somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার দেখা থাইল্যান্ড (পর্ব-২)

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আমার দেখা থাইল্যান্ড পর্ব-১
ব্যাংকক টু পাতায়া


সুর্ভনভূমি বিমানবন্দরের বাইরে আমাদের জন্য মাইক্রোবাস অপেক্ষা করছিল। ব্যাংকক থেকে আমরা এখন সরাসরি পাতায়া চলে যাবো। ব্যাংকক থেকে পাতায়ার দূরত্ব ১৫২ কিলোমিটার। আমরা নয়জন পাতায়ার উদ্দেশ্যে মাইক্রোবাসে উঠে বসলাম। প্রতিটা মাইক্রোবাসে ড্রাইভারসহ ১০জন বসা যাবে। দশ জন মানে দশ জনই। এগারজন ঠাসাঠাসা উঠবে তা হবে না। থাইল্যান্ডে ট্রাফিক আইন অনেক কড়া। এরা লাল বাতি নীল বাতির প্রতি অনেকবেশি নির্ভরশীল। ড্রাইভারসাহেব আমাদের নয়জনকে নিয়ে পাতায়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলো। একেই বল হাইওয়ে রাস্তা। চার চার আটলেনের প্রশস্ত রাস্তা। গাড়ী ছুটছে ঘন্টায় ১১০-১২০ কিলোমিটার বেগে। হাইওয়ে রাস্তায় কোন বাঁক নেই। নাক বরাবর সোজা সরলরেখায় পাতায়া শহরের অভিমূখে চলে গেছে । একটা ফ্লাইওভারে উপর আরেকটা ফ্লাইওভার চলে গেছে উদ্দেশ্য একটা রাস্তায় কোন বাঁক থাকবে না। ভাবখানা এমন হাইওয়ে রোড যেকোন মূল্যে সরলরেখায় থাকতে হবে। পাতায়া শহরের ঢোকার আগমুহুর্তে রাস্তা সামান্য বাঁক নিছে, তার আগমুহুর্ত পর্যন্ত পরিকল্পিতভাবে হাইওয়ে রাস্তা সরলরেখায় টানা হয়েছে। পাতায়া যাওয়া পথেই থাইল্যান্ডে প্রথম সূযাস্ত দেখলাম। রক্তিম সূর্য ধূসর মাঠে অস্ত গেল।


হাইওয়ে রাস্তার দুইপাশে ফাঁকা মাঠ। কোথাও কোথাও আমবাগান, কলাবাগান দেখে অবাক হবেন না। কখনও রাস্তার পাশে ছোট্ট টিলাও চোখে পড়বে। হাইওয়ে রাস্তার সবই ঠিক আছে শুধু বিরক্তকর বিষয় এখানে দিকনির্দেশনাগুলো সবই থাইভাষায় লেখা। থাইভাষা জানি না তাই গাড়ী আদ্য পাতায়া যাচ্ছে না ড্রাইভার সাহেব অন্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছে কিছুই বোঝার উপায় নেই। আমি ক্লান্তিতে একটু চোখ বুজেছিলাম। মাইক্রোবাসের অন্যদের হুল্লোড়ে চোখ মেলে দেখি আমাদের মাইক্রোবাস শহরে প্রবেশ করেছে।


রাস্তার দু'পাশে দোকানের সারি। শহর জুড়ে নিয়ন আলোর ঝলকানি। স্বল্পবসনা নারী। ড্রাইভার সাহেব বিনোদন বাড়িয়ে দিতে বলিল, 'কী লেডি লাগবে?' শুনিয়ে ছেলেদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লো। এভাবে সরাসরি লেডির প্রস্তাব পাতায়া শহরে ঢোকার সাথে সাথেই পেয়ে যাবে ছেলেরা ভাবে নি। কে যেন বলছিল, থাইল্যান্ডের সব গাড়ীর ড্রাইভারই পেশায় দালাল। কথাটা সত্য, পরবর্তীতে তার প্রমাণ আমরা বহুবার পেয়েছি।
(চলবে...)
ব্যাংকক টু পাতায়া


সুর্ভনভূমি বিমানবন্দরের বাইরে আমাদের জন্য মাইক্রোবাস অপেক্ষা করছিল। ব্যাংকক থেকে আমরা এখন সরাসরি পাতায়া চলে যাবো। ব্যাংকক থেকে পাতায়ার দূরত্ব ১৫২ কিলোমিটার। আমরা নয়জন পাতায়ার উদ্দেশ্যে মাইক্রোবাসে উঠে বসলাম। প্রতিটা মাইক্রোবাসে ড্রাইভারসহ ১০জন বসা যাবে। দশ জন মানে দশ জনই। এগারজন ঠাসাঠাসা উঠবে তা হবে না। থাইল্যান্ডে ট্রাফিক আইন অনেক কড়া। এরা লাল বাতি নীল বাতির প্রতি অনেকবেশি নির্ভরশীল। ড্রাইভারসাহেব আমাদের নয়জনকে নিয়ে পাতায়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলো। একেই বল হাইওয়ে রাস্তা। চার চার আটলেনের প্রশস্ত রাস্তা। গাড়ী ছুটছে ঘন্টায় ১১০-১২০ কিলোমিটার বেগে। হাইওয়ে রাস্তায় কোন বাঁক নেই। নাক বরাবর সোজা সরলরেখায় পাতায়া শহরের অভিমূখে চলে গেছে । একটা ফ্লাইওভারে উপর আরেকটা ফ্লাইওভার চলে গেছে উদ্দেশ্য একটা রাস্তায় কোন বাঁক থাকবে না। ভাবখানা এমন হাইওয়ে রোড যেকোন মূল্যে সরলরেখায় থাকতে হবে। পাতায়া শহরের ঢোকার আগমুহুর্তে রাস্তা সামান্য বাঁক নিছে, তার আগমুহুর্ত পর্যন্ত পরিকল্পিতভাবে হাইওয়ে রাস্তা সরলরেখায় টানা হয়েছে। পাতায়া যাওয়া পথেই থাইল্যান্ডে প্রথম সূযাস্ত দেখলাম। রক্তিম সূর্য ধূসর মাঠে অস্ত গেল।


