আমার নাম অংক। বয়স ৩২ এর মত হবে। স্মার্ট, হ্যান্ডসাম আর যাবতীয় যত পুরুষালী গুণাবলী থাকা দরকার তা সবই আমার মধ্যে আছে। আরও বেশকিছু চারিত্রিক গুণাবলীর (!) অধিকারীও আমি। মদ, জুয়া, নারী, রাতভর মেয়েমানুষ নিয়ে হই-হুল্লুড় কি নেই আমার জীবনে। ভাল যা লাগবে, সেটাই আমার চাই। কোনো কিছু ছিনিয়ে নিতেই আমার সবথেকে আনন্দ লাগে। সেটা কারো বান্ধবী হোক বা প্রেমিকা। টাকা থাকলে সব হয়। যেটা আমার ভাল নয় শুধু, অঢেল পরিমাণে আছে।
শুধু একটা জিনিস নেই আমার জীবনে। সেটা হচ্ছে ভালবাসা। অবশ্য মনে হয় না আমার এটার প্রয়োজন আছে। এসব আবেগ প্রেম ভালবাসা এসবের কোনো মূল্য আমার কাছে নেই। আমার কাছে মূল্য আছেই শুধু টাকার, নারীর দেহের। এই দু'টো থাকলে আর কি কিছু লাগে।
কথা বলার সময় তো সব শালারাই এক একজন বুদ্ধিজীবি হয়ে যায়। মেজাজ খারাপ লাগে যখন শুনি কেউ বলে যে টাকাই সব নয়। আরে বেটা এতই যখন টাকা কিছু না তো পারলে থাক টাকা ছাড়া। নিজের বউ বাচ্চারে পারবি কি কাপড় না পড়িয়ে রাখতে? পারবি কি একবেলা না খাইয়ে রাখতে? আর মেয়ে মানুষ! বলার সময় সবাই সাধু, একটু একলা কোনো মেয়ের সাথে থাকতে দিলেই তো সব পুরুষত্ব জেগে উঠবে। সব শালাদের চেনা আছে আমার।
সেই স্কুলে ক্লাশ সেভেনে থাকতে প্রথম সিগারেট নিয়ে ধরা পড়ি বাবার কাছে। একমাত্র সন্তান হওয়াতে রক্ষা পাই সেবার। এরপর থেকে সাবধান হয়ে যাই। আস্তে আস্তে অন্যান্য নেশায় হালকা পাতলা ঝুঁকে যাই। শুধু ইঞ্জেকশান ছাড়া। কলেজে থাকতে তো হয়ে যাই মদের গ্র্যান্ড মাস্টার। এমন কোনো বিদেশী ব্র্যান্ডের মদ ছিলনা যেটা কিনা আমি একবার পরখ করিনি। বাবা বড় ব্যবসায়ী, ব্যবসার কাজে দেশ বিদেশে যেতে হত। মা থাকতো ব্যস্ত সংসার নিয়ে। একটু একটু বুঝতে পারলেও অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে ততদিনে। ছাত্র হিসেবে খুব একটা খারাপ ছিলাম না কোনো দিনও। কিন্তু ভার্সিটি লাইফেই ধরা খেলাম পুলিশের কাছে কোকেন নিয়ে। অবশ্য কোকেন আমার জন্য না। ছিল আমারই এক বন্ধুর। যাই হোক, ফলাফল পিতা কর্তৃক আমার বেশকিছু চড় হজম এবং অতঃপর বিদেশ গমন।
