নিজ দল ও দেশকে চরম বিশৃংখলার দিকে ঠেলে দিচ্ছে আওয়ামী লীগ
ব দ রু দ্দী ন উ ম র
মূলকথা: অবস্থা দেখে মনে হয়, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের নেতানেত্রীরা চিরতরে এ দেশের শাসনক্ষমতা থেকে বিদায় নেয়ার শর্ত নিজেরাই তৈরি করছেন এবং বিদায় নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমানোর আগে তারা বাংলাদেশের সবকিছু একেবারে লণ্ডভণ্ড করে এদেশের জনগণের প্রতি চরম শত্রুতার স্বাক্ষরই রেখে যাবেন!
সম্পূর্ণ কলাম পড়ুন: বাংলাদেশে শাসকশ্রেণীর রাজনীতি ও তাদের রাজনৈতিক দলগুলো যে কত বড় ধ্বংসাÍক বিশৃংখলার মধ্যে নিক্ষিপ্ত হয়েছে, তার এক বড় দৃষ্টান্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের কার্যকলাপ। এক্ষেত্রে তাদের আচরণ এমনই উদ্ভট, যা সাধারণ রাজনৈতিক রীতি-নীতির দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায় না। এর ব্যাখ্যা সম্ভব যদি আমরা সামগ্রিকভাবে শাসকশ্রেণীর শাসন কাঠামো ক্রমাগত ভেঙে পড়া অবস্থার দিকে তাকাই। এই ভাঙন বর্তমান আওয়ামী জোট সরকারের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে নিয়ে তাদের অধস্তন সব নেতাকর্মীর আচরণের মধ্যেই এখন সবচেয়ে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে। শুধু নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনই নয়, অন্য বহু ক্ষেত্রেই এই ভাঙন এখন লক্ষ্য করার মতো।
প্রথমে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে। এ পরাজয় বিশেষভাবে শোচনীয় এ কারণে যে, এই নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের এক প্রসিদ্ধ ও দীর্ঘকালীন খুঁটি হিসেবে পরিচিত পরিবারের পরাজয় হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে আজ পর্যন্ত তিন পুরুষ ধরে এই পরিবার নারায়ণগঞ্জকে আওয়ামী লীগের শক্ত এলাকা হিসেবে টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করেছে। এহেন এক পরিবারের সদস্যকে দেখে-শুনে পরাজয়ের দিকে ঠেলে দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব যে জ্ঞানহীনতা ও বেপরোয়া দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দিয়েছে, সেটা তাদের নিজেদের সাংগঠনিক স্বার্থের দিক থেকে ক্ষমার অযোগ্য এক কাজ।
নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে বিজ্ঞতার সঙ্গে মীমাংসা করতে অক্ষম হয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব যে পথ বেছে নিয়েছিলেন তাকে নির্বোধ ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। এটা কোন অসঙ্গত সমালোচনা নয়। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নিজের স্বীকৃতিই এই সমালোচনার যথার্থতা প্রমাণ করে। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে তিনি বলে চলেছেন, তিনি আগেই জানতেন, তার দলের দ্বারা অসমর্থিত বিদ্রোহী প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী নির্বাচনে জয়লাভ করবেন! তিনি এ ব্যাপারে একেবারে নিশ্চিত ছিলেন!! নিজের দূরদৃষ্টির প্রমাণ দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, কমনওয়েলথ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহরে থাকার সময় এক অনুষ্ঠানে সেখানকার নারী মেয়রকে তিনি বলেছিলেন, তারা অর্থাৎ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে শিগগিরই একজন নারী মেয়র পেতে যাচ্ছেন!!! যদি ধরে নেয়া যায়, তিনি সত্যিই পার্থের মেয়রকে একথা বলেছিলেন, তাহলে একথা যে কোন লোক এবং সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগের কর্মী ও সমর্থকরাও তাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর পরাজয় এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর জয় নিশ্চিত জেনেও তিনি নিজের দলেরই এমন একজনকে কেন সমর্থন দিলেন যার পরাজয় সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত ছিলেন? এটা কি চরম রাজনৈতিক দুর্নীতির পরিচায়ক নয়? সমর্থনের ব্যাপারে এই রাজনৈতিক দুর্নীতির সঙ্গে অন্য ধরনের দুর্নীতিরও কি সম্পর্ক আছে?
সংগঠনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করে কোন একজনকেই যে তিনি সরে দাঁড়াতে সম্মত করতে পারেননি, এ থেকে তার নেতৃত্বের কোন শক্তির পরিচয় পাওয়া যায় না। উপরন্তু বোঝা যায়, আজকের পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের অবক্ষয় ও প্রকৃত কর্তৃত্বের অভাব কোন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় ব্যাপার হল, দুই প্রার্থীর মধ্যে এমন একজনকে সমর্থন দেয়া, যার পরাজয় সম্পর্কে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা নিশ্চিত ছিলেন! পরাজয় নিশ্চিত জেনেও দলের একজন প্রার্থীর পরিবর্তে অন্যকে সমর্থন দেয়া যে এক চরম নীতিহীনতা, এ জ্ঞান শেখ হাসিনার আছে বলে মনে হয় না! অবশ্য একথা বলাও এক প্রকার অর্থহীন। কারণ কোন সুনীতির প্রতি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের কোন আনুগত্য আছে, এ কথা জোর দিয়ে কারও বলার উপায় নেই। এটা নেই এর প্রমাণ এই নির্বাচন সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা নিজেই দিয়েছেন। তিনি নিজেই এ ঘোষণা জোরেশোরে দিতে অসুবিধা বোধ করেননি যে, তাদের দলের সমর্থিত প্রার্থী নন, সমর্থন না পাওয়া বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে জয়লাভ করবেন" এ ব্যাপারে তার কোন সংশয় ছিল না, তিনি নিশ্চিত ছিলেন! এভাবে নিজের দূরদৃষ্টির (!) ঘোষণা শেখ হাসিনা যেভাবে দিয়েছেন এর থেকে লজ্জাজনক ও দুর্নীতিপরায়ণ ব্যাপার একজন প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেত্রীর পক্ষে আর কী হতে পারে? অবস্থা দেখে মনে হয়, দুর্নীতির কোন পরোয়া ও লজ্জা-শরমের বালাই বলে এদের কিছু নেই।
এরপর নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন সম্পর্কে যে শেষ কথাটি বলা দরকার, তা হল, এদেশে নির্বাচনের ইতিহাসে সব দলেরই কোন না কোন প্রার্থী অনেক সময় মনোনীত প্রার্থীকে পরাজিত করে নির্বাচিত হয়েছেন। সেক্ষেত্রে সাংগঠনিক শৃংখলা অনুযায়ী বিদ্রোহী প্রার্থীকে বরাবরই বহিষ্কারই করা হয়েছে। কিন্তু এবার নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে দেখা গেল, বিজয়ী বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কার না করে তার জয়কে আওয়ামী লীগেরই জয় বলে এক অদ্ভুত এবং অদৃষ্টপূর্ব ঘোষণা দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন। দলের শৃংখলা ভেতর থেকে ভেঙে ফেলার ক্ষেত্রে এই ঘোষণা যেভাবে কাজ করবে এ বিষয়ে কোন ধারণা মনে হয় না আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেত্রী থেকে নিয়ে তার পরিষদসম দলের অন্য কোন মন্ত্রী ও নেতানেত্রীর আছে। কিন্তু সেটা না থাকলেও এটা আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়া প্রার্থীদের যে বিদ্রোহী করে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করে পার্টি মনোনীত প্রার্থীর বিরোধিতা করতে বিপুলভাবে উৎসাহিত করবে এতে সন্দেহ নেই। এর ফলে আওয়ামী লীগের ভোট ভাগাভাগি হয়ে আগামী সংসদ নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের এক নতুন রেকর্ড স্থাপন করার শর্ত তারা নিজেরাই তৈরি করেছে।
কিন্তু শাসকশ্রেণীর রাজনৈতিক দল হিসেবে শৃংখলা ভেঙে পড়তে থাকার এটাই একমাত্র দৃষ্টান্ত নয়। এর দৃষ্টান্ত আওয়ামী লীগের নেতারা এখন প্রায় প্রত্যেক দিনই স্থাপন করছেন। মাত্র কয়েকদিন আগে শেখ হাসিনা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তিনি বাংলাদেশকে ঋণ দেয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংকে লবিং করেছেন। তার দুই-তিনদিন পরই তাদের অর্থমন্ত্রী জানান, ইউনূস এরকম কোন কাজ করেননি। এ বিষয়ে কেউ কেউ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা করছে! ঘটনা হল, একমাত্র শেখ হাসিনা ছাড়া ইউনূসের বিরুদ্ধে এ কথা অন্য কেউ বলেননি! কিন্তু এসবের কোন খেয়াল বা পরোয়া না করে আওয়ামী লীগের অর্থমন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যা অভিযোগকারী হিসেবে অভিযুক্ত করলেন! বিস্ময়ের ব্যাপার এই যে, এ নিয়ে অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অথবা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে কোন কথাবার্তা বা আলোচনাই হল না? অর্থমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যা অভিযোগকারী বলে বেশ পার পেয়ে গেলেন!!! তাহলে দল ও মন্ত্রিপরিষদের শৃংখলার অবস্থা কী দাঁড়াল?
