অনেকে ভারত প্রেম বেশী করতে গিয়ে দেশের বিরোধীতা করে। অনেকে ভারত বিরোধীতা করতে গিয়ে অনেক বড় প্রতিপক্ষের মোকাবেলার পরিবেশ তৈরী করে।ভারত-আমেরিকার মোকাবেলা করতে গিয়ে আমরা আমাদের কাজটা ঠিক কখন করব? আমরা আমাদের কাজটাই যদি না করি তবে আমাদের উন্নতি ঠিক কিভাবে হবে?
আমাদের দেশটা খুবই ছোট। আমাদের দক্ষ জনবলের বড় অভাব। ভিক্ষুকের জ্বালায় বাজার করতে কষ্ট।আমরা জাস্ট টিকে আছি। বড় প্রতিপক্ষের সাথে লড়াই করে আমাদের কতটা লাভ? অথবা আমরা আমাদের দেশটা কি অন্যকে দিয়ে দেব? তারাতো আমাদের থেকে লাভ করবে। তাহলে তো আমাদের দূরবস্থা আরো বাড়বে। সুতরাং আমাদের লাগবে সমঝোতা।
ইসলামী রাষ্ট্র হতে হলে আমাদেরকে অনেক বেশী শক্তিশালী হতে হবে এবং সেটা সব দিক থেকে।দূর্বল রাষ্ট্র ইসলামী রাষ্ট্র হয় না, এটা আমাদেরকে বুঝতে হবে। ইসলামী রাষ্ট্র চল্লিশ বছর ছিল। তাতেও ফিতনা ছিল নিজেদের মধ্যেই। ইসলামী রাষ্ট্র করার পর অনিসলামী রাষ্ট্র সমূহ আপনাকে পরিত্যাগ করলে আপিন একা চলতে পারবেন তো? আল্লাহ অপারগের উপর কাজের দায় চাপিয়ে দেন না। দেখি কি হয়? আপনার কৌতুহল মিটাতে গিয়ে জাতির বারটা বাজবেন কি? তারচে যা সম্ভব সেটা করা সঠিক নয় কি?
ইসলাম মানে শান্তি। মাথামোটা লোক দিয়ে শান্তি হয় না। আগে শান্তির জন্য যোগ্য লোক তৈরী করুন। তারপর শান্তির চেষ্টা করুন। ইসলাম হলো যতটুকু পারবেন করবেন, এর বাইরে নয়। প্রশাসনে এমন লোক পাঠান যারা ঘুষ খায় না। ঘুষ খোর দিয়ে আপনি কিভাবে ইসলাম কায়েম করবেন? সুতরাং আগে ইনছাফ কায়েম করতে হবে। সেটা হয়ে গেলে তারপর ইসলাম কায়েমের চিন্তা করতে হবে। ইনছাফ কায়েম না হলে ইসলাম কায়েম হবে না।
বৈষম্য বিরোধীতা হচ্ছে। আগে বৈষম্য দূর হোক। তাতেই বলা হচ্ছে অমুক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। তাহলে আর বৈষম্য দূর হচ্ছে কৈ? আপনি বৈষম্য করে বলবেন আপনি বৈষম্য দূর করছেন, আর আমাকে সেটা মানতে হবে? সুতরাং এভাবে হবে না। যা করবেন সেটা মাথা ঠান্ডা রেখে ঠিকঠাক করবেন। তাহলে তা’ গ্রহণযোগ্য হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৫:৪০