ফিরে এলাম একেবারে এমবিএ শেষ করে। এর মাঝে একটিবারের জন্যও দেশে আসিনি। মা-বাবাও যায়নি আমাকে দেখতে। বুঝতে পারলাম, দুনিয়াতে আসলে নিজে ছাড়া কোনো কিছুই বড় নয়। বাবার ব্যবসা দেখা শুরু করলাম। সবাই ভাবলো, আহা অংক কত লক্ষী ছেলেই না হয়ে গেছে। কিন্তু ভেতরে ভেতরে আমার পশুটাকে আমি নিজেই লালন পালন যে করছি, এটা শুধু আমি নিজেই জানি। এর বেশ কিছুদিন পর এক বন্ধুর জন্য এক মেয়েকে তুলে আনতে গিয়ে ধরা খেলাম আবারও। এবার আর দুই'য়ে দুই হলো না। বাপধন একেবারে বাড়ি থেকে বের করে দিল। এতে অবশ্য আমার লাভই হয়েছে। ব্যবসার একটা অংশ আমার নামে করে দিল। প্রথম প্রথম নিজেকে কিছুটা অনাথ অনাথ লাগলেও পরে আস্তে আস্তে মনকে শক্ত করে ফেললাম। বুঝতে পারলাম আসলে ভালবাসা, মায়া-মমতা এগুলো শুধুই উপরে দেখানোর জিনিস। দুনিয়াতে কেউ কারও আপন নয়। নিজে আলাদা অফিস নিয়ে ব্যবসাকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে গেলাম। তখন বুঝলাম, নাহ ভাগ্যটা আমার আসলেই খারাপ না। তো এরপর শুরু হল স্বাধীনভাবে জীবন-যাপন, পেলাম জীবনের আসল স্বাদ। এক এক সকালে আমার ঘুম ভাঙ্গে একেক নারীর ডাকে। রাত বিরাতে বাড়ি ফিরি মদের বোতল নিয়ে, বগলেতো কোনো না কোনো অপ্সরী থাকবেই। এই না হল সত্যিকার জীবন!
কিন্তু এই জীবনেও একটা ছেদ পড়ল হঠাৎ। অফিসে একাউন্টস ডিপার্টমেন্টে নতুন অফিসার নেবে। কোনো মেয়ে অফিসার নিতে হলে আমিই সবসময় যাচাই বাছাই করি। এতে অফিসের চাহিদার পাশাপাশি নিজের চাহিদা(!) মেটানোরও বাছাই করি আমি। যে মেয়েটা আগে ছিল সেই শালী বিয়ে করে চাকরি ছেড়ে দিচ্ছে। সমস্যা নেই, তার কাছে যা ছিল সব আগেই হাসিল হয়ে গেছে। জানে আমি কখনো বাঁধনে জড়াবো না, তাই বিয়ে করে সড়ে পড়ছে। আরও দু' তিনটা আছে। কারণে অকারণে আমার সাথে ঘেঁষতে চায়। আমাকে দেখলেই মনে হয় এদের একটু বেশি শরীর দুলিয়ে দুলিয়ে হাঁটা শুরু হয়। কিন্তু একটাকেও জাতের মনে হয় না।
কয়েকটা সিভি বাছাই করে পিএ'কে বলে দিলাম এদের ইন্টারভিউ নিতে।
ক'দিন পর আমার রুমে ঢুকলো একটি মেয়ে। বয়স ২৫ কি ২৬ হবে। গাঢ় সবুজ সুতি শাড়ি আর প্রসাধনহীন চেহারাতে একদম খাঁটি বাংগালী নারী লাগছে তাকে। মাঝারী গড়নের আকৃতি, বেশ লম্বা চুল বেণী করে রাখা। ঢুকেই সালাম দিল, আমি বসতে বলেই পরিচয় জেনে নিলাম। নাম কায়ান, আমাদের অফিসের নতুন অফিসার। সদ্য পাশ করা তরুণী। স্নিগ্ধ একটা ভাব আছে চেহারায়। আমার চোখ অবশ্য মেয়েদের চেহারা কম তাদের শরীরের দিকে পরশ বুলিয়ে যায় বেশি। প্রথম দেখাতেই নিজের পশুত্বটা জেগে উঠেছে আমার। যেটা কিনা এই মেয়েকে না পাওয়া পর্যন্ত মন ঠান্ডা হবেনা। এই মেয়েকে তো আমার চাইই চাই। এতসব মেয়েদের শেষে কেন জানি এক দেখাতেই এই কায়ান নামক সাধারণ মেয়েটার প্রতি ভয়ানক আকৃষ্ট বোধ করছি।
