অনেকেই ডক্টর ইউনুসের পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার কথা বলছেন। এর জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় নির্বাচন। আদালত যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বহাল করেছে সেহেতু ডক্টর ইউনুস তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচনমুখী হতে পারেন। এনসিপি যেহেতু তাঁর পাঁচ বছরের ক্ষমতা চায় সেহেতু এনসিপির মনোনয়নে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন।এনসিপিকে জনগণ ভোট দিলে তারা ডক্টর ইউনুসকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে পাঁচ বছর ক্ষমতায় রাখতে পারে।ডক্টর ইউনুসের পাঁচ বছর ক্ষমতা চায় কিন্তু নির্বাচন চায় না, বিষয়টা ঠিক বুঝাগেল না।
আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের বাইরে রেখে নির্বাচন করাও ভালো কথা নয়। তারা যদি ফ্যাসিবাদ হয়ে থাকে, আর জনগণ যদি ফ্যাসিবাদকেই ভোট দেয় তাতে সমস্যা কি? গণতন্ত্রেতো জনগণের ইচ্ছাই শেষ কথা।সবার অংশগ্রহণে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক।তাতে যারা ক্ষমতায় আসে আসুক। অগণতান্ত্রিক সরকারকে জনগণের ঘাড়ে বেশী দিন বসিয়ে রাখা কোন ভালো কথা নয়। ৯৫% জনগণ নাকি ডক্টর ইউনুসকে চায়। তাহলেতো অতিদ্রুত নির্বাচন হওয়া দরকার। এত জনপ্রিয়তা নিয়ে তাঁর অগণতান্ত্রিক সরকার হয়ে বসে থাকার কি দরকার?
বিএনপি বলেছে তারা তিন কোটি কর্মসংস্থান করবে।জনগণ চাইলে তাদেরকে দ্রুত কাজে নেমে পড়ার সুযোগ করে দেওয়া দরকার। বহু কালের ভাবনায় তারা ভালো কিছু ভাবতে শুরু করেছে। এমতাবস্থায় তাদেরকে বিলম্বের মধ্যে ফেলে দেওয়া ঠিক না। তাদের পরিকল্পনার পরি উড়ে গিয়ে কল্পণা অবশিষ্ঠ থাকছে বহুকাল ধরে। এমন অবস্থা আর চলতে দেওয়া যায় না। বিএনপি বলছে তাদের জনপ্রিয়তা ৮০%। সুতরাং বিলম্বে নির্বাচন দিয়ে তাদেরকে জাতির কাজে বিলম্ব করিয়ে দেওয়া জাতির জন্য অমঙ্গল।
চেংগিস খান বলছেন, যা করার আমেরিকা করেছে। তাদের অকাজের বহু বদনাম আছে। তবে আমেরিকার যে সরকার হাসিনা তাড়ানোর অকাজ করেছে তারা এখন ক্ষমতায় নাই। তথাপি ডক্টর ইউনুস ক্ষমতায় আছেন। তিনি আবার আমেরিকার প্রতিপক্ষ চীন থেকে একখানা ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়ে এসেছেন। তিনি দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। সেজন্য গুণীজন চাচ্ছেন তিনিই ক্ষমতায় থাকুন।আমি চাই গুণীজনের ইচ্ছা বাস্তবায়িত হোক। তবে সেটা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায়। আর সেই প্রক্রিয়ায় যদি জনগণ আবার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় দেখতে চায় তবে তাদের সে ইচ্ছাকে বাধাগ্রস্থ্য করা ঠিক না। সেটা হলে যারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে তাড়িয়েছে তিনি তাদের বিচার করবেন। তারপর হয়ত এক সময় তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে সেলফি তুলবেন। তাঁর পিতার ভাস্কার্য মেরামতে কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করবেন। নতুন করে তাঁর আরো ভাস্কার্য স্থাপনে কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করবেন। আর তারেক রহমান ক্ষমতা পেলে তিনি তিনকোটি কর্মসংস্থান করবেন। তাতে আবার চাকুরী থাকবে কিন্তু বেতন থাকবে না এমন হলে সমস্যা। তারা তখন যদি বলে আমরা তো কর্মসংস্থানের কথা বলেছি, বেতন দেওয়ার কথা বলিনি। এক আদম বেপরীর স্ত্রী বলেছেন, আমাদের কাজ বিদেশে পাঠানো, আমরা সেটা করেছি। সেখানে গিয়ে তারা বেতন না পেলে সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের না। বহু রঙ্গে এ বঙ্গ ঢঙ্গে চিরকাল-সব শাসনে জনতার হয় পোড়া কপাল।যেমনই থাকি না কেন বলতে হবে আমরা ভালো আছি। একদল বেরিয়েছে তখন ভাল ছিলাম নাকি এখন ভালো আছি শুধু সেই হিসাব করছে। আমি বলি তখন ভোট দিতে পারিনি এখন ভোট দেওয়ার অপেক্ষায় আছি, সেটা যত দ্রুত দিতে পারি সেটাই এখন কাম্য। তারপর জনগণ যাকে চায় সে ক্ষমতায় যাবে। জনগণের ইচ্ছায় ব্যঘাত সৃষ্টি করা কোন অবস্থায় ঠিক না। ডক্টর ইউনুস চুহাত্তরের চেতনা জাগ্রত করতে চান। তার জন্যও তাঁকে সময় দিতে হবে।এ চেতনা জাগ্রত হোক চেংগিস খানও হয়ত সেটা চাইবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৪১