somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যৌনমন কিংবা অলিগলি-অন্ধকার!!! -৪(ক)

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রিয় পাঠক/পাঠিকা, এর আগে একটি গল্প লেখার সময়েই আমার মাথায় আসে, আমি তো অনেকের অনেক যৌনবাস্তবতা ও যৌনফ্যান্টাসির কাহিনী জানি। সেগুলির সাথে লেখকসুলভ একটু কল্পনার নুড়ি পাথর মিলিয়ে দিলেই তো গল্পের ইমারত গড়ে উঠতে পারে। সুতরাং শুরু করলাম যৌনমন কিংবা অলিগলি-অন্ধকার!!! সিরিজের গল্পগুলি লেখা। এই সিরিজের অধীনে যে গল্পগুলি আসবে সবই আমাদের যৌনতা নিয়ে। বিভিন্ন কোণ থেকে আমি যৌনতাকে দেখার চেষ্টা করেছি। পরোক্ষে মনোস্তাত্বিক বিশ্লেষণের চেষ্টাও ছিল। বরং বিশ্লেষণ না বলে বিশ্লেষণসহায়ক ইঙ্গিত বলতেই আমি স্বস্তি বোধ করব। কোনো কোনো গল্প থেকে আপনি সচেতনতার বীজ সংগ্রহ করতে পারবেন। কিন্তু যারা রসময় গুপ্তের কাহিনী পড়তে চান তারা নিঃসন্দেহে হতাশ হবেন। যৌনতার রগরগে বর্ণনা নেই। যতটুকু এসেছে তা কাহিনীর প্রয়োজনে। প্রায় প্রতিটি গল্পই বাস্তবতার নিরিখে লেখা। চলেন তবে শুরু করা যাকঃ-



আপনি মাত্র এইচ এস সি এবং নায়িকা মাত্র এস এস সি। উভয়েরই পরীক্ষা শেষ। হাতে অফুরন্ত সময়। দিনের মধ্যে ১৪ বার মনে হবে জীবন খুবি সুন্দর। আপনার লক্ষ্য এলাকার কলেজেই ভর্তি হওয়া। বেশ কয়েকটা বিষয়ে অনার্স কোর্স আছে এই কলেজে। আপনার নায়িকারো এই কলেজেই ভর্তি হওয়ার ইচ্ছা। এখানে ভর্তি হতে তেমন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় না। তাই কোনো কোচিংয়ের ধার আপনারা ধারবেন না। হাতে কোনো গুরুতর কাজ নেই আপনাদের কারোই। সুতরাং নেই কাজ তো খই ভাজ। আপনারা মহা আনন্দে তাই দুজনেই খই ভেজে চলবেন সারাটা বন্ধের সময়। আপনি তো মাঝে মাঝেই বাড়ির দক্ষিণ ধারে যাবেন। দক্ষিণ দিক থেকে বয়ে আসা বাতাসে আপনার কিছুটা লম্বা চুল আউলা-ঝাউলা হয়ে যাবে। আর আপনি গলা ছেড়ে গেয়ে উঠবেন ‘আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে।’ আশেপাশে কেউ না থাকলে হয়ত দুই-চার পাক ঘুরেও নেবেন অর্থাৎ নেচে নেবেন। আপনাকে আড়াল থেকে দেখে কারও না কারও দীর্ঘশ্বাস পড়বে। পড়বেই। মনে পড়বে - সেই যে আমার নানান রঙের দিনগুলি রইল না, রইল না ….
সেই দীর্ঘশ্বাসওয়ালাদের মাঝে নিশ্চিত জানবেন আমিও থাকব। থাকবই।

এমনি কোনো এক বিকাল বেলা পাশের বাড়ির মালাকে দেখে আপনি চমকে উঠবেন। একটি হার্টবিট মিস করবেন। তাকে কিন্তু আগেও দেখেছেন। জীবনে অসংখ্যবার দেখেছেন। কিন্তু এই বিকালের দেখাটা অন্য রকম। এই দেখাটা আপনাকে বেশ উথাল-পাথাল করবে। ভাবাবে। আন্দোলিত করবে। রাতে ঘুমাতে গিয়ে কোলবালিশের জায়গায় মালা চলে এলে দুম করে আপনার হার্টবিট বেড়ে যাবে। সাথে সাথে আপনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবেন, পরের দিন অবশ্যই যে করে হোক মালার সাথে আপনাকে কথা বলতেই হবে।

