গতকাল সূর্য্যের আগুন ঝড়ানো তাপ অনুভব করেছিলে?আমি ওই রোদেলা দুপুরে তপ্ত পিচ ঢালা পথে হেঁটে গিয়েছিলাম অনেকটা দুর।হাতের মাঝে ছিলো না পরিচিত কোন হাত।
বেনামী চিঠি যেমন ডাকপিয়নের পিঠে চেপে ঘুরে বেড়ায়,আমিও ঠিক সেভাবেই ঘুরে বেড়িয়েছি।পা বাড়িয়ে এগিয়ে এসে দু'টো কথা কেউ বলেনি।প্রিয় কোন কণ্ঠ বলে উঠেনি অমন করে রোদে হেটোঁনা, অসুখ করতে পারে।
আমার শীতল হাওয়ায় বেড়ে উঠা পা দুটো একবারের জন্যও বলে উঠেনি ক্লান্তি এসেছে ক্ষান্ত হও।চোখ,আমার চোখদুটো ভয়ার্ত হয়েছে ঠিকি তবু বলেনি শীতল হও।
কেবল অপরাধী মনে উকিঁ দিয়েছে একটি অপ্রাসাঙ্গিক প্রশ্ন................
তোমার বিষাদের আগুনে যখন নিজেকে পোড়ানো হয়ে উঠেনি,রোদের কি এমন সাহস আছে যে আমাকে পোড়াবে?
ভাবতে খুব অবাক লাগে আমার।এই আমি আর কোন ১৭ ই ফ্রেবরুয়ারিতে হার কাঁপানো শীতে তোমার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে পারবো না।পারবো না ঢাকার পিচঢালা পথগুলো হাতে হাত রেখে হাটঁতে।তুমি আজ অন্য ঘরের মানুষ হয়ে গিয়েছ,তবুও ভালই থেকো,সুখেই থেকো।
ইতি
তোমার
বার ভুলে যাওয়া একজন
১১ই সেপ্টেম্বর, ২০১১
প্রিয় রোববার,
তোকে আর কখনো কোন সম্মোধন করা যায় কিনা ভেবে দেখিনি।আজও আর বেশি ভাবলাম না।
একটি ইচ্ছা ইদানিং মনের ব্যালকনিতে উকিঁ দেয়।অনেক দিন পর তোকে ভেবেই ইচ্ছেটা বোধহয় বেহায়ার মতো পুরন হবার বাসনা পোষন করেছে আমার নিকোটিনে ভরা ছাপোষা হৃদয়কে।হৃদয়ের আবেদন চিন্তা করে দেখলাম এবং অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলাম ইচ্ছেটা তেমন আহামরি কিছুই না।পুরন করা যায়।
কি ভাবছিস তবে পুরন করে ফেলছি না কেন?কিছু জিনিস না চাইতেই পাওয়া যায় আর কিছু জিনিস হাজার চেষ্টা করেও আয়ত্ব করা যায় না।তেমনি একটি হলো আমার এই ইচ্ছেটা।
ইচ্ছে পুরন করতে আজ তোকেই বড় বেশি প্রয়োজন।কেননা এই ইচ্ছেটা তুই ছাড়া আর কেউ কোনদিন পুরন করতে পারবে না।
ইচ্ছেটা কি শুনবি?ইচ্ছেটা হলো "আজীবনের জন্য তোর সাথে তুই তুখারি করে প্রেম করার"।
এখন তুই বল,তুই ছাড়া কি এই হতচ্ছড়া ইচ্ছেটা পুরন করা সম্ভব?
আমি জানি,তুই যে জানিস না তা নয়।তবুও এই ইচ্ছেটা আর কোনদিন পুরন হবে না।ভাল থাকিস তুই।বড্ড বেশি অপরিচিত ভালবাসা গুলোকে ভালবেসে ভাল থাকিস।
ইতি
তোর
বার ভুলে যাওয়া একজন
১১ই সেপ্টেম্বর, ২০১১