অবাক হয়ে রিজভীর কথা শুনছিলাম উনি কি নিজেকে মহান প্রমান করার জন্য এই কথা বললেন নাকি উনি বলদ প্রকৃতির মানুষ সেটাই ভাবতেছি। উনি নিশ্চই জানেন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার দোসররা আগামী বছরের শুরুর দিকে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে সরিয়ে বগুড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে । ক্ষমতায় থাকলে শেখ হাসিনা সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতো সেটা রিজভী সাহেব খুব ভালো মতোই জানেন ।উনাদের দুর্বলতার কারণে বি এন পি নেত্রীকে সেনানিবাস এর বাসা ছেড়ে ভাড়া বাসায় উঠতে হয়েছে ।উনাদের অক্ষমতার কারণে বিনা দোষে বি এন পি নেত্রীকে বছরের পর বছর কারাভোগ করতে হয়েছে। পারছে উনারা তাকে মুক্ত করতে ? ইদানিং সিনিয়র বি এন পি নেতাদের কথা শুনলে সন্দেহ লাগে এরা কি নিজের কথা বলে নাকি ভারতের হয়ে কথা বলে।
কিছু দিন আগে বি এন পি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ভারতের রাষ্ট্রদূতের সাথে সাক্ষাৎকারের সময় বললেন ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংঘঠন গুলো বাংলাদেশের সীমানা ব্যবহার করতে পারবে না। অথচ সেই সময় প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পনেরোশো মানুষ হত্যার আসামি কলকাতার ইকো পার্কে ঘুরে বেড়াচ্ছে এমন ছবি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। আওয়ামীলীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সব খুনিকে ভারত জামাই আদরে রেখেছে। সেই বিষয়ে উনি তো কোনো প্রতিবাদ করলেন না।
উনি আরেক অনুষ্ঠানে বলছেন বি এন পি মাইনাস টু ফর্মুলা দেখতে চায় না। আপনাদের চাওয়া না চাওয়া দিয়া আমাদের কিছু যায় আসে না। কি আবদার হেলিকপ্টারে স্নাইপার বসিয়ে আমাদের ঘরে থাকা শিশুদের গুলি করে মারতেছে আর আমরা ওদের পুনর্বাসন করবো। আপনাদের ছেলে মে তো অস্ট্রেলিয়া লন্ডন আমেরিকা তে থাকে তাই আপনারা আওয়ামীলীগের জন্য মায়া কান্না দিতাছেন। এতো মায়া লাগলে বি এন পির সিনিয়র নেতাদের ভারত চইলা যাওয়া উচিত ।গত পনেরো বছর আঙ্গুল চুষছেন আরো পনেরো বছর আঙ্গুল চুষেন ।
আরেকটা আছে সালাউদ্দিন এটা নয় বছর পর ভারত থেকে দেশে ফেরত আসছে।নির্বাচনী এলাকায় সফরে যাওয়ার সময় এস আলমের গাড়ি নিয়া গেছে। ভাবছে দেশের মানুষ বলদ কিছু বুঝবে না। এই বেটা বলে রাষ্ট্রপতি কে সরালে নাকি দেশে সংবিধানিক শংকটের সৃষ্টি হবে। এই বেটা কোন সংবিধানের কথা বলে যে সংবিধানে রাতের ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয় , যে সংবিধানে ফেলানীকে মাইরা কাঁটাতারে ঝুলায় রাখলেও কোনো প্রতিবাদ করা যায় না ,যে সংবিধানে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বেনামে ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার করা যায় , যে সংবিধানে প্রতিবাদ করলে বিনা বিচারে মানুষ গুম হওয়া যায় ,যে সংবিধানে রেল করিডোর ব্যবহার করে প্রতিবেশী দেশের সেনাবাহিনী অস্ত্র সহ ঢুকার চুক্তি হয় এমন সংবিধান দরকার নাই আমাদের এমন সংবিধানে আমরা হাগু করি।