কিন্তু কোনো ভাবেই পরদিন মালার দেখা না পাওয়ায় আপনি একটু বেশিই অস্থির হয়ে উঠবেন। কেননা আপনি ইতোমধ্যেই জেনেছেন এবং বুঝেছেন প্রেমের ক্ষেত্রে সময়ের কাজ সময়ে না করলে সব হারানোর ভয় থাকে। আপনারই এক বন্ধু ভালবাসত যে মেয়েটিকে, তাকে মাত্র এক দিন দেরি করে বলায় আপনার বন্ধু তাকে আর পায় নি। কারণ সেই এক দিন আগেই অন্য একটি ছেলে তাকে তার ভালবাসার কথা জানিয়েছিল এবং মেয়েটি তার প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল। সুতরাং আপনি উচাটন হয়ে উঠবেন এটাই স্বাভাবিক।

পরের দিনের পরের দিন আপনি মালাদের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানবেন সে নানা বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছে। শোনার সাথে সাথে আপনি আবার একটি হার্টবিট মিস করবেন। স্কুল বন্ধ সুতরাং মালা এবার অনেক দিন বেড়াবে। মালার মা আপনাকে আরও জানাবে নানা বাড়ি থেকে মালা ফুপু বাড়ি, খালা বাড়িও যেতে পারে। শোনার পর থেকে আপনার মন আর কিছুতেই শান্ত হবে না। মালার ম্যালাগুলি তুতো ভাই আছে। সুতরাং এই তুতো ভাইদের রসায়নে যদি কিছু হয়ে যায়। সমীকরণের এই সম্ভাবনা আপনাকে আতংকিত করে তুলবে। আপনি মনেমনে আল্লাহকে বেশি বেশি ডাকতে শুরু করবেন।

মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে মালা ফিরে এলে আপনার উৎকণ্ঠা দূর হবে। আপনি প্রাণে পানি পাবেন। এক পলকের জন্য আপনার সাথে তার দেখা হলে আপনি তাকে জানাবেন যে তার সাথে আপনার বিশেষ কথা আছে। পরের দিন যেন সে একটু সময় বের করে আপনার সাথে দক্ষিণ ধারে দেখা করে।

আপনারও অবসর – কাজ নেই; তারও অবসর – কাজ নেই। এই দুই না-থাকা, এই দুই মাইনাস আপনাদেরকে প্লাসিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বাড়িয়ে দেবে। আপনি ইতিবাচক সম্ভাবনার কথা ভাবতে ভাবতে রাতে ঘুমাতে যাবেন। এবং পরদিন অংকের এই মৌলিক সূত্র আপনাদের কানেকানে; আসলে মনেমনে তার জয়গানই গাইবে। সুতরাং আপনারা নতুন কাজ পেয়ে যাবেন: পরস্পরকে প্রতিটি মুহুর্তে অনুভব করার কাজ; সারাক্ষণ আরেকজনের মুখটা মনের মধ্যে আঁকার কাজ; আরেকজনকে নিয়ে স্বপ্ন দেখার কাজ এবং আবার কখন দেখা হবে কিংবা দেখতে পাওয়া যাবে সেই সংশয়ে উৎকণ্ঠিত থাকার কাজ। এত সব কাজ করে আপনারা দুজনেই নাওয়াখাওয়ার ফুরসত পাবেন না। এমন কি আগের মতো আর সহজে ঘুমও আসবে না আপনাদের। দুজনেই টের পেয়ে যাবেন জীবনের অকস্মাৎ বাঁক। বুঝতে পারবেন জীবন বদলে গেছে ।

