বৈষম্যবিরোধি আন্দোলনের সফল পরিসমাপ্তির পর আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কেরা ডক্টর ইউনুসকে দেশের ক্ষমতা গ্রহন করার আহবান সেই শহীদ মিনার থেকেই জানিয়েছিল। ডক্টর ইউনুস প্রথমে অরাজি হলেও পরে ছাত্রদের হাজারো অনুরোধের মুখে সম্মতি দেন। এরপরেই গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। সেই উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে তেমন প্রশ্ন উঠে নাই। কারন নিয়োগপ্রাপ্ত সকল উপদেষ্টাদেরই প্রোফাইল ছিল অত্যন্ত ইম্প্রেসিভ। সবার পুর্ন আস্থা ছিল এবং এখনো আছে ডক্টর ইউনুস এবং সমন্বয়কদের ওপর।
কিন্ত সম্প্রতি নতুন দুই উপদেষ্টা নিয়োগ নিয়ে তৈরী হয়েছে তুমুল বিতর্ক। আমরা সবাই জানি যে, সালেহউদ্দিন আহমেদ হচ্ছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা। এখন দেখছি বানিজ্য উপদেষ্টা হিসাবে নেয়া হয়েছে বিশিষ্ট শিল্পপতি সেখ বশির উদ্দিনকে!! তবে কি সালেহউদ্দিন আহমেদ আর সেই পদে নাই ?অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, বললেন বাণিজ্য উপদেষ্টা এমন দারুন বার্তা দেয়া বাণিজ্য উপদেষ্টাকে সরিয়ে দেয়ার কারন কি? সবাই নিজ দ্বায়িত্বে সালেহউদ্দিন আহমেদ ও নতুন নিয়োগ পাওয়া সেখ বশিরুদ্দিনের প্রোফাইল চেক করুন উইকিপিডিয়ায়।আর কুরুচিপুর্ন ও অশ্লীল ধারার মুভি নির্মাতা মোস্তাফা সারোয়ার ফারুকীর নিয়োগ নিয়ে আর একটা শব্দও খরচ করতে চাইনা!
এই বিতর্কিত নিয়োগের পর পরই বিভিন্ন অনলাইন এক্টিভিস্ট এবং বৈষম্যবিরোধি আন্দোলনের সমন্বয়কেরা প্রোফাইল লাল করে বিপ্লব এখনও শেষ হয়ে যায়নি বলে স্ট্যটাস দিয়ে তুমুল প্রতিবাদ করছে। বৈষম্যবিরোধি সংগঠনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বিবিসি বাংলাকে বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের সাথে যাদের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই, যারা আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী তাদেরকে কিসের ভিত্তিতে তারা উপদেষ্টা হচ্ছে এটা আমরা জানতে চাই। তাদের মানদণ্ড কী সেটা নিয়ে আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ তৈরি হচ্ছে। সরকারের এই বিষয়গুলো স্পষ্ট করা উচিত,” । সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা ছাত্র প্রতিনিধিরা বিবিসি বাংলাকে বলছেন, সরকার যখন যে সিদ্ধান্ত নেয় তার সব সিদ্ধান্ত তাদের সাথে পরামর্শ করে নেয় না। যে কারণে দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে এবং তা প্রকাশ্যে এসেছে।
আসিফদের এমন বক্তব্যে এটা পরিষ্কার যে , উপদেষ্টা নিয়োগ কারা দেয় , তারা সেটা জানে না। বিশিষ্ট বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, “উপদেষ্টা যে কেউ হলেই তার সমালোচনা হবে। কারণ এর স্বচ্ছ কোনো নিয়োগ প্রক্রিয়া নেই।”