এরপর চলে গেল কিছু মাস। এর মাঝে কারণে অকারণে কায়ানকে রুমে ডেকে আনতাম। কাজের এটা সেটা বুঝিয়ে দিতাম, কিন্তু নিজের পশুত্বটাকে দমন করতে পারতামনা। আগে এমন কখনো হয়নি। যাকে চেয়েছি বড় জোড় ১ সপ্তাহের ভেতর নিজের বিছানায় নিয়ে গিয়েছি। কিন্তু এই মেয়েটার চোখের দিকে তাকালেই কেমন যেনো মনে হয় আমার ভেতর। বুঝতে পারছিনা কি হচ্ছে এসব। ধুর, আমি তাকে চাই,শুধু তার সবকিছু চাই, এরপর যা হবার হবে। মাঝে মাঝে অফিস শেষে তার বাসায় লিফট দেবার প্রস্তাব দিতাম, কিন্তু সে ভদ্রতার সাথে প্রত্যাখ্যান করতো। কতবার তার রুমে ঢুকে উপহার দিয়ে এসেছি, কিন্তু পরদিন অফিসে আসবার পরই দেখতাম আমার টেবিলের উপর অপেক্ষা করছে কায়ানের ফেরত দেয়া সেই উপহার। নাহ, মেয়েটার সাহসের প্রশংসা করতে হয়। থাক, শিকার যখন গুহার ভেতরেই আছেই তখন আর চিন্তা কি, রয়ে সয়ে শিকার করাই ভাল।
এক ছুটির দিন দুপুরে কায়ান এল আমার প্রাসাদস্বরূপ বাড়িতে। এই বিশাল বাড়িতে আমি একা থাকি। আর আমাকে দেখাশুনার জন্য বেশকিছু কাজের লোক। এখানে আমিই সব, আমার হুকুম ছাড়া এই বাড়ির দরজার বাইরে পা রাখার ক্ষমতা কারো নেই। এখানে যে মেয়েই আসবে, আমাকে খুশি করা ছাড়া তার আর উপায়ই থাকবেনা। নিজেকে বেশ ক্ষমতাশীল মনে হয় তখন। আজ কায়ান এসেছে আমার অনুরোধে। খুব বিনীত করে বলাতে না করতে পারেনি, আর না করবেই বা কেন। তার অফিসের মনিব আমি। আজকেও কি সুন্দর লাগছে তাকে। হালকা আকাশী রঙের কমদামী সুতি শাড়ি পড়নে। কোনো প্রসাধন ব্যবহার হয়নি মুখে, হাত জোড়াও খালি। কিন্তু এতে তার কমনীয়তা কমেনি, মনে হয় আরো বেড়েছে।
আমার বাড়িতে ঢুকেই অবাক হয়ে চারপাশ দেখতে লাগলো। আমি তাকে বাগান, এটা সেটা দেখাতে দেখাতে বকবক করে গেলাম। মেয়ে পটানোর এক বিশেষ ক্ষমতা আছে আমার। কিন্তু এই মেয়ের উপর সেগুলো নয়, একটু অন্যরকম পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। দুপুরের খাবার সময়ে বসে গেলাম ডাইনিং রুমের বিশাল বড় টেবিলে। শুধু আমি আর কায়ান। সারা টেবিল ভর্তি খাবার, আমার পছন্দের ইলিশ মাছেরই রয়েছে দশ রকমের খাবার, বাকিগুলো নাই বললাম। আমি টেবিলের এক মাথায় বসে আর আমার পাশেই কোনাকুনিভাবে কায়ানকে বসিয়েছি। আর চাকরকে বলছি এটা সেটা তুলে দিতে কায়ানের প্লেটে। মেয়েটা আস্তে আস্তে নিঃশব্দে খেয়ে যাচ্ছে। আমি দেখলাম মেয়েটা ইলিশ মাছ ছুঁয়ে দেখছে না।