আপনাদের দুজনের কারোই ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নেই। গ্রামে সবার এই বয়সে মোবাইল ফোন থাকেও না। সুতরাং আপনারা ক্লাসিক পত্রসাহিত্যেরই আশ্রয় নেবেন। এত চমৎকার লিখতে পারেন আপনি; নিজের প্রতিভায় নিজেই মুগ্ধ হয়ে যাবেন। একেকটি চিঠি শেষ করবেন আর নিজের পিঠ নিজেই চাপড়ে দেবেন। আর মালা? সে তো প্রতিটি চিঠি পাঠে মুগ্ধতার শীর্ষে পৌঁছে যাবে।

মালা অবশ্য ভাল চিঠি লিখতে পারে না। তার লেখার দিকে সে রকম মনও নাই। আর খুব একটা লিখবেও না আপনাকে। কিন্তু আপনার চিঠির অপেক্ষায় সে সময় গুনবে নিয়মিত। কেননা আপনার চিঠি তার ভাল লাগার একটা উপাদান হয়ে উঠবে। আপনি যেদিন তাকে তার চমৎকার দুটি আপেলের জন্য প্রশংসায় ভাসিয়ে দেবেন; মাউন্ট এভারেস্ট আর কাঞ্চনজঙ্ঘার সাথে তুলনা করবেন এবং ও দুটো জয় করার তীব্র বাসনা প্রকাশ করবেন; নিশ্চিত তার গালে লালিমা ছড়াবে। আপনার চিঠি পড়তে পড়তে সে অস্ফুটে, ভালবেসে বার বার বলবে, অসভ্য! বারবার বলবে, পাজি!

এ যাবতকালে লেখা সকল চিঠির মধ্যে এই চিঠিটাকেই তার শ্রেষ্ঠ মনে হবে। এই চিঠিতে তার রূপের প্রবল স্বীকৃতি থাকবে। শরীরের নগ্ন প্রশংসা থাকবে। আরও নতুন নতুন অনেক কিছুই সে এই চিঠিতে খুঁজে পাবে।

মেয়েরা যে কিছুটা নগ্নতা, কিছুটা অসভ্যতা, কিছুটা বেপরোয়াভাব পছন্দ করে তা তো আর আপনি জানবেন না তখনও। কিন্তু না জেনেই আপনি একটা মোক্ষম জায়গায় হাত দিয়ে ফেলবেন। মেয়েরা কখনোই ম্যাদামারাভাব পছন্দ করে না। পছন্দ করে না ১০০% ভাল মানুষিতাও। তারা চায় পুরুষ হবে পুরুষের মতো। সাচ্চা পুরুষ! খাঁটি পুরুষ! এই পুরুষের প্রকৃতিতে থাকবে কিছুটা ভেজাল! ভেজাল মানে কিছুটা লুলামি, কিছুটা বন্যতা, কিছুটা নিঃষ্ঠুরতা, কিছুটা কর্কশতা ইত্যাদি।

নির্ভেজাল পুরুষ মানে মহাপুরুষ। কোনো সাধারণ নারী মহাপুরুষ কামনা করে না। তার চাই শক্ত-পোক্ত গরমাগরম, টক-ঝাল কিছু। নরম-ঠাণ্ডা-মিষ্টি-মিষ্টি তার তেমন পছন্দ নয়। তাই জীবনানন্দরা কোনো কালেই স্ত্রীর ভালবাসা পাবেন না, আর নজরুলদের প্রেমিকার অভাব হবে না।

আপনি এই কিছুটা নগ্ন ভাষার, কিছুটা বেপরোয়াভাবের চিঠিটির একটা ভাল বিনিময়ও পেয়ে যাবেন। এই প্রথম সে চিঠিতে তার অধরোষ্ঠের ছাপ এঁকে দেবে। আর এই চুম্বনের স্বাদ পেয়ে আপনি আরেকটু সাহসী হয়ে উঠবেন, আরও একটু বেপরোয়া। এখন শুধু চিঠিতেই নয় মুখেও বলতে শুরু করবেন। আপনার মুখ থেকে শরীরের খোলামেলা প্রশংসা শুনে মালা কিছুটা লজ্জারাঙা হয়ে উঠবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার এই লজ্জারাঙা মুখাবয়বে ভাললাগার যে আবির জড়ানো থাকবে সেটাও আপনার চোখ এড়াবে না। মুখ ঝামটা দিয়ে সে আপনাকে বলবেও, যান, আপনার সাথে কথা নাই। আপনি শুধু অসভ্যতা করেন। আপনি তখন নিশ্চিত একটা লুল হাসি দিয়ে বলবেন, অসভ্যতা আবার কই করলাম; মুখেই তো শুধু বললাম। অসভ্যতা হত যদি…… আপনি হাত দিয়ে, মুখ দিয়ে ইঙ্গিতে বুঝাবেন যে, যদি আপনি এভাবে করতেন।