সড়ক দুর্ঘটনায় তারেক মাসুদ ও মুনীরের মৃত্যুর পর যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল তাতে মন্ত্রিপরিষদ থেকে যোগাযোগ ও নৌপরিবহন মন্ত্রীর অপসারণ সাধারণ নিয়মে অনিবার্য ছিল। কিন্তু তাদের কিছুই হল না। দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়েই তারা বহাল আছেন। তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কী এমন সম্পর্ক যাতে দলের স্বার্থে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিয়ে তাদের তিনি মাথায় করে রেখেছেন? দুর্নীতি শৃংখলার বড় শত্র“। এভাবে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়ে যেভাবে সততা ও শৃংখলার অবসান তারা নিজেরাই ঘোষণা করছে এটা এক তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার। কারণ এর মধ্যে সমগ্র শাসকশ্রেণীর ভাঙনেরই প্রতিফলন ঘটছে।
দুই-একদিন আগে অর্থমন্ত্রী এক আলোচনা সভায় বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ হতে আরও চল্লিশ বছর লাগবে! যুদ্ধ হয়েছিল চল্লিশ বছর আগে। এরপর আরও চল্লিশ বছরের অর্থ হল যুদ্ধের পর আশি বছর। এই আশি বছর পর কোন যুদ্ধাপরাধী বেঁচে থাকবে আওয়ামী লীগের যুদ্ধাপরাধী বিচারের শাস্তি মাথায় নেয়ার জন্য? একদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য প্রাণপাত করা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের নিরন্তর ঘোষণা এবং অন্যদিকে তাদেরই নেতৃস্থানীয় লোকদের এসব উক্তি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে একটা হাস্যকর ও প্রহসনের ব্যাপারে পরিণত করেছে। তাছাড়া এর মধ্যে দলীয় শৃংখলারও কোন বালাই নেই। যার যা ইচ্ছে সেটাই এই দলের নেতাকর্মীরা করছেন ও বলে যাচ্ছেন।
ইদানীং অর্থমন্ত্রীর প্রগলভতা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি নানা বিষয়ে উদ্ভট সব কথা বলতে কোন পরোয়াই করেন না। একদিকে এখন ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা ধার নিয়ে সরকারের দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহ করতে হচ্ছে এবং এই অর্থ সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে এখন দিগি¦দিক জ্ঞানশূন্য হয়ে নোট ছাপাতে হচ্ছে। এর ফলে দেশে মুদ্রাস্ফীতি থেকে নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে। কিন্তু অর্থমন্ত্রী এসব সত্ত্বেও ঘোষণা করছেন, এতে কোন অসুবিধা নেই! সব নাকি ঠিকঠাকই চলছে!! সবকিছু নাকি এরপর ঠিকঠাক থাকবে!!!
পদ্মার ওপর একটি ব্রিজ করতেই যেখানে অর্থায়ন এক সংকটপূর্ণ অবস্থায় আছে, সেখানে সরকার পদ্মার ওপর আরও একটি ব্রিজ তৈরির প্রকল্প তড়িঘড়ি করে তৈরি করছে! সারা দুুনিয়া যখন পারমাণবিক শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে আনা, অথবা জার্মানির মতো দেশ যখন তা একেবারে বন্ধ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে, তখন বাংলাদেশ রূপপুরে মাত্র দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরির জন্য রাশিয়ার সঙ্গে এক পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু অন্য কথা বাদ দিলেও আজকের সংবাদপত্রে (উধরষু ঝঃধৎ ৪.১১.২০১১) দেখা যাচ্ছে, পারমাণবিক স্থাপনার জন্য পদ্মার পানি সরবরাহের যে পরিকল্পনা আগে ছিল তাতে এখন বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে পদ্মার পানি আগের জায়গা থেকে আরও অনেকটা সরে যাওয়ায়। এজন্য এখন আরও বহু একর জমি অধিগ্রহণ অর্থাৎ পার্শ্ববর্তী এলাকার জনগণকে ভিটেমাটি থেকে উৎখাত করার প্রয়োজন হবে। দূষিত পানি বর্জ্য হিসেবে নিক্ষেপ করার প্রশ্ন বাদ দিলেও পদ্মায় পানির যে অবস্থা তাতে খরার মৌসুমে প্রয়োজনীয় পানি পাওয়াই এক বড় সমস্যা। এ সমস্যার কথা জানা সত্ত্বেও কিভাবে কোন সরকার এ ধরনের প্রকল্প তৈরি করতে পারে এটা এক বিস্ময়কর ব্যাপার। কিন্তু পদ্মার ওপর দুই ব্রিজ, পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প ইত্যাদি সবকিছুই এখন সম্পর্কিত হয়েছে দুর্নীতির সঙ্গে। দুর্নীতির মাধ্যমে এখন উচ্চপর্যায়ের নেতানেত্রীরা হাজার হাজার কোটি ডলার দেশের বাইরে চালান করছে। দুর্নীতির এই ম্যাজিকের কারণেই বাংলাদেশে এখন বিশাল বিশাল অগণিত প্রকল্প তড়িঘড়ি করে তৈরি করা হচ্ছে। যে দেশে দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বেপরোয়াভাবে নোট ছাপাতে হচ্ছে, সেখানে এই ধরনের সব প্রকল্প দেশের জন্য যে সর্বনাশ ডেকে আনবে, সেটা হিসাব করার সময় এখন এসেছে। অবস্থা দেখে মনে হয়, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের নেতানেত্রীরা চিরতরে এ দেশের শাসনক্ষমতা থেকে বিদায় নেয়ার শর্ত নিজেরাই তৈরি করছেন এবং বিদায় নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমানোর আগে তারা বাংলাদেশের সবকিছু একেবারে লণ্ডভণ্ড করে এদেশের জনগণের প্রতি চরম শত্রুতার স্বাক্ষরই রেখে যাবেন!
৪.১১.২০১১
প্রকাশ: যুগান্তর, ৬ নভেম্বর ১১
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:১৪