১৯৫৪ সালে রাশিয়া প্রথম পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে। আর এখন প্রায় তিরিশটা দেশে পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে। কেন বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সবচাইতে লাভজনক হিসাবে পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে পছন্দ করা হয়?কারন একই পরিমাণ জ্বালানি ব্যবহার করে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন অন্যান্য জ্বালানী ব্যবহার করা বিদ্যুতকেন্দ্রের চাইতে প্রায় বিশ থেকে ত্রিশ লক্ষ গুণ বেশি। এক কেজি কয়লা থেকে পাওয়া যায় ৮ কিলোওয়াট ঘন্টা বিদ্যুৎ, এক কেজি তেল থেকে পাওয়া যায় ১২ কিলোওয়াট ঘন্টা বিদ্যুৎ আর এক কেজি ইউরেনিয়াম -২৩৫ থেকে পাওয়া যায় ২৪,০০০,০০০ কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ। অর্থাৎ কয়লা বা তেলের থেকে ইউরেনিয়ামের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা যথাক্রমে ত্রিশ বা বিশ লক্ষ গুন বেশি। view this linkএছাড়াও এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনেরআরেকটা সুবিধা হচ্ছে এটা বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত করে না, ফলে পরিবেশ থাকে পরিচ্ছন্ন।
লাভজনক, কিন্তু পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিপদও অনেক। কয়লা বা তেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে তার ক্ষতি হয় নির্দিষ্ট এলাকায়, নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর । কিন্তু পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রর দুর্ঘটনা বিস্তৃত এলাকার জল, মাটি, বায়ু এমনভাবে দূষিত করে যে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এলাকায় বসবাসকারী মানুষ আর প্রাণী ক্যান্সার আরো নানা রোগে আক্রান্ত হতে থাকে, তাৎক্ষনিক ভাবে মারা যায় অনেক মানুষ। নানারকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া সত্বেও কোন অচিন্তনীয় কারণে বিপর্যয় ঘটতে পারে, উদাহরণ ফুকুসিমাতে ২০১১ সালে সুনামির ফলে ঘটা বিপর্যয় । ফুকুসিমার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ছিল সুদক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনী, নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। তা সত্বেও বিপর্যয় ঠেকানো গেল না। ফুকুসিমার দুর্ঘটনার পর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উচ্চমাত্রার ঝুঁকির বিষয়টা নতুন করে সামনে আসে। ফলে জার্মানি, ইটালি আর সুইজারল্যান্ড তাদের দেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেবার সিদ্ধান্ত নেয়। তাই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনেক সুবিধা থাকা সত্বেও তা স্থাপনের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত জ্ঞান, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, উচ্চস্তরের দক্ষতাসম্পন্ন প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনী। আমাদের দেশে খনিজ তেল নেই, গ্যাসের পরিমানও সীমিত, তাই বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রই সবচেয়ে লাভজনক। সেই ভাবনা থেকেই রাশিয়ার সহযোগীতায় পাবনার রূপপুরে ২৪০০মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলছে। এর আনুমানিক ব্যয় টাকায় এক লক্ষ কোটী টাকার বেশি। বাংলাদেশের সাথে রাশিয়ার করা চুক্তি অনুসারে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, বিদ্যুৎকেন্দ্র চালনার জন্য বাংলাদেশী জনবল প্রশিক্ষণ ও উৎপন্ন তেজস্ক্রিয় বর্জ রাশিয়ায় নিয়ে যাবার দায়িত্ব রাশিয়ার। [অবশ্য গতকাল(২২-৯-২০১৭) জানা গেল(সুত্র) এই প্রকল্প সম্পাদনে রাশিয়াকে সহযোগীতা করবে ভারত, এটা হবে বিদেশের মাটিতে প্রথম কোন ইন্দো -রাশিয়ান পারমাণবিক প্রকল্প।]