> আপনি তো আসলেই অসভ্য।

আপনার ইঙ্গিতের নমুনা দেখে মালা ফুঁসে উঠবে। আপনি মুখের লুল হাসি ধরে রেখে বলবেন, শোনো, এটা অসভ্যতা না। যারে ভাল লাগে মানুষ তার সাথেই তো এসব করে, তাই না? না-ভাল লাগা কারো সাথে এসব কেউ করে নাকি? আমার তো আর ঐ বাড়ির নাসিমার সাথে এসব করতে ইচ্ছা হয় না। কারণ তারে তো আমার পছন্দ না। তারে তো আমি ভালবাসি না। আমি ভালবাসি তোমারে। তাই…
আপনি পুরো কথাটা শেষ না করে একটু থামবেন। তারপর বলবেন, তোমারে আমার ভাল লাগে না, বল?
> আমি কেমনে জানি?
- জান না?
> আপনার মনের খবর আমি কিভাবে জানব? কারও মনের খবর কেউ কি জানে? আসলেই কি জানে?
- এটা তুমি কী বললা? তোমারে আমার ভাল লাগে এটা তুমি জানবা না? টের পাবা না? তাইলে কিসের কী?
- আমারে যে তোমার ভাল লাগে এটা তো আমি টের পাই, বুঝতে পারি।

মালা মুখ বাঁকা করে বলবে, আপনি কচু টের পান। আপনারে আমি মোট্টেও পছন্দ করি না।
- কী বললা তুমি?
আপনার কণ্ঠের উষ্মা বুঝতে পেরে মালা হাসি দিয়ে বলবে, কিছু বলি নাই। আপনি যা বলতে চাইছিলেন, বলেন।
- না তোমারে যে আমার ভাল লাগে এটা তো তুমি জানো?
> সত্য? আমারে ছুঁয়ে বলেন তো?

মালার চোখে আপনি দেখবেন নারীর চিরকালীন সন্দেহ। চিরকালীন দ্বিধা। তবুও এই মুহুর্তে আপনি অসভ্যতা করার, দুষ্টুমি করার এমন সুযোগ পেয়ে কিছুতেই সেটা অপচয় হতে দেবেন না। চোখ সরু করে বলবেন, কোথায় কোথায় ছুঁতে হবে বল। না না আসো, শুধু ছোঁয়াছুঁয়ি কেন, জড়িয়ে ধরেই বলি।
> আবার?

মালার ধমকে আপনি একটু নিজেকে সামলে নেয়ার অবকাশ পাবেন। এবং তাকে আশ্বস্ত করবেন – ঠিকাছে, ঠিকাছে আর কিছু লাগবে না; তোমার একটা হাত দেও। হাত ছুঁয়েই বলি।