বি এন পির আরেক সিনিয়র নেতা মির্জা আব্বাস গত সপ্তাহে এক অনুষ্ঠানে বলেন সংবিধান সংশোধন করার আপনারা কে? পার্লামেন্ট ছাড়াই সংবিধান সংশোধন করে ফেলবেন ? মনে রাখতে হবে, সংবিধান কোনো রাফ খাতা নয় যে, যা খুশি তাই করবেন। সংবিধান সংশোধন কিংবা পুনর্লিখন করতে হলে, যারা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছেন, যারা স্টেকহোল্ডার রয়েছেন-তাদের সাথে আলোচনা করে তা করতে হবে।এটা কীসের দ্বিতীয় স্বাধীনতা? এই কথাটা আবিষ্কার করলো কে? কোন গোষ্ঠী আবিষ্কার করলো ? এখন মির্জা আব্বাস বাঘের মতো হুঙ্কার দিচ্ছেন অথচ গত পনেরো বছর উনি বিলাইয়ের মতো মিউ মিউ করতেন । অন্য সব বি এন পি নেতাদের যখন ব্যবসা বন্ধ হাওয়া গেছে তখন উনি খুব আরামে ব্যবসা করে গেছেন এর পিছনে রহস্য কি ? সবার ব্যাংক হাইজ্যাক হওয়া যায় কিন্তু উনার মালিকানাধীন ব্যাংক এর কিছু হয় না কি আজব বেপার না।
লিস্ট বানাইলে ডজন এর উপর বি এন পি নেতাদের নাম পাওয়া যাবে যারা আওয়ামীলীগ এর নেতাদের সাথে আত্মীয়তা পাতিয়েছেন। সেই জন্য বি এন পি যখনি কোনো আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিয়েছে আওয়ামীলীগ সেটা আগেই জেনে গেছে। কিছু দিন আগে দেশের মানুষ যখন বন্যায় আক্রান্ত তখন আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ছেলের বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে ওমানের একটি প্রাইভেট দ্বীপের ফাইভ স্টার রিসোর্টে তিন দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ।ধারণা করা হয় তিন দিনের সেই অনুষ্ঠানে শত কোটি টাকা খরচ হয়েছে ।তার ছেলের বউ বি এন পির সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোর্শেদ খান এর মে ।ওই অনুষ্ঠানে একাধিক বি এন পি নেতার ছেলেদের দেখা গেছে ।দিন শেষে আওয়ামীলীগ বি এন পি সব এক । উল্লেখ্য সালমান এফ রহমান জনতা ব্যাংক এর বাইশ হাজার কোটি টাকার ঋণ খেলাপি।
ভারত বি এন পি কে আগেও কয়েকবার চুনা দিছে তাও বি এন পি নেতাদের শিক্ষা হয় না। বাংলাদেশ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কয়েক দিন আগে একটা ক্লোস ডোর মিটিং হয়েছে । বৈঠকে উপস্থিত একজন অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিক জানান, তারা ধারণা করছেন ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে বিএনপির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা প্রবল। বিএনপি ঠিকই পাঁচ বছরের মধ্যে নানা অজনপ্রিয় কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়বে। বাংলাদেশের দ্বি-দলীয় রাজনৈতিক বাস্তবতায় তখন জনগণের সমর্থন আওয়ামী লীগের দিকে ঘুরে যাবে। ভারতে আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মকাণ্ড যেন গোপনে পরিচালনা হয় এবং তা যেনো গণমাধ্যম না জানতে পারে সে দিকে খেয়াল রাখতে বলেন ।সারমর্ম বি এন পি যদি সংস্কার না করে ক্ষমতায় আসে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা দুই বছরের মধ্যে বি এন পি কে প্যাকেট করে ঘরে ফেরত পাঠায় দিবে ।
ধারণা করা হয় গত পনেরো বছরে দশ হাজারের বেশি ভাস্কর্য তৈরী হয়েছে যার জন্য রাষ্ট্রের খরচ হয়েছে চার হাজার কোটি টাকা । শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনের লক্ষ্যে ২০২০ সাল কে মুজিব বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয় মুজিব বর্ষের সময়কাল রাষ্ট্রের কতো টাকা খরচ হয়েছে তা জানার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে ।আমার ধারণা দশ হাজার কোটি টাকার বেশি হবে ।শুধু তাই না সে সময় প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানকেও ফোর্স করে মুজিব কর্নার ও মুজিবের ম্যুরাল বানাতে বাধ্য করা হয়।যেহেতু রিজভী সাহেব এর এতো কষ্ট লাগতেছে উনার এই টাকা গুলা রাষ্ট্রকে ফেরত দেওয়া উচিত উনি কি দায়িত্ব নিবেন ?
৭৫ সালে স্লোগান ছিল” ভাত দে না হলে মানচিত্র খাবো “এখন ২৪ সালে স্লোগান হবে “সংস্কার করতে দে না হলে আওয়ামীলীগ বি এন পি খায়া দিমু “