"কায়ান ম্যাডাম, আপনি কি ইলিশ মাছ খান না?"- আমি
"না স্যার"- কায়ান
" তাই নাকি? আমি এই প্রথম এমন একজনকে দেখলাম যে ইলিশ মাছ পছন্দ করে না"- আমি
"সবাই কি আর সব কিছু পছন্দ করে"- কায়ান
"হুমম, সেটাও ঠিক। যেমন আমি খাসীর মাংস একদম খেতে পারিনা। কেমন যেন একটা গন্ধ লাগে। তো আপনি ইলিশের গন্ধ সহ্য করতে পারেননা তাই তো?"- আমি
"না, ঠিক সেজন্য নয়"- কায়ান
"তাহলে কিজন্য ম্যাডাম? জানতে পারি"- একটু নাটকীয় ভঙ্গীতে বললাম
"আপনার সেটা শুনতে ভাল লাগবে না স্যার"- কায়ান
"তাও আমি শুনবো" , মেয়েটার প্রতি আমার আগ্রহ যেনো আরও বেড়ে যাচ্ছে।
খাবার পর আমি সোফায় বসে গেলাম চা হাতে নিয়ে। কায়ান কেমন একটা আড়ষ্ট ভঙ্গিতে বসে আছে সামনের সোফায়।
"আমার বাবা ছিলেন সামান্য বেতনের চাকুরে"-কায়ান শুরু করল
" আমরা ছিলাম দু' ভাই-বোন। আমার ভাই কাজল আমার থেকে বছর চারেক ছোট ছিল। সংসারে সবসময় অভাব অনটন লেগেই থাকতো। মা মাঝেমাঝে আধবেলা কি সারাদিন শুধু পানি খেয়ে থাকতেন আমাদের জন্য। তাও আমাদের দু'জন আর বাবাকে বুঝতে দিতে চাইতেননা খাবারের স্বল্পতা। আত্মীয়রা মাঝে মাঝে সাহায্য করতো। কিন্তু বিধাতা আমাদের কপালে মনে হয় শুধু কষ্টই লিখে রেখেছিলেন। কাজল ছোট থাকতেই ছিল একটু দুর্বল। বেশিরভাগ সময়ই অসুখে ভুগতো। আমি বা মা রাত জেগে তখন কাজলের মাথায় পানি ঢালতাম আর তার যত্ন করে যেতাম। শত কষ্টের মাঝেও আমরা কখনোই হতাশ হতামনা। ভাবতাম, একদিন না একদিন আমাদের সব অন্ধকার দূর হয়ে যাবে।
কাজলের খুব পছন্দ ছিল ইলিশ মাছ। এমনিতে অভাবের সংসার। শাক আর ডাল ভাত ছিল নিত্যদিনের খাবার। মাঝে মাঝে বাবা যদি ছোট দেখে ইলিশ মাছ আনতেন, তা দেখে কাজলের খুশির অন্ত থাকতো না। রাতে মা'র ভাগের টুকরোটাও তাকে দিয়ে দিত। সবথেকে মায়া লাগতো যখন কাজল ভরপেট খেয়ে শান্তিতে একটা ঘুম দিত। তাকে জড়িয়ে ধরে আমি ঘুম দিতাম। কিযে শান্তি লাগতো আমার তখন। মনে হত আমার মত সুখি মানুষ আর বুঝি কেউ নেই।