http://www.dhakatribune.com/bangladesh/power-energy/2017/09/22/india-russian-undertake-rooppur-power-plant-project/ পারমানবিক চুল্লীর দায়িত্ব রাশিয়ার Rosatom কোম্পানির। যে দুটি চুল্লী (Reactor) স্থাপিত হবে তা তৃতীয় প্রজন্মের সবচেয়ে নিরাপদ চুল্লী, এটা ভূমিকম্প, হারিকেন বা উপর থেকে পড়ে যাওয়া বিমানের ধাক্কা পর্যন্ত মোকাবিলা করতে সক্ষম। তাই বলা হচ্ছে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পূর্ণ নিরাপদ, কোন ভয় নেই। কিন্তু এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে কিছু ভয় থেকেই যায়। প্রথম ভয় পানি নিয়ে। যে প্রচুর পানির প্রয়োজন হবে তা সবসময় পাওয়া যাবে তো? ইউরেনিয়াম-২৩৫ পরমাণু ভাংগার ফলে প্রচণ্ড উত্তাপ সৃষ্টি হয়। তাতে রিয়্যাক্টর শীতলীকরণের জন্য অবিরাম প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। পর্যাপ্ত পানির অভাবে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে। এই প্রচণ্ড তাপের বড় অংশ ব্যয়িত হয় পানিকে বাষ্প করতে, যে বাষ্প স্টিম টারবাইন ঘোরায় আর বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে। কিছু তাপ বিকিরিত হয় বায়ুতে। বাষ্পীভূত পানিকে ঠাণ্ডা করে পানি করা হয়, সেটাকে আবার প্রবাহিত করে বাষ্প করা হয়। কুলিং টাওয়ারের কন্ডেন্সারে ৩০ ডিগ্রী ফারেনহাইটে ঠাণ্ডা করতে লাগবে প্রতি মিনিটে ৪৫৫,০০০ গ্যালন পানি। আবার প্রবাহিত পানির অনেকখানি বাষ্পীভূত হয়ে যাবে, তাই দরকার প্রতিমিনিটে আরো ৫০,৬০০ গ্যালন পানি। এছাড়াও যন্ত্র শীতল রাখতে দরকার মিনিটে ১০৪০০০ গ্যালন পানি, যা আবার নদীতেই ফিরে যাবে। সুত্র ইউরেনিয়াম ভাংগার পর উপজাত প্লুটোনিয়াম থাকে প্রচণ্ড উৎতপ্ত, তা ঠাণ্ডা করা হয় একটা ট্যাংকে। এখানেও পানির দরকার, কিন্তু কতটা পানির প্রয়োজন সেই তথ্য অবশ্য পাইনি।
রক্ষণাবেক্ষণ বা কোন জরুরি অবস্থায় যদি প্ল্যান্ট বন্ধ রাখতে হয় তখনো তেজস্ক্রিয় নিঃসরণ (Radioactive decay) তাপ উৎপাদন করে চলে- যা ঠাণ্ডা করতে প্রয়োজন ইমারজেন্সি কুলিং সিস্টেম। চুল্লী (Reactor) প্রতি এজন্য মিনিটে ৬৩,০০০ গ্যালন পানি দরকার। যদি ইমারজেন্সি কুলিং সিস্টেমে পর্যাপ্ত পানি না পাওয়া যায় তবে চুল্লী গলে যাবে আর চেরনবিলের মত অবস্থা হবে। ১৯৮৬ সালে চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দুর্ঘটনার ফলে ইউরোপ জুড়ে যে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে যায় তার ফলে আজো সেই এলাকার মানুষ ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। চেরনোবিলে দুর্ঘটনায় যে অগ্নি উৎক্ষিপ্ত হয় তা সাতদিন পর্যন্ত জ্বলতে থাকে, পারমাণবিক মহাশক্তিধর রাশিয়ার বাঘা বাঘা পারমানবিক বিজ্ঞানীরাও তা নেভাতে হিমশিম খেয়ে যান। বাতাসে মাটিতে প্রচুর তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে আগুন যখন নিভল তখন দেখা গেল ইউরোপের বড় একটি অংশের মাটিতে এমনই তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়েছে যে,সেই মাটিতে জন্মানো ঘাস পর্যন্ত তেজস্ক্রিয় হয়ে গেছে। সেই দুর্ঘটনার তেজস্ক্রিয়তা পরোক্ষভাবে আমাদের দেশে পর্যন্ত এসে পড়ে। সেসময় এদেশে গুঁড়োদুধ বেশিরভাগ আসত ইউরোপ থেকে। সেই দুধে তেজস্ক্রিয়তা পাওয়া যাওয়ায় আমদানি বন্ধ করে নিউজিল্যান্ডীয় রেডকাও আর এংকোর দুধ আনা হতে লাগল। পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিপর্যয়ের সুদূরপ্রসারী ভয়াবহতা এটা থেকেই বোঝা,যায়।