হাইওয়ে রাস্তার দুইপাশে ফাঁকা মাঠ। কোথাও কোথাও আমবাগান, কলাবাগান দেখে অবাক হবেন না। কখনও রাস্তার পাশে ছোট্ট টিলাও চোখে পড়বে। হাইওয়ে রাস্তার সবই ঠিক আছে শুধু বিরক্তকর বিষয় এখানে দিকনির্দেশনাগুলো সবই থাইভাষায় লেখা। থাইভাষা জানি না তাই গাড়ী আদ্য পাতায়া যাচ্ছে না ড্রাইভার সাহেব অন্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছে কিছুই বোঝার উপায় নেই। আমি ক্লান্তিতে একটু চোখ বুজেছিলাম। মাইক্রোবাসের অন্যদের হুল্লোড়ে চোখ মেলে দেখি আমাদের মাইক্রোবাস শহরে প্রবেশ করেছে।


রাস্তার দু'পাশে দোকানের সারি। শহর জুড়ে নিয়ন আলোর ঝলকানি। স্বল্পবসনা নারী। ড্রাইভার সাহেব বিনোদন বাড়িয়ে দিতে বলিল, 'কী লেডি লাগবে?' শুনিয়ে ছেলেদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লো। এভাবে সরাসরি লেডির প্রস্তাব পাতায়া শহরে ঢোকার সাথে সাথেই পেয়ে যাবে ছেলেরা ভাবে নি। কে যেন বলছিল, থাইল্যান্ডের সব গাড়ীর ড্রাইভারই পেশায় দালাল। কথাটা সত্য, পরবর্তীতে তার প্রমাণ আমরা বহুবার পেয়েছি।
(চলবে...)
আমার দেখা থাইল্যান্ড পর্ব-১
আমার দেখা থাইল্যান্ড পর্ব-৩
আমার দেখা থাইল্যান্ড পর্ব-৪
আমার দেখা থাইল্যান্ড পর্ব-৫
আমার দেখা থাইল্যান্ড পর্ব-৬
আমার দেখা থাইল্যান্ড পর্ব-৭
আমার দেখা থাইল্যান্ড পর্ব-৮
আমার দেখা থাইল্যান্ড পর্ব-৯
আমার দেখা থাইল্যান্ড পর্ব-১০
আমার দেখা থাইল্যান্ড পর্ব-১১
আমার দেখা থাইল্যান্ড পর্ব-১২
আমার দেখা থাইল্যান্ড (শেষ পর্ব)
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জুলাইয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে শ্লোগান কোলাজঃ

লিখেছেন জুল ভার্ন, ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৩৬

জুলাইয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে শ্লোগান কোলাজঃ

* ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার, কে বলেছে কে বলেছে, স্বৈরাচার স্বৈরাচার’
* ‘বুকের ভেতর অনেক ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর।’
* ‘নাটক কম করো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসসালামু আলাইকুম। ইদ মোবারক।

লিখেছেন রাজীব নুর, ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:১৯



ঈদ এখন এক নিরানন্দময় উপলক্ষ্য।
কিতাবে আছে ধনী-গরীব অবিভাজনের কথা বরং এদিন আরো প্রকটতা নিয়ে প্রস্ফুটিত হয় বিভেদরেখা কেননা আমরা আমাদের রাষ্ট্র- সমাজব্যবস্থা ও জনগণকে সেভাবে দিয়েছি ঘিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঈদের শুভেচ্ছা: দূর থেকে হৃদয়ের কাছ

লিখেছেন আমিই সাইফুল, ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:০৩

আসসালামু আলাইকুম,
আজ ঈদের দিন। চারদিকে উৎসবের আমেজ, হাসি-খুশি, নতুন জামা আর মিষ্টি মুখের আদান-প্রদান। আমি ইউরোপে আমার পরিবারের সাথে এই আনন্দের মুহূর্ত কাটাচ্ছি। কিন্তু আমার হৃদয়ের একটা কোণে একটা ফাঁকা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ও মোর রমজানেরও রোজার শেষে......

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪০


বাংলা গানের ভাণ্ডারে কাজী নজরুল ইসলাম এক অনন্য নাম। তিনি বাংলা সাহিত্যে ইসলামী সংগীতের এক শক্তিশালী ধারা তৈরি করেছেন। তারই লেখা কালজয়ী গজল "ও মোর রমজানেরও রোজার শেষে এলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেই যে আমার নানা রঙের ঈদগুলি ......

লিখেছেন অপ্‌সরা, ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৪২


পেছনে ফিরে তাকালে আমি সবার প্রথমে যে ঈদটার কথা স্মরন করতে পারি সেই ঈদটায় আমি পরেছিলাম আমব্রেলা কাট নীলচে বলবল রং একটা জামা এবং জামাটা বানিয়ে দিয়েছিলেন আমার মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×