তখন কাজলের ৯ বছর বয়স। একদিন দুপুরে হঠাৎ কাজলের প্রচণ্ড জ্বর আসে। সারা শরীর তার কেমন যেনো কাঁপতে থাকে। মা আমাকে পাঠান পাশের ফার্মেসীতে। সেখানে ডাক্তার ছিলেননা, কম্পাউন্ডার আমাকে কিছু জ্বরের ওষুধ দিয়ে দেন। আমি আসতেই দেখি কাজলের জ্বর কিছুটা কম। মা গ্লাসে করে দুধ খাওয়াবার চেষ্টা করছিলেন। সন্ধ্যার দিকে বাবা আসেন বাসায়। এসেই কাজলের অবস্থা দেখে বের হতে নেন ডাক্তার আনবার জন্য। যাবার সময় জানতে চান কাজল কি খেতে চায়। কাজল বলেছিল ইলিশ মাছ ভাজা খাবে। বাবা ১ ঘন্টা পর বাসায় ফিরে আসেন। হাতে ছোট একটি ইলিশ মাছ। জানালেন ডাক্তার এখনো আসেনি। একটু পর এলেই আবার গিয়ে নিয়ে আসবেন। আর অবস্থা বেশি খারাপ হলে হাসপাতালেই না হয় নিয়ে যাবেন। মা জলদি বসে পরেন মাছ কুটতে। আমি কাজলের পাশে বসে হাত ধরে আছি। আস্তে আস্তে কাজল ঘুমিয়ে পড়ে। আমি রান্না ঘরে যাই মা'কে সাহায্য করতে। মা জলদি দু'টো টুকরো ভেজে আমাকে দেন। আমি প্লেট নিয়ে গিয়ে কাজলের পাশে বসি। কাজল অঘোর ঘুমে তখন। আমি আলতো করে তার হাত স্পর্শ করেই চমকে উঠি। আমার চিৎকারে মা-বাবা ছুটে আসেন। আমার এক হাতে তখনও ইলিশের একটি টুকরো আর অন্য হাত দিয়ে কাজলের হাত ধরে আছি ভাইকে জাগিয়ে খাওয়াবো বলে। আমার ভাইটি ইলিশ খেয়ে যেতে পারেনি স্যার। আমি আমার ভাইকে শেষ বারের মতও ইলিশ খাওয়াতে পারিনি। সেই তখন থেকেই আমি আর কখনও ইলিশ মুখে দেইনি।"
কায়ান থামলো। আমি কখন যে জানালার পাশে এসে দাঁড়ালাম নিজেও টের পাই নি। বুকটা কেমন যেনো ভারী হয়ে গেছে। গলার কাছে কি যেনো একটা আটকে গেছে। আমারতো এমন হবার কথা নয়। আমি না পশু, পশুর আবার মায়া-মমতা থাকে নাকি? কিন্তু আমার এমন কেনো লাগছে? মেয়েটার দিকে ঘুরে তাকালাম। সে স্বাভাবিকভাবেই আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
"স্যার, আমি আজ আসি।"- কায়ান
"আমি আপনাকে নামিয়ে দিয়ে আসি?"- আমি
"না স্যার, আমি একাই যেতে পারবো" - কায়ান।
আমি দরজা পর্যন্ত তাকে এগিয়ে দিলাম। নিজেকে কেমন যেন সম্পূর্ণ অন্যরকম লাগছে। মেয়েটি আমার মনটাকে আজ উদাস করে দিল। শেষ কবে এমন উদাস হয়েছিলাম? নাহ, মনে করতে পারছিনা। আমার মত অমানুষেরও তাহলে মন বলে কিছু আছে। আজ কি ছিল আমার উদ্দেশ্য আর শেষটা কি হল। এই আমি যার ভেতর কোনো মায়া-মমত্ববোধ ছিলনা, আজ কোথাকার কোন এক মৃত ছেলের গল্প শুনে অন্যরকম হয়ে গেলাম কেন?
এটা কি তাহলে আমার জীবনের মোড় ঘুড়িয়ে দেবার কোনো লক্ষ্য ছিল? ঠিক বুঝতে পারছিনা আমি।
অধরা - শেষ পর্ব