প্রিয় পাঠক/পাঠিকা, এর আগে একটি গল্প লেখার সময়েই আমার মাথায় আসে, আমি তো অনেকের অনেক যৌনবাস্তবতা ও যৌনফ্যান্টাসির কাহিনী জানি। সেগুলির সাথে লেখকসুলভ একটু কল্পনার নুড়ি পাথর মিলিয়ে দিলেই তো গল্পের ইমারত গড়ে উঠতে পারে। সুতরাং শুরু করলাম যৌনমন কিংবা অলিগলি-অন্ধকার!!! সিরিজের গল্পগুলি লেখা। এই সিরিজের অধীনে যে গল্পগুলি আসবে সবই আমাদের যৌনতা নিয়ে। বিভিন্ন কোণ থেকে আমি যৌনতাকে দেখার চেষ্টা করেছি। পরোক্ষে মনোস্তাত্বিক বিশ্লেষণের চেষ্টাও ছিল। বরং বিশ্লেষণ না বলে বিশ্লেষণসহায়ক ইঙ্গিত বলতেই আমি স্বস্তি বোধ করব। কোনো কোনো গল্প থেকে আপনি সচেতনতার বীজ সংগ্রহ করতে পারবেন। কিন্তু যারা রসময় গুপ্তের কাহিনী পড়তে চান তারা নিঃসন্দেহে হতাশ হবেন। যৌনতার রগরগে বর্ণনা নেই। যতটুকু এসেছে তা কাহিনীর প্রয়োজনে। প্রায় প্রতিটি গল্পই বাস্তবতার নিরিখে লেখা। চলেন তবে শুরু করা যাকঃ-
যৌনমন কিংবা অলিগলি-অন্ধকার!!! - ৫
যৌনমন কিংবা অলিগলি-অন্ধকার!!! -৪(ক)
যৌনমন কিংবা অলিগলি-অন্ধকার!!! -৪(খ)
যৌনমন কিংবা অলিগলি-অন্ধকার!!! - ৩
যৌনমন কিংবা অলিগলি-অন্ধকার!!! - ২
আইবুড়ো কাল এবং দীর্ঘশ্বাস
প্রেমে শরীর চিরকালই ছিল দুই-দুই চারের মতো। নিষ্কাম প্রেম তো প্রেমই নয়, সেটা ভালবাসা, একজন মানুষের প্রতি আরেকজন মানুষের মানবিক মমত্ববোধ; অথচ প্রেম হল মানসিক অনুভূতির সাথে শারীরিকতার সূক্ষ্ম-স্থূল রসায়ন। কিন্তু হালে এই মোবাইল ফোনের যুগে সূক্ষ্মতার ভাঁপ ক্রমশ উবে গিয়ে রুঢ় স্থূলতার রগরগে রঙে নীল হয়ে যাচ্ছে প্রেম।
আমাদের মেসে সোহাগের মোবাইল ফোন-প্রেমিকা তিন দিন তিনরাত এসে থেকে গেলে প্রেমে রিরংসার জয়নিনাদ আরও বেশি ধামাকা সুরে বেজে ওঠেঃ মন চাইলে মন পাবে, দেহ চাইলে দেহ/ সবই হবে অগোচরে জানবে না কেহ।
ধামাকা সুর আরো স্থায়ী হওয়ার পথে এগিয়ে যায়, তার কদিন পরেই হাসানের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া প্রেমিকা দুরাত একদিন থেকে, ঢাক-ঢাক-গুর-গুর খেলে, পরিপূর্ণ শারীরিকতায় মন ডুবিয়ে গেলে।
এবং এই দুই ঘটনার বছর খানেক আগে জাহিদের টিউশনির অষ্টম শ্রেণি-পড়ুয়া ছাত্রীটি স্কুল ফাঁকি দিয়ে আমাদের মেসে দুই ঘণ্টা চুটিয়ে প্রেম করে যাওয়ার পর টয়লেটের প্যানের ভিতরে ব্যবহৃত কনডম দেখতে পেলে আমার মনে হয়েছিল আইনত ধর্ষণ হলেও এটা বাস্তবে ধর্ষণ ছিল না।
রিরংসার এরকম অজস্র অনুগল্প আমি, আপনারা, তারা অর্থাৎ আমরা শুনতে-শুনতে, দেখতে-দেখতে, স্বাদ-গন্ধ নিতে-নিতে অভিজ্ঞতার জারকে ঋদ্ধ হতে-হতে ক্রমশ সিদ্ধির দিকে এগিয়ে চলেছি। আমরা মানে সোহাগ, আমরা মানে হাসান, মানে জাহিদ; আমরা মানে তারাও।