সুউচ্চ ঢেউগুলো বিশাল জলরাশির গায়ে আছড়ে পড়ে জানান দেয় সাগরের চিরযৌবনের কথা। তীর ঘেষে ঝাউবনগুলো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে। মেঘ আর সমুদ্রের গর্জন সেখানে মিলে-মিশে একাকার হয়। রাতের আঁধার ভেদ করে সাগরের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হয় দিনের আলো আর বেলা গড়ালে ঐ সমুদ্রই আস্ত সূর্যটাকে গিলে খায় । ডাকাতিয়ার বুক চিরে জেগে ওঠা চর আর বনগুলো হাতছানি দিয়ে ডাকে। একদিকে মেঘ-বৃষ্টির আলাপন অন্যদিকে উথাল-পাথাল জ্যোৎস্না।
এমনই স্বপ্নময় ছিলো আমাদের কুয়াকাটা ভ্রমণ। উফ! কী অসহ্য সুন্দর!
ঢাকা থেকে সাকুরা পরিবহনের সরাসরি বাসে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে যাত্রা। দীর্ঘ ১২ ঘন্টার জার্নি শেষে কুয়াকাটা আগমন। মোট ৫টা ফেরি পার হতে হলো।
শেষ ফেরিঘাট। মাহিপুর
সমুদ্র দর্শন: কলাপাড়া বীচ
এই জলবাহনে চড়ে আমাদের ফাতরার চর গমন
ডাকাতিয়া নদী
ডাকাতিয়ার বুকে
ফাতরার চর
ফাতরার চরে ঢুকেই শুনি 'ইটজ দ্য টাইম টু ডিসেকো' গান ! ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলাম। এ কোথায় এলাম? আরেকটু ভেতরে গিয়ে দেখি বিশাল এক পিকনিক পার্টি।
ফাতরার চরের শেষ মাথায় দেখা মিললো সমুদ্র সৈকতের
সীমা বৌদ্ধ মন্দির। মন্দিরের ভেতরে ৩৭ মণ ওজনের অষ্ট ধাতুর একটি বুদ্ধ মূর্তি রয়েছে
মিশ্রীপাড়া বৌদ্ধ বিহার
মন্দিরের এই বৌদ্ধ মূর্তিটির উচ্চতা ৩০ ফুটেরও বেশি! উপমহাদশের সবচেয়ে বড় বুদ্ধমূর্তি।
রাখাইন পল্লী। রাখাইন নারীরা কী চমৎকার কাপড় বুনছে!
আমার নয়জনের দল। সবাই রাখাইনদের হাতে বোনা চাদর কেনার জন্য উদগ্রীব। কিন্তু গিয়ে দেখি বিক্রির জন্য তৈরি চাদর আছে মোটে একটা। কোনকিছু চিন্তা না করেই টাকা ধরিয়ে দিলাম। চাদরের মালিক এখন আমি। বাকি আটজন আমার উপর হিংসা বর্ষণ করলো

শুটকী পল্লী
দু:খজনক ব্যাপার এখন শুটকির মৌসুম না। জেলেরা সবে শুটকি শুকোতে দিয়েছে। নভেম্বরে পাওয়া যাবে শুটকি। তখন কুয়াকাটা বীচের একটা প্রান্ত জুড়ে বসবে শুটকির হাট। তারপরও শুটকি আনার লোভ সংবরণ করতে পারলাম না। কাঁচা শুটকি থেকেই এক কেজি লইট্যা মাছের শুটকি নিয়ে আসলাম বাসার জন্য।
এই মাছের নাম স্টিং বে
ক্যাম্পফায়ার ও বারবিকিউ পার্টি

এই সেই ঐতিহাসিক কুয়া যার কারনে জায়গাটির নাম কুয়াকাটা
সড়ক ও জনপথের রেস্ট হাউজ। আমরা এখানে ফ্রিতে ছিলাম

____________________________________________
ছবিব্লগ: সাগরকন্যা কুয়াকাটা (শেষ পর্ব)
***আমার যত ভ্রমণ ও ছবিব্লগ***
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:১১