somewhere in... blog

আত্ন-অনুভূতি ২

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজকের বিষয়বস্তুটি বেশ মজার। শিরোনাম দেখেই নিশ্চয় বুঝতে পারছেন আমি কোন ভাবকে আজ লেখার কারুকাজে সম্প্রসারিত করে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। আমি প্রতিদিনই কোনো না কোনোভাবে এই ধারণাটিকে সমাজের পটভূমিতে অবলোকন করে। এটি যেন আমাদের জীবনধারনের মূল নীতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
যাক, অনেক হল প্রাক- আলাপ; এবার মূল বক্তব্যে আসি।এটা তো সবারই জ্ঞাতব্য যে,সমাজের মূল শিকড় হল পরিবার।সব কিছুরই উৎপত্তিস্থল মোটামুটি এই পরিবার(অনেকে বলে উঠতে পারেন পরিবারে কি আর গবেষণা চলে নাকি!আরে ওটা কেন হবে!আমি তো এক্ষেএে সব কিছু বলতে চিন্তা-চেতনার কথা বলেছি!)।আর স্বাভাবিকভাবেই এতে বসবাসকারি মানুষের ভাবধারার গুরুত্ব ও অনেক।কারণ ইংরেজীতে একটা কথা আছে”Charity begins at home”।তাই বলা যায় কোনো দেশ কতটা উন্নত তা তাদের পরিবারের ভাবধারার ক্যানভাসে ফুটে ওঠে।আমরা ছোটোবেলা থেকেই পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে বিভিন্ন কিছু শিখি।যেমনঃ তারা কিভাবে কথা বলে, কি ধরনের আচরণ করে, কি খায়(বাংলাদেশে তো ভাতটা বেচেঁ থাকার অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে হয়!তাই এক্ষেএে আমি ভাত ব্যতীত অন্যান্য খাবার এর বিষয় তুলেছি।)ইত্যাদি।
এই বিষয় আপনি ভালভাবেই ধরতে পেরেছন যে পরিবার আপনাকে কতটা স্বাভাবিক করে তুলে।তবে দেশীয় প্রেক্ষিতে আমি একটা জিনিস দেখছি যা বেশ আর্শ্চয আর তা হল স্বার্থানেষী চেতনা।
ধরুন আমার পাশের প্রতিবেশির ছেলে দেশের বড় এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ে(বড় বলতে যে আকারে ন্য় যে তা বুঝতেই পারছেন!)আমার পিতা বলবেন ছেলেটা কি মেধাবি, পরিশ্রমী...।।এমন যেন ্তিনি তার হিতৈষী!তবে এই কথাটার কি কোনো বাহ্যিক গুরুত্ব আছে!পরে দেখা যেতে পারে ছেলেটা আমাদের মতো মানুষের সুনাম কুরানোর জন্য শত প্ররিশ্রম করে নিজের ক্ষুধে ইচ্ছাকে ধূলিসাৎ করে।এই জীবনের কোনো তাৎপর্‌্য আমার কাছে তো নেই। বিদেশে সবাই একরোখা নয়। তারা তাদের নিজের মেধা খুজে বের করে এবং সে পথেই এগোয়। আর মোর দেশে মেধার যে পরিক্ষা হয় রে বাবা!!
অনেকে তো একে মেধাবিদের প্রতিযোগিতা মূলক পরিক্ষা বলে ব্যবসা শুরু করে! মেধা কি আমি জানি না বরং এটা সাধনার ফসল বলেই আমার মনে হয়।তবে এটা বাবু কোন ধরনের মেধা যা শুধু সূএ মুখস্ত, তথাকথিত “tricks” শিখে ভাল স্থানে চান্স পেয়ে প্রসপেক্টাসে নিজের কলামে বীরত্ব প্রকাশ করে এই বলে, “এই পথটা আমার কাছে বেশ চ্যালেঞ্জিং মনে হয়.........।।``দেশের নিজস্ব বলতে কিছু নেই।মোবাইল, টিভি, এমনকি কলম পরযন্ত আমদানি করতে হয়।সামান্য অগ্রগতিতেই আমরা খুশিতে হাহাকার হয়ে যাই।নিরলস চেষ্টা সেটা যেন আমাদের মানসিকথাতেই নেই।
আর যারা চান্স পায় না তারা ট্রীকধারিদের “BOSS” ডাকে। একজন তো আমাকে আগে থেকেই তা না ডাক্তে বলে দিলো!একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নেই।যেখানে যে বিষয়ে চান্স পাই! অনেককে তো দেখলাম প্রথমে বলে সে এই বিষয় পরবে বলে তার পর মানুষের চাহিদা ও নিজের পজিশন দেখে পরে অন্য কথা বলে।
এটা কেন হচ্ছে? “What do you care what other people think?” এটা আমার নয় একজন গ্রেট ব্যাক্তির কথা যাকে প্রথমে তার অগ্রগামিরা বিভিন্ন গালমন্দ দিয়েছিলেন, পরে কিন্তু তাকেই তারা শ্রদ্ধভরে মেনে নিয়েছিলেন।
তাই দেশে দেখি প্রায় ছাএরা জাফর স্যারকে প্রশ্ন করে “আমি ... পড়ছি কিন্তু আমার ... পড়ার ইচ্ছা ছিলো পরিবারের জন্য পড়তে পারিনি।” এভাবেই তো দেশ মেধা হারায়। সবাই সব পারে না। এবং আমি ভাবি সবাই এক না এক দিকে “special”(ইংরেজি শব্দ দিলাম যাতে জোর বেশি পরে, এখন তো আমরা এতেই অভ্যস্ত!)তো কেন তুমি মিছে কিছু পিছিয়ে পরা ব্যক্তিদের সুনাম কুরানোর জন্য নিজ ইচ্ছার বলি চড়াচ্ছো! তুমি কি মনে করো মারার পর খোদাকে গিয়ে বলবে “ আমি এটা ছিলাম!”
You’re special so be special !!! এটা না হয় আমার থেকেই দিলাম!
আর মজা পাওয়ার জন্য আমি লিখছি না, যারা পড়ছেন তারা সবাই আমার চেয়ে অনেক দামি তা আমি ভাবি; তাই নিজে একটু চিন্তা করে নিজেকে নিজের বিবেকের সামনে দাড়ঁ করান আর উপলব্ধি করুন আপনি সাধারন নন, indeed you’re meant to be special.
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

১. ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৪৫

েমাজািহদুল ইসলাম িটটু বলেছেন: “এই পথটা আমার কাছে বেশ চ্যালেঞ্জিং মনে হয়.........।



হা................হা........................হা..........................হা....................হা



ভালো বিষয় নিয়ে লিখলেন, ভালো লাগলো।

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিএনপি নিয়ে সামান্য ভাবনা! :(

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:১৯

(লেখাটা বড় হলেও পড়ে দেখার আমন্ত্রন জানাই) বিএনপি নিয়ে কিছু লিখতে বা বলতে আমার নিজের মায়া হয় (যদিও লিখছি সাহস করে কারন বিএনপি উগ্র দল নয় বা আমাকে মেরে ফেলবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কবিতাঃ মা মাটি দেশ

লিখেছেন ইসিয়াক, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৪২

যে মাটির বুকে রক্তের হোলি খেলিস সেতো তোদের মা!
কাজ ফুরালেই পাঁজিরে তুই  সেকথা জানতাম না। 

মঙ্গলের দূত সে যুগে যুগে অমঙ্গলের ক্ষেত্রে  যম।
পালাতে পারবি না সময় হলে ফুরাবে তোর দম।... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি সন্তুষ্ট না

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:০২




নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ জানার জন্য বিএনপি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সংগে বৈঠক করে বলেছে ডিসেম্বর নির্বাচনের কাট অফ সময়। প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপ না দেওয়ায় অসন্তুষ্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাটবাজার এবং অনলাইনে কেনাকাটা.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:০৪

হাটবাজার এবং অনলাইনে কেনাকাটা.....

প্রত্যাহিক বাজার করার একটা আলাদা স্বস্তি আছে। আমরা যারা হাতে ধরে বেছে বেছে শাকসবজী, মাছ গোসত এবং অন্যান্য দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্য কিনি তাদের অভিজ্ঞতা ভিন্ন রকম।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিরপেক্ষতা চাই, তবে রিমোট কন্ট্রোলটা আমাদের হাতে থাক !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:০২



যখন কেউ রাজনীতির মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলে, "আমরা নির্বাচনে অংশ নিবো , তবে নিরপেক্ষতার নিশ্চয়তা ছাড়া নয়," তখন বুঝতে হবে—ব্যাপারটা ঠিক ভোট নয়, বিষয়টা আম্পায়ার। আম্পায়ার যদি আগেই খেলার স্কোর জানিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×