প্রচুর পানি প্রয়োজন, তাই পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয় কোন বড় জলাধার যেমন লেক বা সাগরের পাড়ে, অল্প কিছু ক্ষেত্রে কোন নদীর কাছে। ১৯৬১ সালে এদেশে পারমানবিক বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপনের স্থান হিসাবে রূপপুর কে নির্বাচন করার কারন ছিল এর পাশ দিয়েই বয়ে চলত প্রমত্তা পদ্মা নদী।১৯৭৫ সালে উজানে নির্মিত হল ফারাক্কা বাঁধ, ফলে পদ্মার প্রবাহ কমতে কমতে আজ পদ্মা এক শীর্ণকায়া, প্রায় মৃত নদী, সবসময় যাতে পর্যাপ্ত পানি না থাকতে পারে। পানি উন্নয়ন বোর্ড -এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী গত বারো বছরে রূপপুরে পদ্মার পানির যে প্রবাহ এবং গভীরতা তা বিদ্যুৎকেন্দ্রের চাহিদা পূরণ করার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু হঠাৎই পানির প্রবাহ কমে যেতে পারে, যেমন ২০১১র মে মাসে হয়েছিল। এমন হলে বিদ্যুৎকেন্দ্র জরুরীভিত্তিতে বন্ধ করে দিতে হবে। তাতে কি বিপদ পুরোপুরিভাবে এড়ানো যাবে? যে নদীর উজানে আছে ফারাক্কার মত বাঁধ, আরো বাঁধ নির্মানের প্রক্রিয়া চলছে- সে নদীর পানিপ্রবাহ নিয়ে কি নির্ভয় থাকা যায়?
দুই নম্বর ভয়,রাশিয়ানদের তৈরি করাএই পারমানবিক সরঞ্জামাদি পরিচালনা করবেন কারা? যদি বাংলাদেশিরা তা পরিচালনা করেন, তবে এমন সুক্ষ্ম এবং বিপজ্জনক যন্ত্র চালনার সক্ষমতা তারা অর্জন করতে পারলেও যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে তবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সঠিক পদক্ষেপ নেবার সক্ষমতা কি তাদের থাকবে? নাকি তারা অপেক্ষা করে থাকবেন রাশিয়া থেকে বিশেষজ্ঞ এসে পরামর্শ দিয়ে বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন বলে? চুক্তি অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দিয়ে জনবল সৃষ্টি করে দেবার দায়িত্ব রাশিয়ার। জানা গেছে বর্তমানে রাশিয়াতে নিউক্লিয়ার পাওয়ার বিষয়ে পাঠরত বাংলাদেশী ছাত্রদের পড়াশোনা শেষে এখানে নিয়োগ দেয়া হবে। এছাড়াও জনবল নিয়োগ করবে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ (NPCBL) নামে একটা নতুন সরকারি প্রতিষ্ঠান। এই কোম্পানি জুন মাসে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে প্রকৌশলে স্নাতক ও অন্যান্য বিষয়ে স্নাতকোত্তরদের রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১২৭টি শুন্যপদে কাজ করার জন্য। এদের বিদ্যুৎকেন্দ্র দূরে থাক, কোথাও কোন কাজের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়নি। সম্ভবত এদেরকেই রাশিয়া প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করবে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ প্ল্যান্ট চালাবার জন্য। একটা বিমানের কথাই ধরি। অত্যাধুনিক বিমানগুলোর কন্ট্রোল প্যানেল এমনভাবে তৈরি করা যে একজন কো পাইলটই তা অনুকুল পরিস্থিতিতে চালিয়ে নিতে পারেন। তবু বহু ঘন্টার উড্ডয়ন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পাইলটকে বিমান চালনার দায়িত্ব দেয়া হয় একারণে যেন প্রতিকুল পরিস্থিতিতে তিনি তার অভিজ্ঞতা প্রয়োগ করে যাত্রীদের রক্ষা করতে পারেন। অভিজ্ঞতাহীন মানুষের দ্বারা পারমানবিক সরঞ্জামাদি চালিয়ে নেয়া যেতে পারে, কিন্তু বিপদ ঘটলে উদ্ধার হবে তো?
