©কাজী ফাতেমা ছবি
#ভাবনা'রা
যত্ন করে লাগানো পাতাবাহার
কিংবা বারান্দার ঝুলে পড়া ঘাস ফুল
আর মানি প্লান্ট, কাঠ বেলী ওরা আমাকে চিনে,
রোজ বসে যেখানে দেখে নেই মুখশ্রী
ড্রেসিং টেবিলের আয়না সে আমাকে চিনে।
যে গ্লাসটায় তৃষ্ণায় ডকডক করে পানি খাই
অথবা যে প্লেটে ভাত খাই, এরা আমায় চিনে।
ক্লান্তি ঝেড়ে নরম বিছানার চাদরে শুয়ে
কত রঙিন স্বপ্ন দেখি সে চাদর আর
মাথার বালিশ যেটাতে মগজ গুজে নিউরনগুলোকে
স্বাধীনতা দেই, সে বালিশ আমায় চিনে।
আমার মুঠোফোনটা
যাতে আমার জীবনের সব কথা লিখি
ছুঁয়ে ছুঁয়ে মুঠোফোনের কালার নোট,
যেখানে হাজার গল্প কবিতা ছন্দ ছড়া
শব্দের পর শব্দের বাগান, শব্দের ফুল, শব্দের খামার
ওরা সবাই আমাকে চিনে খুব আপন হয়ে।
আমার দৃষ্টিজুড়ে ফুল পাখি, চড়ুই, টুনটুনি
কাক, দোয়েল, শালিক, ঐ যে ফুলের বাগান
বেলি, শিউলী, কৃষ্ণচূড়া, হরেক গোলাপ
বৃষ্টির জলের ছোঁয়া পাতাগুলো, যাদের ছুঁয়ে দেই
এরা ছাড়া কে আর আমায় চিনে।
কাঠের আলমারী, যেথায় আমার ছোঁয়ায়
আমার গন্ধ ছুঁয়ে আছে আমার শাড়ি, জামা ওড়না
এরা ছাড়া আর কেইবা আমাকে চিনে!
২/
তুমি ফিরে গেছ, যাও!
ডেকেছিলাম পিছন, তাকাও নি!
আমি সে পথে আর পা মাড়াই নি।
এসো না ফিরে,
যে যার মতো চলো ভালো থাকি।
ফিরে যাওয়ার কাব্যগুলো বড় করুণ
তবে সবই সাময়িক, সে তো জানো!
নিজেকে সামলে নিয়ে পথ চলা বড় আত্মবিশ্বাসের
ভালেঅ থাকার জন্য আর কিইবা চাই।
সময় আমার প্রজাপতি ছিলো, তুমি ছিলে বলে
মুখ ফিরিয়ে নিয়ে ডানা ভেঙ্গে দিলে তাতে কি!
আমি এখন ফড়িং সময়ে আছি....
ভালো থাকতে আমিও জানি।
চলো যে যার মতো সুখে থাকি
এই ছোট জীবনে ভালো থাকাটাই মূখ্য তাই নয় কি!
হাপিত্যেশ সময়ের বুকে মাথা না কুটে
চলো মুগ্ধতার চাদরে নিজেদের সঁপে দেই।
যে যার মতো থেকে যাই ভালো।
©কাজী ফাতেমা ছবি
১৯-০৩-২০১৭
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১:২৭