বেহুলা লক্ষিন্দরের বাসরঘর
গোকুল মেধ বা বেহুলা লক্ষিন্দরের বাসরঘর নামে পরিচিত এ প্রত্নতত্ত্ব স্থলটি ১৯৩৪-৩৬ সালে খনন করা হয়। খননের ফলে ১৭২ টি বদ্ধ প্রকোষ্ঠের সমন্বয়ে ১৩ মিটার উঁচু একটি মঞ্চের ধ্বংসাবশেষ অনাবৃত হয়।
খ্রিস্টিয় ৬-৭ শতকে এ মঞ্চের সমতল শিরদেশে একটি বৌদ্ধ উপাসনালয় স্থাপন করা হয়েছিলো । এরপর সেন আমলে ১১-১২ শতকে একটি বর্গাকৃতির শিব মন্দির নির্মাণ করা হয়।
খননের ফলে এ মন্দিরের কক্ষ তেকে প্রাপ্ত প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে- একটি নর কঙ্কাল, ইটের নির্মিত একটি গোলাকার গর্ত (৩.৮৮মিটার), একটি শিলাখন্ড, ষাঁড়ের প্রতৃকৃতি উৎকীর্ণ একটি স্বর্ণপত্র।
এই পাথরের নাম দুধ পাথর।
আবিস্কৃত মাটির গর্ত যা গোসলখানা ছিলো বলে ধারণা করা হচ্ছে
মহাস্থানগড়
প্রায় আড়াই হাজার বছর আগের পুন্ড্রবর্ধনভুক্তির রাজধানী পুন্ড্রনগরীর সাক্ষী হচ্ছে মহাস্থানগড়ের এই ধ্বংসাবশেষ। এটি উত্তর-দক্ষিণে ১৫১৫ আর পূর্ব-পশ্চিমে ১৩৭০ মিটার প্রশস্ত। সমতল ভূমি থেকে গড় উচ্চতা ৫ মিটার। পর্যায়ক্রমে মৌর্য, গুপ্ত ও পাল শাসকদের প্রাদেশিক রাজধানী ছিলো এই পুন্ড্রনগর।
বিখ্যাত চীনা পরিব্রাজক হুয়েন সাঙ ভারবর্ষ ভ্রমণকালে (৬৩৯-৬৪৫) পুন্ড্র নগর পরিদর্শন করেন। ১৮৭৯ সালে বিখ্যাত বৃটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ আলেক্সান্ডার কানিংহাম এ ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেন । ১৯২৮-২৯ সালে পুন্ড্রনগরের প্রত্নতাত্ত্বিক খনন শুরু হয়। এ সময় নগরীরর ভেতের মুনীর ঘোন, বৈরাগী ভিটা ও বাইরে গোবিন্দ ভিটা আবিষ্কৃত হয়।পরবর্তীতে ২০০০ সাল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমিক খননের ফলে মহাস্থানগড়ে পুন্ড্রনগরীর বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বেরিয়ে এসছে।
জিয়ৎ কুন্ড- কথিত আছে এই কূয়ার পানি নাকি মৃত সৈন্যদের জীবিত করে ফেলতে পারত
মানকালীর কুন্ড
গোবিন্দভিটা
খ্রিস্টীয় ১২-১৩ শতকে রচিত ‘করতোয়া মহাত্ম্য’-তে এ ভিটার ও এখানে নির্মিত একটি মন্দিরের কথা উল্লেখ রয়েছে। মন্দিরটি বিষ্ণু বা গোবিন্দ মন্দির নামে পরিচিত হলেও আদতে এটি বৈষ্ণব মন্দির কিনা তার প্রমাণ মেলেনি।
এ ভিটা সর্বপ্রথম আবিষ্কৃত হয় ১৯২৮-২৯ সালে। আর প্রত্নতাত্ত্বিক খনন শুরু হয় ১৯৬০ সালে। খননের ফলে খ্রিস্টপূর্ব ২য় শতক থেকে শুরু করে বিভিন্ন যুগের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন খুঁজে পাওয়া গেছে। এর মাঝে পুব আর পশ্চিমে দু’টি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ বিশেষভাবে উল্লেযোগ্য। মন্দির দুটি একটি মজবুত বেষ্টনী প্রাচীরের মধ্যে অবস্থিত যা শেষ গুপ্ত যুগ (৬ষ্ঠ শতক) থেকে মুসলমান যুগ পর্যন্ত চারটি পর্যায়ে বিভক্ত।
বগুড়া শহরটিকে ছিমছাম সাজানো গোছানো বলেই মনে হয়েছে। বেশ উন্নত শহর এই বগুড়া। ভালো হোটেলের মাঝে রয়েছে হোটেল নাজ গার্ডেন, পর্যটন মোটেল, নর্থওয়ে মোটেল, হোটেল সিরেস্টা, হোটেল মুন। দই এর জন্য বিখ্যাত হোটেল আকবরিয়া, শম্পা মিষ্টিঘর, মহররমের দই ঘর।
বগুড়ায় ঠ্যাঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের (টিএমএসএস) যে প্রতাপ দেখলাম তা সত্যিই প্রশংসনীয়। স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, ক্যাফেটেরিয়া, সিএনজি ফিলিং স্টেশনসহ কী নেই টিএমএসএস এর!! ভাবাই যায় না একটা সাধারন সমবায় সমিতি আজ দেশের অন্যতম শক্তিশালী সংগঠন। বগুড়া শহরের নাম পাল্টে রাখা উচিত ঠ্যাঙ্গামারা। জয়তু টিএমএসএস! জয়তু প্রতিষ্ঠাতা ড. হোসনে আরা বেগম।
আমার যত ভ্রমণ ও ছবিব্লগ