আমার লেখার হাত খুবি খারাপ তাই তেমন একটা পোষ্ট লেখা হয়না। এই জন্য গত কাল থেকে অপেক্ষা করে বসে আছি এই ব্যাপারটা নিয়ে কেউ হয়তো একটা সুন্দর পোষ্ট দিবেন..... কিন্তু কেউ দিলো না তাই আমিই খারাপ হাতে লেখাটা লেখার চেস্টা করলাম। ইদানিং শরন শক্তি ও কমে গেছে বলে মনে হয় অনেক কিছু ঠিক ঠাক মত মনে রাখতে পারি না। গুরুত্বপূর্ন কোন বিষয় নিয়ে লেখার জন্য যেটা সব থেকে বেশি জরুরী বলে আমি মনে করি। যাইহোক মূল কথায় যাওয়া যাক।
গত কালকে কমপিউটার জগৎ আইডি থেকে একটা পোষ্ট আসে বৈশাখী টেলিভিশনে ১৭ মে, রাত ৯.৪৫ মিনিটে ‘প্রযুক্তি পন্যের কপিরাইট বিতর্ক’ নিয়ে একটা লাইভ অনুষ্ঠান হবে। ফোন করার ব্যাবস্থা আছে লাইভ অনুষ্ঠান, যদিও আগে থেকেই সন্দেহ হচ্ছিলো এই অনুষ্ঠানে আমার কথা বলা হবেনা। এই জন্য কমপিউটার জগৎ এর পোষ্টে মন্তব্য করেছিলাম। এইখানে জাব্বার কাগুর গান শুনানো হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রণেতারা গপ সপ করবো। এই সব অনুষ্ঠান আমাদের জন্য না। তয় কাগুর গানে সুর দেয়ার জন্য আমি সারমুনিয়াম নিয়ে বসমু । উনি একি পোষ্ট তিন বার পোষ্ট করেছেন। একি পোষ্ট যদি আমি পর পর তিনবার করতাম তাহলে আমি এতক্ষনে জেনারেল নিঃসঙ্গ থাকতাম। কর্তিপক্ষের আর মডুদের সাথে ওনার খুব ভালো একটা সম্পর্ক আছে এটা আমরা সবাই জানি তাই এই বিষয়ে কথা না বলি। যেই টাইমে অনুষ্ঠানটা দেখাবে ঐটাইমটা আমার আরাম করে ঘুমানোর টাইম তার পরেও ঘুমের খেতা পুড়ে বসে ছিলাম অনুষ্ঠানে কাকের গু = কাগু র কথা শুনার জন্য আর চান্সে ছিলাম কিছু বলার জন্য। অনুষ্ঠানে দুইজন অতিথী ছিলেন একজন কাগু ওনার নাম আর কি নিবো আর একজন ডেটাসফটের প্রধান নির্বাহী পরিচালক মাহবুব জামান। দুইজনকে দেখে মনে হইলো এরা আইটি সেক্টরে না থেকে চট্টগ্রামে শুটকির দোকান দিলে ভালো করতেন। দুজনকেই খাঁটি ব্যাবসাই বলেই মনে হইলো। আচ্ছা অনুষ্ঠান শুরু হইলো কিছু বকবকানি শুনলাম এমন সময় একটা ফোন আসলো। আমি কিন্তু অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার সাথে সাথে ফোনে ট্টাই করতেছি। ফোন বিজি পাচ্ছিলাম। দুই মোবাইল দিয়ে সমানে ট্রাই করতেছি। ৪ বার লাইন পাইছি কিন্তু কেউ ধরে নাই। যিনি ফোন করছে উনার নাম ভুইলা গেছি খালি এই টুকু মনে আছে উনি ব্লগার। যেই ব্লগার ভাই লাইন পাইছে আপনি আমার পোস্টে একটু আওয়াজ দিয়েন আপনার কপালের লগে আমার কপালটা একটা ডলা দিমু। প্রথম ভুলটা আমার ব্লগার ভাই করছে যেটা বলে সেটা হচ্ছে অভ্রকে ওপেন সোর্স বলে। অভ্রযে অপেন সোর্স না সেটা উনি ব্লগের লেখা গুলো পড়লেই বুঝতে পারতেন। যাই হোক এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন কাগু বুঝলাম উনি এই বেপারটা নিয়ে কিছু লেখা পরে একটু সিখে আসছেন। কাগু বসে ছিলেন পায়ের উপরে পা দিয়ে। হাতে ছিলো কপিটাইট আইনের বইটা।
ওপেন সোর্স নিয়ে কাগু বলেছে কেউ যদি মাইক্রোসফটের অফিস কিনে ব্যাবহার করতে না চায় তবেসে ওপেন অফিস ব্যাবহার করতে পারবে। কাগু অনুষ্ঠানের মাঝে দিয়ে বলেছেন বিজয় ওনার ট্রেড মার্ক কেউ সেটাকে ইউনিবিজয় নামে ছারবেন কয়েকটা কি বলদিয়ে সেটা কেমন করে হয়। ইউনিজয় বা ইউনিবিজয় না দিয়ে ওপেনবিজয় বা ফ্রীবিজয় নাম দিলে মনে হয় কাগু আপত্তি করতেন না।

