কিছুদিন ধরে ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক সমালোচনা ব্যপকাকৃতি পেয়েছে। সাপ্তাহিক ২০০০ এর সুত্র ধরেই এই সমালোচনার গতিবৃদ্ধি। আমি চেষ্টা করি এ বিষয়ক সবগুলো লেখা ও মন্তব্য গুরুত্ব দিয়ে পড়তে। কারন আর যাই হোক, বিশ্বব্যপী বহুল আলোচিত ও ব্যপক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষুদ্রঋণ ব্যপারটির সফল সুচনা ও বাস্তবায়ন আমার দেশ থেকে।
একটি ব্যাপার আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি (এ আমারই অক্ষমতা) যে, আজকে যারা ড. ইউনুস ও তার গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাক, আশা, প্রশিকা ইত্যাদির সমালোচনা করছেন (অবশ্যই তারা সমালোচনার যোগ্য এবং সমালোচনাকে আমি সবসময় ইতিবাচকভাবে দেখি) তারা আসলে কি বলতে চাচ্ছেন? তাদের বক্তব্যের সার-সংক্ষেপ কি?
মানলাম, ক্ষুদ্রঋণ সেবা নয় বাণিজ্য। তাই তাকে সরকারের বানিজ্যিক ক্যালকুলেশনে ফেলা উচিত, সেবার পরিধির মধ্যে নয়। তার উপর বানিজ্য বিষয়ক সবধরনের কর আরোপ করা উচিত। কিন্তু তাতে কি যে সমস্যাগুলো তুলে ধরা হচ্ছে, যে প্রতারণার উপমা দেখানো হচ্ছে তার সমাধান হবে?
আমার মনে হয়, যে ভাবে এন জি ও গুলোর ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ে সমালোচনা হচ্ছে তা আরো পরিশীলিত, আরো তথ্যনির্ভর, অযথা গালাগালিমুক্ত এবং সঠিক দিক নির্দেশনামূলক হওয়া উচিত যাতে সরকার এ ব্যাপারে সঠিক উদ্যেগ নিতে পারে। সম্প্রতি ড. ইউনুস এবং এন জি ও সমূহের আপত্তি স্বত্ত্বেও সরকার মাইক্রোডিট রেগুলেটরী অথরিটি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কাজ পুরোদমে শুরু করেছে। এ প্রতিষ্ঠানটিকে যত বেশী তথ্য ও পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করা যায় ততই ভাল।
আশা করছি, যদি কারো কাছে এন জি ও সমূহের ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক দূর্নীতি, অত্যাচার অথবা প্রতারণার কোন তথ্য, কৌশল ইত্যাদির খবরাখবর আসে তা ব্লগে প্রকাশ অব্যাহত রাখবেন। সাথে সাথে এদেরকে নিয়ন্ত্রনের জন্য সুনির্দিষ্ট কোন পরামর্শ থাকলে তাও জানাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:৪৪