তারপর আপনি বলতে শুরু করবেন , তাকে আপনি কত পছন্দ করেন, কেন পছন্দ করেন। তার হাতের আঙ্গুলগুলো ছুঁয়ে-ছুঁয়ে দিয়ে বলবেন, হাত ও আঙ্গুলের চমৎকারিত্বের কথা; তার বড় বড় ডাগর চোখদুটি দেখলেই আপনার যে সবসময় দুর্গাসাগর দিঘির কথা মনে হয় সে কথাও আপনি তাকে বলবেন। আরও বলবেন মালার চোখের মনিদুটো যেন দিঘির মাঝখানের শ্যামল দ্বীপটি।
> হি-ম-ম আর?
আপনার প্রশংসা মালার ভাল লাগবে। পৃথিবীর সব মেয়েরই তা লাগবে। এমন কোনো মেয়ে নেই যে তার নিজের রূপের স্তুতি পছন্দ করবে না। সুতরাং মালা আপনার মুখ থেকে আরও শুনতে চাইবে। আপনার মধ্যে সহজাত একটা ব্যাপার আছে, আপনি চমৎকার লুচাতে পারেন। লুচানো-গুণ লুল পুরুষদের মারাত্মক একটি অস্ত্র। এই অস্ত্রে প্রায় সব মেয়েই ঘায়েল হয়ে যায়। সবচেয়ে বিস্ময়কর হল পুরুষদের লুলামি, ভণ্ডামি সম্পর্কে পুরোমাত্রায় সচেতন হওয়া সত্ত্বেও কতিপয় মেয়ে শুধু প্রশংসাকে প্রশ্রয় দেওয়ার লোভ সামলাতে না পেরে ধীরে ধীরে পুরুষের লুলামির আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। সেখান থেকে নারী নিজেকে আর ফিরিয়ে আনার সুযোগ পায় না।

তো মালার আগ্রহ দেখে আপনি শুরু করে দেবেন পূর্ণমাত্রায় লুচানো। আপনি তাকে বলবেন, তার চোখ এত সুন্দর যে, আপনার ইচ্ছা করে তার চোখের পাতায় লক্ষ লক্ষ চুমু খান। তার কানদুটো এত সুন্দর যে, আপনার ইচ্ছা করে দুকানের লতি লজেন্সের মতো চুষে খান।

> যান, আপনি একটা পাজি লোক। পাজির হাড্ডিগুড্ডি।

নারীর লজ্জারাঙা মুখের মধ্যে ভাল লাগার অনুভূতি যদি ফুটে ওঠে একজন কদাকার মহিলাকেও ঐ দুই মিশ্রণের গুণে ভাল লাগে। আর সুন্দরী মালাকে তো দুই অনুভূতির মিশ্রিত রসায়ন অতুলনীয় করে তুলবে। সুতরাং মালার দিকে তাকিয়ে আপনার উতল-উতল লাগবে, ব্যাকুল-ব্যাকুল লাগবে, পাগল-পাগল লাগবে। আপনি তাকে আরও প্রশংসার প্লাবনে ভাসাতে থাকবেন। আর যে ভাসায় সে নিজেও কি ভাসে না? জল কি ভাসতে ভাসতেই এগোয় না? নিজেও ভাসে অপরকেও ভাসায়। সুতরাং আপনি ভাসতে ভাসতে ভাসাতে ভাসাতে এগোবেন। আচ্ছন্নের সাথে বলতে থাকবেন, মালার বুকের দিকে তাকালেই আপনি এলোমেলো হয়ে যান। প্রশান্ত মহাসাগরের সবচেয়ে উঁচু ঢেউগুলোর কথা আপনার মনে পড়ে যায়। আর আপনার ইচ্ছা হয় সেই উঁচু ঢেউগুলোর মাথায় আপনি দুর্দান্ত সার্ফিং করে বেড়ান। আপনি মালার শারীরিক আরো অজস্র ঢেউয়ের প্রশংসায় সহস্রমুখ হয়ে উঠবেন। আর মালা আপনার প্রশংসার প্লাবনে ভাসতেই থাকবে… ভাসতেই থাকবে…

ভাসতে ভাসতে গদোগদো হয়ে বলবে, যান, আপনি এই রকম পাজি পাজি কথা বললে আমি কিন্তু চইল্লা যাব।

মালা হুমকি দেবে কিন্তু যাবে না। আপনার লুচানি মালার মনে ভাললাগার কোমল পরশ বুলিয়ে যেতে থাকবে। আপনার আরেকটু ঘনিষ্ঠ হয়ে বসবে।

এভাবেই আপনাদের ঘনিষ্ঠতা ক্রমশ বাড়তেই থাকবে। আর আপনি আরও দুঃসাহসী হয়ে উঠবেন। এখন আপনি মাঝেমাঝেই মালার হাতে চুমু খাবেন। কিন্তু তার কাছ থেকে এখনি আপনি কোনো উত্তর পাবেন না। আপনাকে নিয়মিত অনুরোধ করে যেতে হবে। তারপর ঠিকই একদিন প্রত্যাশিত উত্তর পেয়ে যাবেন। একদিন আচানক চুমু খেয়ে লজ্জায় লাল হয়ে বলবে, এইবার হইছে তো?