কাগু বলেছে বিজয়ে ইউনিকোডে করা হয়েছে ২০০৪-২০০৫এর দিকে। বিজয় ২০০৪ থেকে ইউনিকোড সাপোর্ট করে। আর অভ্র তার জন্ম থেকে ইউনিকোড সাপোর্ট করে সেই ২০০৩ থেকে। বিজয়ে আসকি আর ইউনিকোড দুইটারই সাপোর্ট আছে। কাগু অভ্রকি আপনারে বলছে আপনি বিজয়ে কেনো ইউনিকোডের সাপোর্ট আনছেন ?? আপনিতো এখানে অভ্রর মেধা সত্ব মাইরা দিলেন। আপনার বিজয় আসকিতেই থাকতো অভ্রর মত ইউনিকোড সাপোর্ট বিজয়ে ঢুকানো হইলো কেনো ??
শেষ প্রশ্নটা দারুন ছিলো। স্যার আমি যদি একটা কিবোর্ড বানাই তাতে ৯৯% আমার বাননো ১% যদি আপনার কিবোর্ডের সাথে মিলে যায় তাহলে আপনি কি করবেন। এই প্রশ্নের উত্তরে কাগু আমতা আমতা করছে আমার পাইছে চরম হাসি উত্তর কি কইছে ঠিক মত শুনি নাই।


কাগু আরো বলছে আমরা এখোন অপারেটিং সিসটেম বানানোর মত গুণী প্রোগ্রামার নাই। সুধু অনুবাদ করার মত হইছি।

৫০ মিনিটের অনুষ্ঠান ফোন কল নিছে মাত্র ৩টা

আরেক হাসির খোরাক দিছে গত কালকে আমাদের ডা. আব্দুন নূর তুষারের ভাই ওনারে নিয়ে গত কালকে সচলে আর সামুতে পোষ্ট আসতে তাই এই তু-ষাড়কে নিয়ে আমি আর কিছু নাইবা বল্লাম।
আরো অনেক কথা মনে পরতেছেনা তবে ফোনে লাইটা পাইলে একটা কথাই সুধু জিজ্ঞেস করতাম। কাগু আমাদের মায়ের ভাষা নিয়ে আর কত দিন ব্যাবসা করবেন। সুধু এই একটা কথা জিজ্ঞেস করার জন্য একটা ঘন্টা আজাইরা পেন পেন শুনছি কিন্তু আমার কপালে লাইন মিল্লোনা এই কথাটা জিজ্ঞেস করার জন্য।