ব্লগিং আমাদেরকে লেখার প্রচুর সুযোগ করে দেয়।অনেকেই কবির ভাষায় বলে থাকেন "যেমন ইচ্ছা লেখার আমার কবিতার খাতা"।
আসলেই কি তাই?
উহু,ব্লগিং মানে যা ইচ্ছা লেখার কবিতার খাতা নয়।
কিছু নিয়ম কানুন,কিছু ইথিকস ব্লগিংয়ের বেলায়ও মেনে চলতে হয়।
সাধারনত: এই সব না জানার কারনে বিভিন্ন দেশের ব্লগাররা বিভিন্ন সময় গ্রেফতার হওয়া সহ বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হন।
তাই সাধারন ব্লগার যারা নিরুদ্রপ ভাবে ব্লগিং করতে চান,তাদের জন্য কমিটি টু প্রটেক্ট ব্লগারস নামের আন্তর্জাতিক সংগঠনটি কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়ে থাকে।
আসুন,আমরা বাংলাদেশের ব্লগাররা এ বিষয়ে জ্ঞাত হই।
১. কখনো কোন রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য পাচার করতে যাবেন না।এমন কি কোন মানবাধিকার সংস্থা কিংবা আন্তর্জাতিক কোন মিডিয়ার কাছেও নয়।
২.কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বিশেষ করে ক্ষমতায় থাকা কোন রাজনীতিবিদের প্রতি কোন বিদ্বেষ বা অপপ্রচার করতে যাবেন না।
৩.কোন ধর্ম বা মতবাদের বিরুদ্ধে কোন উষ্কানিমূলক তথ্য বা অপপ্রচার করতে যাবেন না।
৪.রাষ্ট্রের কোন প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে সামরিক বিভাগ ,পুলিশ বিভাগ,বিচার বিভাগ এবং মিডিয়া সম্মন্ধে কোন ধরনের আক্রমনাত্মক কথা বা সমালোচনা করতে যাবেন না।
৫.কোন ধরনের জাতিগত বিদ্বেষ ছড়াতে যাবেন না।
৬.কোন বিশেষ ব্যক্তি বা গোষ্ঠি সম্মন্ধে এমন কোন অভিযোগ বা দুর্নাম আরোপ করতে যাবেন না যার পর্যাপ্ত প্রমান আপনার হাতে নেই।
৭.কোন গুজব বা প্রপাগান্ডাকে প্রচার করবেন না।
৮.কোন ধরনের সাইবার ক্রাইমকে উৎসাহ দেয়া বা সেই সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ বা প্রচার করা থেকে বিরত থাকুন।
৯.কোন ধরনের কপিরাইটেড আইটেম যথাযথ লিখিত অনুমতি ব্যাতীত প্রকাশ করবেন না।
১০.যে দেশে অবস্থান করেন সেই দেশের ন্যশনাল প্রাইড বা জাতিগত গর্বের বিষয়ে কোন বিরূপ কিছু লিখবেন না।যেমন সে দেশের জাতীয় নেতা (জীবিত বা মৃত),জাতীয় পতাকা-সঙ্গীত-প্রতীক, জাতীয় চিহ্ন,জাতীয় দিবস ও উৎসব ,ভাষা ,কৃষ্ঠি,সাহিত্য সংস্কৃতি এসব বিষয়ে কোন বিদ্বেষপূর্ণ কথা প্রকাশ ও প্রচার থেকে বিরত থাকুন।
----------------------------------
আমি পরবর্তীতে ব্লগিংয়ের আরো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
এছাড়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশে যেসব ব্লগাররা নিগৃহিত হয়েছেন ,যেসব ব্লগিং সাইট সরকার কর্তৃক বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ হয়েছে সেই সব বিষয়েও একে একে আলোচনা করব।
আশা করি এগুলো আপনাদের ভালো লাগবে।