আপনি ধীরে ধীরে একেকটি ধাপ অতিক্রম করবেন আর সাহসের চূড়ায় পৌঁছে যেতে থাকবেন।

আপনার দিনগুলো, রাতগুলো বড় আনন্দে কেটে যেতে থাকবে। বারবার মালাকে আপনার দেখতে ইচ্ছা করবে। মাঝেমাঝেই আপনাকে মালাদের আঙ্গিনার উপর দিয়ে হেঁটে যেতে দেখা যাবে। আপনি হয়ত শব্দ করে গান গেয়ে যাবেন, কিংবা দু’ঠোঁটে শিস বাজিয়ে বাজিয়ে যাবেন। মালা জানালার ফাঁক দিয়ে উঁকি মেরে ইঙ্গিতপূর্ণ হাসি দিলে আপনার মন কোথায়, কোন আকাশে যেন ডানা মেলে দেবে। তার হদিস কেউ জানে না। জানবে না কোনো দিন।


আপনি চিঠিতে আরও দুর্বার হয়ে উঠবেন। শিল্পিত নগ্নতা আপনার চিঠির পরতে-পরতে উষ্ণতা ছড়াতে থাকবে, মালার প্রতি আবেদন জানাতে থাকবে। আপনি একদিন বেশ জোরালোভাবেই মালাকে বলবেন যে, আপনি তাকে একদিন বস্ত্রবাঁধন খুলে দেখতে চান। পোশাকের উপর দিয়ে যে মেয়েটা এত সুন্দর! এত সুন্দর! আড়ালে না জানি সে আরো কত সুন্দর।

মালা কিন্তু মোটেই রাজি হবে না। ফলে আপনি আরও ঘনঘন এই অনুরোধটা করতে থাকবেন। আর যখনই আপনি এই প্রসঙ্গ তুলবেন, মালা রেগেমেগে আপনার কাছ থেকে চলে যাবে। আপনি প্রচণ্ড রাগ করবেন একদিন। আপনার বক্তব্য খুবই স্পষ্ট। মালা কি মনে করে আপনি তাকে ভালবাসেন না? মালার জন্য তো আপনি যে কোনো কিছুই ত্যাগ করতে পারেন। এমন কি আপনার প্রাণটাও। অথচ সে এটুকু পারবে না? আপনি তো ভণ্ড না। আপনার চাওয়াতে তো কোনো দুই নম্বুরি নাই। আপনি তো স্রেফ দেখতেই চেয়েছেন, আর কিছু তো চান নি। আদর-সোহাগের দাবি তো আর করেন নি। অথচ প্রেমিকার কাছে একজন খাঁটি প্রেমিকের এইটুকু তো পাওনা হতেই পারে। অথচ আপনি কত সুবোধ ছেলে, ভাল ছেলে, চরিত্রবান ছেলে! প্রাপ্যটুকুও তার কাছে চান নি। অথচ সে আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে। ভোগাচ্ছে। অবমূল্যায়ন করছে। তাহলে?

অতএব, আপনি তার ভালবাসায় সন্দেহ প্রকাশ করবেন। এবং এটা হবে আপনার সূক্ষ্ম ব্লাকমেইলিং।

সিনেমাটিক এই ডায়লোগগুলি ঝেড়ে দেয়ার পরে মালা নিশ্চিত কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে পড়বে। কিন্তু অত সহজে ধরা দেয়ার পাত্রী সে মোটেই নয়। সে আপনাকে মরিয়া হয়ে বোঝানোর চেষ্টা করবে। সে আপনাকে ভয়ঙ্কর রকম ভালবাসে। আপনি যা চান তা সে কখনোই বিয়ের আগে আপনাকে দিতে পারবে না। এবং আপনার তা চাওয়াও অন্যায়।