অবশ্য এই দুটো কেবলই বিপদের আশংকার কথা- আশাবাদী হয়ে ভেবে নিতেই পারি যে এসব বিপদ মোকাবিলার ব্যবস্থা করেই এই কেন্দ্র নির্মান করা হয়েছে। কিন্তু এছাড়াও মস্ত বড় এক বিপদ যে ঘাপটি মেরে চোখের আড়ালে লুকিয়ে আছে তা বুঝতে পারলাম ইউটিউবে
Nuclear Waste : Last Week Tonight With John Oliver অনুষ্ঠানটা দেখার পর। যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশ, উন্নত পারমাণবিক প্রযুক্তি,প্রযুক্তিবিদ আর জনহীন অঢেল ভূমি যাদের রয়েছে তারা পর্যন্ত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় বর্জ ব্যবস্থাপনা করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। তাদের বেশিরভাগ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় বর্জ নিউ মেক্সিকো স্টেটের এক জনহীন এলাকায় মাটির নীচে তেজস্ক্রিয়তা নিরোধক আবরণ দিয়ে ট্যাংক বানিয়ে তার ভিতরে রাখছে। কিন্তু নিউ মেক্সিকো থেকে অনেকদূরের স্টেটগুলোর বিদ্যুৎকেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় বর্জ নিউ মেক্সিকোতে আনা বিপজ্জনক - সেগুলোর জন্য অন্য ব্যবস্থা করতে হয়। নিউজার্সিতে তেজস্ক্রিয়তা রোধক ব্যারেলে এই বর্জ ঢুকিয়ে সিল করে সমুদ্রে ডুবিয়ে দেবারচেষ্টা করা হল। দেখা গেল কয়েকটা ব্যারেল ডুবছে না। যখন কোনভাবেই ডুবল না তখন প্লেন থেকে মেশিনগান দিয়ে ব্যারেলে গুলি করে ডোবাবার ব্যবস্থা করা হল!! এবার বিজ্ঞানীরা মত দিলেন, ব্যারেলগুলো মহাকাশযানে করে মহাশুন্যে পাঠিয়ে দেয়া হোক। কিন্তু মহাকাশযানে যদি দুর্ঘটনা ঘটে তবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে যাবে। এটাও বিপজ্জনক। এই তেজস্ক্রিয় বর্জ ব্যবস্থাপনা এখন তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর পারমানবিক বিজ্ঞানীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
আমাদের রূপপুরের তেজস্ক্রিয় বর্জ কি করা হবে? রাশিয়া এগুলো নিয়ে যাবে, চুক্তি অনুযায়ী। কিভাবে নেবে? হেলিকপ্টার বা ট্রাকে বহন করে কি কাছাকাছি এয়ারপোর্ট পর্যন্ত নিয়ে তারপর প্লেনে রাশিয়া? যদি এয়ারপোর্ট পর্যন্ত যেতে যেতে দুর্ঘটনা ঘটে তবে? ঠিক আছে, কোন দুর্ঘটনাই ঘটবে না। কিন্তু আগামী ষাট বছর (এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের জীবনকাল) ধরে রাশিয়া এই চুক্তি মেনে চলবে তো? প্রতিবেশি বন্ধু দেশই তো কত চুক্তি করে তা লংঘন করে। যদি রাশিয়া চুক্তি না মানে,এই তেজস্ক্রিয় বর্জ নেয়া কখনো বন্ধ করে দেয় তাহলে কি হবে? যেমনভাবে আমরা বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যায় কলকারখানার বর্জ ঢেলে চলেছি, সেভাবেই কি এই তেজস্ক্রিয় বর্জ নিয়ে পদ্মায় ঢালতে থাকব?
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