপির অসহযোগীতার কারণেই আওয়ামীরা, ভারতের দালাল তথাকথিত সুশীলরা ভারতের সুরে সুর মিলিয়ে গলা উঁচিয়ে কথা বলার সাহস পাচ্ছে । অথচ উচিৎ ছিল এই ৬ মাসে অন্তত আওয়ামী প্রমাণিত সন্ত্রাসীদের ৫ -১০ হাজার ফাসিতে ঝুলিয়ে দেয়া । যেটা ইউনুস সরকারকে দিয়ে খুব সহজেই আপনারা করিয়ে নিতে পারতেন । এরদোয়ান এর প্রতিবিপ্লবীদের কি করেছিল ? আপনার দলের বুড়ো নেতারা কি তা জানেই না ?
এরা কি করে জনগনের আশা পূরণ করবে ? এরাতো রীতিমত ভারতের কৃতদাস এর মত আচরণ করছেন । সেনানিবাসে এখনো যেসব গাদ্দাররা ছদ্মবেশে রয়েছে, তাদেরকে গ্রেফতার করে জেলে পুরতে হবে । তাহলে সেনাবাহিনীকে দেশ প্রেমকি সেনাবাহিনীরা নতুন করে শক্তিশালী ফরমে ফিরে আসবে । ভারতকে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই । তারা আমাদের কাছে ৩৬ জুলাই পরাজিত হয়েছে । এর পর থেকে তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে । আবোল তাবোল প্রোপাগান্ডা করে সারা দুনিয়ায় মিথ্যাবাদী খেতাব জুটেছে তাদের ঘটে । আর আমেরিকান নাগরিককে খুন এবং আদানীর জালিয়াতির কারণে ওরা এখন আমেরেকার চোখের বালি । টিউলিপের দুর্ণীতির কারণে ইউরোপের দেশগুলোরও চোখের বালি হয়ে গেছে । সুতরাং তাদেরকে গোনার টাইম নাই আমাদের । যারা এখনো পরাজিত ভারতের মিথ্যা বয়ান খাওয়াতে চাইবেন, তাদেরকে গণধোলাই এর ব্যবস্থা করবে ছা্রত-জনতা ।
অতএব যারা ৩৬ জুলাইয়ের অসমাপ্ত বিপ্লব, যেটা ৫-৬ ই ফেব্রয়ারীতে শেখ হাসিনা এবং ভারতের কারণে আবারও ঘটেছে। যার ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা জনাব তাজ হাশমী সাহেবও ইতিহাস দিয়ে তুলে ধরেছেন, সেই বিপ্লবীদের যারা অপরাধী বলবে, তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে । ছাত্র-জনতা সবাই আপনারা সোচ্চার হোন, যারা তাদের অপরাধী বলেছে, তারা মূলতঃ দেশের ১৭ কোটি জনগনকে অসম্মান করছে, তারা ভারতের বয়ান খাওয়াচ্ছে । এটা হতে দেয়া যাবে না ।
ভারতের দালালরা সাবধান !!!!
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:০৯