আপনি কিছুতেই বুঝতে চাইবেন না যে, অন্যায় কেন হবে? যদিও আপনি জানেন এটাও অন্যায় তবুও আপনি না বোঝার ভান করে যাবেন। আপনি তো শুধু দেখতে চান, স্পর্শ তো করতে চান না।

> শোনেন, ছেলেদের খবর জানা। প্রথমে দাঁড়াতে চায়, তারপর বসতে চায়, তারপর একটু শোয়ার জায়গা চায়; শেষে আরও কিছু করতে চাইতে সংকোচ করে না।
> ওয়াদা! তুমি দূর থেকে শুধু দেখাবা। আমি তোমার ছোঁব না।

মালা মুখ ঝামটা দিয়ে চলে যাবে। জানিয়ে যাবে এই কাজ তাকে দিয়ে হবে না। কিন্তু আপনি তার এই ‘না’ এর ভিতর ‘হ্যাঁ শুনতে পাবেন। সুতরাং আপনি নাছোড়বান্দা! অতুলনীয় ধৈর্য আপনার। মাঝেমাঝে যদিও অস্থির হয়ে উঠবেন কিন্তু লেগেও থাকবেন। আপনার নিয়মিত বিন্দু বিন্দু প্রচেষ্টা তাকে একটু একটু করে ভাঙতে থাকবে। এবং গড়ে উঠতে শুরু করবে আপনার প্রত্যাশা পূরণের মহাদেশ কিংবা অতল সাগর। নিয়মিত অনেক কাকুতিমিনতির পরে সে একদিন রাজি হবে কিন্তু, শর্ত একটাই দেখা যাবে, ছোঁয়া যাবে না। কথার বরখেলাপ হলে সম্পর্কের শেষ। আপনি তাতেই রাজি হবেন। এতদিনের প্রচেষ্টার এই অর্জনটুকু আপনাকে একটি মহাজ্ঞান দিয়ে যাবে। আপনি জেনে যাবেন, নারীকে জয় করতে প্রয়োজন প্রথমত প্রশংসা, দ্বিতীয়তো ধৈর্য, তৃতীয়তো সাহস এবং অতি অবশ্যই আপনার প্রতি নারীর বিশ্বাস। আপনি খুবই সৌভাগ্যবান যে, এই চারটি বিষয়ের যৌথমূলধন আপনার থাকবে। সুতরাং আপনি দিন গুনতে শুরু করবেন কবে আসবে সেই সাফল্যের মুহুর্ত।

এবং অচিরেই আপনার বহু কাঙ্ক্ষিত সেই দিন এসেও পড়বে। মালাই একদিন আপনাকে জানাবে, পরের দিন তার বাবা যাবে বাজারে, ছোট ভাই থাকবে স্কুলে, আর মা যাবে বোনের বাড়িতে। মোটামুটি দু-তিন ঘন্টা সে একা থাকবে। আপনাকে একটু কষ্ট করতে হবে। ঝোঁপঝাঁড় ভেঙে পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকতে হবে। যাতে কারও চোখে পড়ে না যান।

আপনি তাই করবেন। সবদিক ভালভাবে দেখতে দেখতে দুরুদুরু বুকে আপনি ঢুকে পড়বেন মালাদের ঘরে।

মালার মুখে কেমন একটা ইতস্তত ভাব। সে যেন খুবই বিব্রত। শঙ্কিত। একটা হাসির চেষ্টা করছে বটে কিন্তু কিছুতেই ঠোঁটের সাথে মনের সমন্বয় হবে না বলে ফুটে উঠবে না। মালা আপনাকে অসহায় দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ দেখে নেবে। তারপর তার নিজের কামরায় নিয়ে যাবে। বেশ কিছুক্ষণ নিচের দিকে তাকিয়ে থেকে একটা শ্বাস ছেড়ে বলবে, দেখাই লাগবে? না দেখলে হয় না?

