২০১৮ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপনণের পরপরই ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘মহাকাশে আজ উড়ল বাংলাদেশের পতাকা। আজ থেকে আমরাও স্যাটেলাইট ক্লাবের গর্বিত সদস্য হলাম। এখন কেউ আর বঙ্গবন্ধু নাম মুছে ফেলতে পারবেনা। মূলত এটিই ছিল তার আসল উদ্দেশ্য।
প্রক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬০০ কোটি টাকা কিন্তু প্রকল্প ব্যয় বাড়তে বাড়তে তা হয়ে দাড়ায় ৩৭০০ কোটি টাকা যেটা গতানুগতিক ভাবে প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে লুটপাটেরই ধারাবাহিকতা।
২০২১-২২ অর্থবছর অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মুনাফা দেখানো হয়েছে ৮৫ কোটি টাকা। যদিও মুনাফার এই হিসাব করার ক্ষেত্রে স্যাটেলাইটের অবচয় বা ডেপ্রিসিয়েশন ধরা হয়নি। অবচয় ধরা হলে মুনাফার বদলে লোকসান দাঁড়াবে প্রায় ৬৬ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরেও প্রায় সমপরিমাণ লোকসান ছিল। যদি মুনাফা ৮৫ কোটি টাকাও ধরা হয় তবে স্যাটেলাইটের ব্যয় উঠতে সময় লাগবে ৪৪ বছর অথচ স্যাটেলাইটের আয়ূস্কাল মাত্র ১৫ বছর।
২০১৩ সালের ভারতের মঙ্গল অভিযানে ইসরো খরচ করেছিল মাত্র ৪৫০ কোটি টাকা। ইসরো আরো জানিয়েছে, চন্দ্রযান-৩ অভিযানে সব মিলিয়ে ৬১৫ কোটি টাকা, চন্দ্রযান-১ ও চন্দ্রযান-২-এর থেকেও কম। চন্দ্রযান-২ অভিযানে ইসরোর ব্যয় হয়েছিল ৯৭৮ কোটি টাকা।
বিশ্বের ১৯৩ দেশের মধ্যে ডিজিটাল ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশী সবচেয়ে পিছিয়ে কারণ বাংলাদেশই পৃথিবীর একমাত্র ডিজিটাল রাষ্ট্র যা কোন কোন দিক দিয়ে আফ্রিকার দেশগুলোর চেয়েও পিছিয়ে ছিল। ডিজিটাল ডিজিটাল বলে এত লুটপাট অথচ ডিজিটাল এর প্রধান উপকরণ ইন্টারনেটে বিশ্বের সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা দেশ বাংলাদেশ তাহলে বাস্তবতাকে বুঝুন দেশ কোন দিকে গিয়েছিল তারপর সেই লুটপাটকেই বলতে হয়েছিল উন্নয়ন।