তার কণ্ঠের আর্দ্রতা, দ্বিধা, মিনতি, এবং অভুতপূর্ব শংকা আপনাকে মোটেই ছোঁবে না। মালাকে উপলব্ধি করার পর্যায়ে তখন আপনি থাকবেন না। থাকার কথাও নয়। বরং আপনি বিরক্ত হবেন। এতদিনের প্রত্যয়ী অপেক্ষার পরে, নিখুঁত সহিষ্ণুতার শেষে দরজায় এসে দ্বার রুদ্ধ হওয়ার আশংকাতে আপনি রেগে যাবেন। ধৈর্য হারিয়ে ফেলবেন। রেগেমেগে চলে আসতে চাইবেন। মালা আপনাকে দুহাতে আগল দিয়ে আটকাবে।গভীর দুটি চোখ মেলে আপনার চোখের দিকে তাকাবে। অসাধারণ দুটি চোখ। এই চোখকেই কি কাজল-কালো বলে?

আপনি টুক করে মালার চোখের পাতায় চুমু খাবেন। মালা তার দুচোখের পাতায় আপনার অধরোষ্ঠের স্পর্শটুকু নেবে। নিয়ে একটু পেছনে গিয়ে দাঁড়াবে।

> এটা কি কথা ছিল?
- মানে?
> আপনি আমাকে টাচ করলেন যে?
- আমি তো ওয়াদা দিছি যখন তুমি আমারে সব দেখাবা তখন তোমারে আমি ছোঁব না। এখন তো তুমি আমারে দেখাও নাই, তাই না ছোঁয়ার কোনো শর্তও নাই।
> বাহ, উকিলের মতো ঠিকই ফাঁক বের করে ফেললেন।

আপনি একটু হাসবেন। তারপর বলবেন, আমি কোনো ভণ্ডামি করি নাই। কথা যা দিছি দাঁড়ি-কমা সহ সব মনে আছে। কোনো নড়চড় হবে না।
> ঠিকাছে, আসল সময় মনে থাকলেই হবে।

এরপর মালা আপনাকে অন্যদিকে ঘুরে তাকাতে বলবে এবং সে না বলা পর্যন্ত তার দিকে তাকাতে নিষেধ করবে। আপনি তাই করবেন। কিছুক্ষণ পর মালা আপনাকে ঘুরতে বললে, আপনি দেখতে পাবেন মালা তার নগ্নতাকে দুহাতের আড়ালে লুকাবার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। একহাত আড়াআড়িভাবে বুকের কবুতরজুটিকে ঢেকে রাখার চেষ্টা করছে, অন্যহাত নিপুণ পাতা হয়ে ঢেকে রেখেছে উরুসন্ধির গভীর গোপন। অদ্ভুত সুন্দর এক ভঙ্গি! পুরোপুরি নগ্ন হয়েও মোটেই নগ্ন নয় যেন। আপনার শুধু মনে হবে – না, আমরা হয়ত দূর থেকে ভাবতে পারি আপনার অসাধারণ কোনো চিত্রকর হতে ইচ্ছা করবে; হয়ত পিকাসো, হয়ত অন্য কেউ, কিন্তু আপনার শুধুই মনে হবে, না আসলে আপনার অসাধারণ কিছুই মনে হবে না। আপনার মন তখন আপনার থ্রি-কোয়ার্টারের অন্তরালে।

(পুরোটা একত্রে দেওয়ার ইচ্ছা ছিল কিন্তু পারলাম না। আজ রাতে দেওয়ার চেষ্টা করব। এই গল্প আমার একটা প্রিয় ঢঙে লেখার চেষ্টা করেছি। সবাইকে সেদিকে একটু দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ক্রিয়ার এরূপ ভবিষ্যৎ কালের ব্যবহার কেমন লাগছে? চালানো যাবে? আচ্ছা কেউ কি ক্রিয়ার এই রূপটির ব্যবহার গল্পে করেছেন এর আগে? আমার জানা নাই। এর আগেও খুবই ছোট একটা গল্পে ক্রিয়ার এই পরীক্ষাটা করেছিলাম। আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছিল। কৌতূহলী কেউ পড়ে দেখতে পারেন। অস্বাভাবিক )
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২০
১৭টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×